সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “নূর হোসেন চত্বরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে হাসিনাবিরোধী স্লোগান”
শহীদ নূর হোসেন দিবসে রাজধানীর গুলিস্তানে নূর হোসেন চত্বরে বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। আজ রোববার ভোর থেকে এই শ্রদ্ধা নিবেদন চলছে।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নূর হোসেন চত্বরে দেখা যায়, সেখানে বেশ কয়েকজন উৎসুক জনতা জড়ো হয়েছে। যান চলাচল অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম।
সকাল ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে একদল মানুষকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। তাঁরা নিজেদের শাহবাগ যুবদল বলে পরিচয় দেন।
আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘গুম খুনের অপরাধে খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’ বলে স্লোগান দেন তাঁরা। সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা সেখান থেকে চলে যান।
নূর হোসেন চত্বরে যেসব সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলো, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, গণসংহতি আন্দোলন, গণতন্ত্র মঞ্চ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাসদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট, ছাত্র ফোরাম, বাসদ (মার্কসবাদী), জাতীয় গণফ্রন্ট, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন, জাতীয় গণফ্রন্ট।
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “সারাদেশে ১৯১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে ১৯১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করেছে বিজিবি সদরদপ্তর।
আজ রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে বিজিবি সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ১৯১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “কভিডের পর জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধি বেড়েছে”
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে ২০২৩ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ২৯ লাখের কিছু বেশি। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ৪৭ লাখে। অতীতে বাংলাদেশে জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির গতি ক্রমেই শ্লথ হতে দেখা গেলেও পরিস্থিতিতে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে কভিড-১৯ মহামারীর পর থেকে। ওই সময় থেকে বাংলাদেশে জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির হার আবারো ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে।
জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্সের অধীন পপুলেশন ডিভিশনের পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশের জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির গতি ছিল নিম্নমুখী। কিন্তু এর পর থেকে তা আবারো বাড়তে শুরু করেছে। ২০১৯ সালে প্রবৃদ্ধির হার ছিল দশমিক ৮৫ শতাংশ, যা ২০২১ সালের মধ্যে দশমিক ৮২ শতাংশে নেমে আসে। কিন্তু পরের বছরই তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে। ২০২৩ সালে তা আরো বেড়ে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ হয়েছে। ২০২৪ সালে এর প্রাক্কলিত হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ। আর বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দুই শুমারির মধ্যকার সময় জনসংখ্যা বৃদ্ধির গড় বার্ষিক হার ছিল ১ দশমিক ১২ শতাংশ। সে অনুযায়ী, বর্তমানে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার দুই শুমারির মধ্যকার সময়ের গড় হারকেও ছাড়িয়ে গেছে।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “অপরাধীদের ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিস জারি করতে যাচ্ছে সরকার”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই-আগস্টে গণহত্যাকারীদের ধরতে সরকার ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিস জারি করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। রোববার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘যে খুনি গোষ্ঠী জুলাই-আগস্ট মাসে গণহত্যা চালিয়েছেন, যারা পালিয়ে আছেন তাদের ধরার জন্য আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিস জারি করতে যাচ্ছি। এটা খুবই দ্রুত হবে। তারা যেখানেই থাকুন না কেন, তাদের গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করবো।’
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) দেয়া আওয়ামী লীগের অভিযোগের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা কোনো মামলা না, এটা আইসিসির প্রসিকিউশন অফিসকে একটা পিটিশন লিখে জানানো। এটা পৃথিবীর যেকোনো মানুষ করতে পারে। দীর্ঘ প্রসেসের মধ্য দিয়ে এটি যায়। এটা এতই একটা অবিশ্বাস্য ও বস্তুনিষ্ঠহীনতামূলক মামলা, যা কোনোভাবেই গৃহীত হওয়ার কোনো কারণ নাই।’
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট চক্র বিশ্ব জনমত ও বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত এবং নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য মিথ্যা প্রচারণার চালানোর উপায় হিসেবে এ মামলাটা করেছে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দেয়া অভিযোগ ধর্তব্যের মধ্যে নিচ্ছেন বলে জনান আইন উপদেষ্টা।
Leave a Reply