ফয়সাল আহমেদ
প্লাস্টিক একটি অপাচ্য পদার্থ। প্লাস্টিকের জন্য দৈনন্দিন পরিবেশের অনেক কিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমানে প্লাস্টিক বর্জন নিয়ে আন্দোলন চলছে। বর্তমান সরকার বারবার প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য ব্যবহারে জনগণকে নিরুৎসাহিত করছে। অতীতেও অনেকবার করা হয়েছে তবে তারপরেও প্লাস্টিক বা প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যের সাথে মানুষ দৈনন্দিন জীবন একদম মিশে গেছে। এখান থেকে বের হয়ে আসতে হলে প্লাস্টিকের বিকল্প প্রয়োজন এবং প্রয়োজন মানুষের সচেতনতা।
প্লাস্টিকের কারণে বর্তমান পরিবেশ হুমকির মুখে। মানুষের সুস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই “ইংরিন ইন্ডাস্ট্রি” নামের একটি কোম্পানি বাজারে নিয়ে এসেছে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসাবে সুপারি গাছের ঝরে পরা খোলের তৈরি বিভিন্ন তৈজসপত্র তৈরীর মেশিন। যা প্লাস্টিকের তৈরি থালা বাটি তৈজসপতত্রের থেকে দেখতে চমৎকার, স্বাস্থ্যকর ও পচনশীল। এই মেশিন ব্যবহার করে যে কেউ এইসব তৈজসপত্র তৈরি করতে পারবে।তৈরির পদ্ধতিও অত্যন্ত সহজ । এটি যে শুধু পরিবেশের জন্য ভালো তাই নয় এটি দূর করতে পারে মানুষের বেকারত্ব বাড়তে পারে মানুষের কর্মসংস্থান।
ইংরিন ইন্ডাস্ট্রির মালিক সারাক্ষণকে জানায় এটি পরিবেশের জন্য ভালো হলেও মানুষ এটি কিনতে তেমন একটি আগ্রহ প্রকাশ করছে না। কারণ এর মূল্য প্লাস্টিক পণ্যের থেকে অনেকটাই বেশি।
এই মেশিন তৈরি করতে সরকারি ভ্যাট ধরা হয় ৫০% আর কর্মী মজুরি তো আছেই। সব মিলিয়ে মেশিনটির বিক্রয় মূল্য বেশি হয়ে যাচ্ছে। নতুন উদ্যোক্তারা এত দামি মেশিন কিনতে চাচ্ছে না। কারণ, এত দামে মেশিন কিনলে উৎপাদিত পণ্যের দাম না চাইলেও বেশি ধরতে হচ্ছে_ না হলে এর লভ্যাংশ থাকছে না
এ কারণে পরিবশে বান্ধব পণ্য উৎপাদনকারী এ কোম্পানি মনে করে সরকার ৫০% ভ্যাট যাতে মওকুফ করে দেন। তাহলে মেশিনের মূল্য কমবে। কমবে তৈরি করা আসবাবপত্রের মূল্যও। এবং জনগণের কাছে পণ্যগুলো বেশি পৌঁছাবে আর মানুষ প্লাস্টিক জাতীয় আসবাবপত্র’র বিপরীতে এগুলো ব্যবহার করবে। উতপাদন ক্যাপাসিটি অনুযায়ী মেশিনগুলোর মূল্য -১ মোল্ড ২৬৪,০০০, ২ মোল্ড ৩৯৪,০০০, ৩ মোল্ড ৫৮০,০০০, ৪ মোল্ড ৬৯৪,০০০
সুবর্ণ কার্ডধারী শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য থাকছে সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা ছাড়।
মেশিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাচ্ছেন সর্বোচ্চ ৮০% ঋণ এবং ১২ – ২৪ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধাও কোম্পানিটি দিয়ে থাকে।
Leave a Reply