ফয়সাল আহমেদ
চলছে মহিমান্বিত রমজান মাস। রমজানের দ্বিতীয় ভাগের দ্বিতীয় রোজা অর্থাৎ বারোতম রোজা ছিলো গতকাল শনিবার। সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় বাহারি ইফতারের মাধ্যমে সবার মাঝে ছড়িয়ে পরে আনন্দ-উৎসব ও রমজানের খুশির আমেজ। রমজানে পরিবারের সাথে ইফতারের অভিজ্ঞতা রয়েছে সবারই। কিন্তু বন্ধুদের সাথে ইফতার করার অনুভূতিটা সম্পূর্ণই আলাদা ও অন্যরকম এক অনুভূতী।
সূর্য যখন পশ্চিম দিকে হেলতে শুরু করে তখন জমে ওঠে বন্ধুদের সাথে ইফতার আড্ডা। বন্ধুদের সাথে ইফতার করাটা শুধু খাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং এতে বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক আরো গভীর ও স্মৃতির পাতায় এক অন্য অনুভূতির গল্প লেখা হয়। ক্লাস ও পরীক্ষা থাকায় অনেকের ইচ্ছে থাকা সত্বেও পরিবারের কাছে যেতে পারে না। বন্ধুদের সাথে ইফতার করলে পরিবার থেকে দূরে থাকার কথা আর মনে থাকে না।
তেমনি ২৩ মার্চ শনিবার বিকেলে এমন দৃশ্যের দেখা মিলল সরকারি তিতুমীর কলেজের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। শেষ বিকেলে সবুজ ঘাসের চাদরে বৃত্তাকার হয়ে গুটিসুটি হয়ে বসে আছে সরকারি তিতুমীর কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সকলের সামনে সাজানো আছে বাহারী রকমের ইফতার সামগ্রী। মোরগ পোলাও, তেহারি, পেয়ারা, খেজুর ,শরবত, শসা ইত্যাদি। সবাই অপেক্ষায় আজানের। ইফতার সামগ্রী খুব বেশি না হলেও সবার চোখে মুখে উচ্ছ্বাসের ছাপ। অনেকে মশগুল আড্ডায়। তবে কেউ কেউ শেষ মুহূর্তে শরবত বা অন্য সামগ্রী তৈরিতে বেশ ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। কেউ কেউ আবার বারবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ইফতারের ক্ষণ গণনা করছেন।
এই প্রসঙ্গে কথা হয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ রাফি সাথে তিনি সারাক্ষণ’কে জানান, সচরাচর অনেকেই পরিবারের সাথে একত্রে ইফতার করে থাকেন কিন্তু যারা পড়াশোনার জন্য পরিবার থেকে আলাদা থাকি তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ পরিবারকে খুব মিস করে থাকি। সেজন্য ক্যাম্পাসে আমরা সবাই মিলে একত্রে ইফতার করে পরিবার থেকে যে দূরে আছি সেটাকে ভুলে থাকার চেষ্টা করি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমরা ক্যাম্পাসে ইফতারের আয়েজন করেছি।
পুরো রমজান মাস জুড়ে তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসে ইফতার আয়োজন থাকে চোখে পড়ার মতো। বন্ধু সহপাঠীদের আয়োজন ছাড়াও ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, জেলা ও অঞ্চলভিত্তিক সংগঠন এবং বিভিন্ন বিভাগের পক্ষ থেকে ইফতারের আয়োজন করা হয়। যেন সব শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে গোটা কলেজ ক্যাম্পাসে ইফতার আয়োজন পরিণত হয় প্রতিদিনের মিলনমেলায়।
Leave a Reply