বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৫৬)

  • Update Time : শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪, ৬.০০ পিএম

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

অর্থনৈতিক জীবন, বাণিজ্য এবং জীবিকা

আজ থেকে কমবেশি তিন হাজার বছর আগে শুরু হয়েছিল মায়া-সভ্যতা। জীবনযাত্রার নানাদিক,সামাজিক বিষয়,শিল্প এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সভ্যতার নানা বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয়েছিল। সেসব দিকই ছিল নিজস্ব কায়দা এবং দেশজ পদ্ধতিতে সমৃদ্ধ। এই দৃষ্টিকোণকে প্রসারিত করেই এ অধ্যায়ের সূচনা। প্রশ্ন ও অনুসন্ধান হল মায়াদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, জীবিকা,পেশা।

রুটি-রোজগার, খেয়ে বেঁচে থাকার বিষয়টি সব সমাজ, সামাজিক গোষ্ঠীর মত মায়াদের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। অর্থনীতির প্রসঙ্গে প্রথমেই বলে নেওয়া দরকার মায়া জনসংখ্যা খুব বেশি নয় এবং এদের মধ্যে ছোট অংশই শহরাঞ্চলে বসবাস করত। অর্থাৎ বেশিরভাগই থাকত বিভিন্ন প্রদেশ-শহরের গ্রামাঞ্চলে। এর অন্যতম কারণ হল মায়াদের অর্থনীতি প্রধানত কৃষি-নির্ভর। কৃষিসংক্রান্ত নানা পেশা ছিল তাদের জীবনযাত্রার প্রধান দিক।

এক্ষেত্রে বলা ভাল এই কৃষিকাজ, চাষবাস নির্ভরশীল ছিল বৃষ্টিপাত এবং বনাঞ্চলের উপর। মায়াদের বনজীবিকার মধ্যে একটা বিশেষ পদ্ধতি ছিল। প্রথমে তারা বনের কোনো ভাল গাছ কাটারির মত কিছু দিয়ে কাটে। এরপর ঐ গাছ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। মায়াদের চাষ পদ্ধতিতে এই দগ্ধ গাছের ডাল সারের কাজে লাগানো হয়। এরপরের স্তরে ঐ বনাঞ্চল (ছোট এলাকা) চাষ করার কাজ শুরু হয়। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন মায়ারা কখনো কৃত্রিম উপায়ে তৈরি সার ব্যবহার করত না। কেননা মায়ারা বিশ্বাস করত এই তথাকথিত উন্নত সার জমির উর্বরতা নষ্ট করে দেয় এবং জমিই হল তাদের জীবিকার অন্যতম পথ।

(চলবে)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৫৫)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৫৫)

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024