বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১ অপরাহ্ন

গভীর রাতে ছুটে গেলেন চার উপদেষ্টা, হাসপাতালে ফিরলেন আহতরা

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০.৩৪ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “গভীর রাতে ছুটে গেলেন চার উপদেষ্টা, হাসপাতালে ফিরলেন আহতরা”

বিক্ষুব্ধ আহত ব্যক্তিদের শান্ত করতে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটায় রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনের সড়কে যান অন্তর্বর্তী সরকারের চারজন উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার একজন সহকারী বিক্ষুব্ধ আহত ব্যক্তিদের শান্ত করতে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটায় রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনের সড়কে যান অন্তর্বর্তী সরকারের চারজন উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার একজন সহকারীছবি: আহমদুল হাসান চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের শান্ত করতে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটায় রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনের সড়কে ছুটে গিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের চারজন উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার একজন সহকারী। তাঁদের দাবি পূরণের আশ্বাসে প্রায় সাড়ে ১৩ ঘণ্টা পর সড়ক থেকে হাসপাতালে ফিরতে রাজি হয়েছেন আহতরা।

রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় অবস্থিত পঙ্গু হাসপাতাল ও পাশের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অর্ধশতাধিক ব্যক্তি বুধবার দুপুর ১টা থেকে হাসপাতালের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। এই ব্যক্তিদের কারও এক পা নেই, কেউ হুইলচেয়ারে, আবার কারও চোখে ব্যান্ডেজ রয়েছে। তাঁরা এক পর্যায়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন। পরে হাসপাতালে ফিরে যেতে চারজন উপদেষ্টাকে সেখানে উপস্থিত হওয়ার শর্ত দেন।

সেই শর্ত অনুযায়ী উপদেষ্টারা না যাওয়ায় রাত ১২টার পর হাসপাতাল থেকে বিছানাপত্র এনে সামনের ওই সড়কে অবস্থান চালিয়ে যান আহত ব্যক্তিরা। কেউ শুয়ে, কেউ বসে সময় পার করতে থাকেন। এই অবস্থা চলার মধ্যে রাত আড়াইটার সময় সেখানে হাজির হন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় সহকারী (স্বাস্থ্য) হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. সায়েদুর রহমান।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “১৫ বছর পর দেশেই ছাপা হবে সব পাঠ্যবই”

দীর্ঘ ১৫ বছর পর এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই ছাপা হবে দেশের ছাপাখানায়। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর পাঠ্যবইয়ের একটি বড় অংশ ভারত থেকে ছেপে আনা হতো। এবার ভারতে বই ছাপার কাজ দেওয়া হয়নি। এদিকে নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে বই তুলে দেওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ এবং পাঠানো সম্পন্ন করতে হাতে রয়েছে মাত্র ৪৭ দিন। কিন্তু এখনো শেষ হয়নি কয়েকটি শ্রেণির বইয়ের পাণ্ডুলিপি সংশোধন ও পরিমার্জনের কাজ। চলছে কয়েকটি শ্রেণির বই ছাপার দরপত্র প্রক্রিয়াও।

রীতি অনুযায়ী এবার গত জুন মাসে টেন্ডার হলেও সেপ্টেম্বর তা বাতিল করে নতুন সরকার। আবার বদলানো হয় শিক্ষাক্রম। নতুন কারিকুলামে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শ্রেণিতে অন্যান্য সাবজেক্টের সঙ্গে অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে যুক্ত হচ্ছে আরবি। নতুন সাবজেক্ট যুক্ত, মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজন আর ২০১২ সালের কারিকুলামে ফেরায় গতবারের চেয়ে এবার ৯ কোটিরও কিছু বেশি পাঠ্যবই বাড়তি ছাপাতে হবে।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “হারানো অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি পুনর্গঠন করছে জামায়াতে ইসলামী”

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এক সময়ের অন্যতম শীর্ষ নেতা মীর কাসেম আলীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা ট্রাস্ট, দিগন্ত মিডিয়া, কেয়ারি লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। দলটির অন্য নেতারাও এমন অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। শিক্ষা খাতে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় প্রধানতম ভূমিকা রেখেছিলেন দলটির নেতারা। এক সময় এসব প্রতিষ্ঠানকে বিবেচনা করা হতো দলটির অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শক্তির নিদর্শন হিসেবে। কিন্তু ২০১২ সালে মীর কাসেম আলীসহ দলটির আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে আটক ও পরে আদালতের রায়ে তাদের অনেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর থেকে পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসতে থাকে। গত এক যুগে ইসলামী ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ হারান জামায়াত নেতারা।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এক সময়ের অন্যতম শীর্ষ নেতা মীর কাসেম আলীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা ট্রাস্ট, দিগন্ত মিডিয়া, কেয়ারি লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। দলটির অন্য নেতারাও এমন অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। শিক্ষা খাতে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় প্রধানতম ভূমিকা রেখেছিলেন দলটির নেতারা। এক সময় এসব প্রতিষ্ঠানকে বিবেচনা করা হতো দলটির অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শক্তির নিদর্শন হিসেবে। কিন্তু ২০১২ সালে মীর কাসেম আলীসহ দলটির আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে আটক ও পরে আদালতের রায়ে তাদের অনেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর থেকে পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসতে থাকে। গত এক যুগে ইসলামী ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ হারান জামায়াত নেতারা।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সরকার–জামায়াতের সঙ্গে বিরোধে জড়াবে না বিএনপি”

প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার, জামায়াতে ইসলামী ও গণ আন্দোলনের ছাত্রনেতৃত্ব—তিনটি পক্ষের সঙ্গে এই মুহূর্তে কোনো ‘বিরোধ’ বা ‘বিবাদে’ না জড়ানোর কৌশল নিয়েছে বিএনপি। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখেই দলটির এই কৌশল। বিএনপির নীতিনির্ধারণী নেতারা মনে করেন, সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক যেমনই হোক, তাদের হাতে রেখেই নির্বাচনী সড়কে উঠতে হবে। এ জন্য সরকারের ওপর রাজনৈতিক চাপ তৈরির কৌশল বজায় থাকবে। তবে এখনই সরকারের সঙ্গে চরম বৈরিতায় যাবে না দলটি। জামায়াতের বেলায়ও একই কৌশলের কারণ, নির্বাচন।

জানা গেছে, নির্বাচন প্রশ্নে সরকারের ওপর চাপ তৈরির কৌশলের অংশ হিসেবে বিএনপি নতুন বছরে মাঠের কর্মসূচি শুরুর চিন্তা করছে। এর আগে তারা রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা প্রস্তাব জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে চায়। এ লক্ষ্যে দলটি শিগগিরই ১০টি বিভাগীয় শহরে দলীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা করবে। তাদের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের মুদ্রিত পুস্তিকা সরবরাহ করবে। মাঠপর্যায়ের নেতারা এই সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে সারা দেশে গণসংযোগ করবেন। এরপরই মার্চ-এপ্রিল থেকে নির্বাচনের দাবি তুলে মাঠের কর্মসূচিতে নামতে চাইছেন বিএনপির নেতারা।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এই ধারাবাহিক কর্মসূচির লক্ষ্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ আদায়। এ নিয়ে বিএনপির নেতারা প্রতিদিনই কথা বলছেন। ৮ নভেম্বর বিএনপি ঢাকায় যে বড় শোভাযাত্রা করেছে, এর মূল লক্ষ্যই ছিল সরকারের ওপর নির্বাচনের ব্যাপারে চাপ তৈরি করা। এই শোভাযাত্রার পথ ছিল নয়াপল্টন থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে পর্যন্ত। এই পথে শোভাযাত্রা করে দলটির নেতৃত্ব অন্তর্বর্তী সরকারকে এই বার্তা দিলেন যে তাঁরা অবিলম্বে সংসদ নির্বাচন চান।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024