শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন

ট্রাম্পের জয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি কি বাড়বে

  • Update Time : শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪, ৯.৪৪ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ট্রাম্পের জয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি কি বাড়বে”

ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ব্যবসা বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে চীনা পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর কথা বলেছেন ট্রাম্প। তাঁর সেই ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে চীন থেকে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ স্থানান্তরিত হবে। তার একটা অংশ বাংলাদেশেও আসতে পারে বলে আশা করছেন এ দেশের উদ্যোক্তারা। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা বাড়তি ক্রয়াদেশ পেয়েছিলেন। তাতে দেশটিতে রপ্তানিও বাড়ে।

তৈরি পোশাকশিল্পের কয়েকজন উদ্যোক্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নিতে এখনো দুই মাস বাকি। তখন চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়বে কি বাড়বে না, সেটি পরের বিষয়। তবে এখনই যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা আগের চেয়ে বেশি ক্রয়াদেশ দেওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছেন। আবার নতুন নতুন ক্রেতা যোগাযোগও শুরু করেছেন। এগুলো ব্যবসায় নতুন সুযোগ সৃষ্টির জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত। যদিও গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট এবং ব্যাংকিং সমস্যার সমাধান না হলে ব্যবসা বাড়ানো যাবে না।

প্রথমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকার সময় ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়। এর ফলে ২০১৯ সালে চীন থেকে ক্রয়াদেশ সরতে থাকে। চীনের হারানো ক্রয়াদেশের একটি অংশ বাংলাদেশও পেয়েছিল। ফলে ওই বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৫৯৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়, যা তার আগের সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। এর মধ্যে করোনার কারণে রপ্তানি কমলেও ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৯৭২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ। যদিও পরের বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পোশাক রপ্তানি কমে যায়।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সাল থেকে পরের পাঁচ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের পোশাক রপ্তানি ১ হাজার ১০৬ কোটি ডলার কমেছে। এই সময় বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ১৮৯ কোটি ডলার। অন্যদিকে ভিয়েতনামের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৯৬ কোটি ডলার।

দ্বিতীয় মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের পণ্য আমদানি কমাতে যে অস্ত্রটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করবেন, তা হলো ট্যারিফ বা শুল্ক। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প বারবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যেসব পণ্য আমদানি করে, তার ওপর ১০ বা ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পরিকল্পনা করছেন তিনি। আর চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক হবে ৬০ শতাংশ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি ১০০ শতাংশও হতে পারে।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “সরকারের অগ্রাধিকার সংস্কার, অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলায়, দলগুলোর তাগিদ নির্বাচনে”

ভঙ্গুর অর্থনীতি, ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা ও বিধ্বস্ত প্রশাসনিক কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে গত ৮ আগস্ট দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিল শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ক্যালেন্ডারের হিসাবে গতকাল শুক্রবার ১০০ দিন পার করেছে ছাত্র-জনতার রক্তে ভেজা বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়া এই সরকার। বিপুল প্রত্যাশার চাপ আর নানামুখী চ্যালেঞ্জ নিয়ে যাত্রা শুরু করা সরকারের অগ্রাধিকার ছিল অর্থনীতিকে সচল করা, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করা এবং রাষ্ট্র মেরামতে। আর এই শতদিনের মধ্যেই বিএনপিসহ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো থেকে তাগিদ এসেছে ‘যৌক্তিক’ সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের।

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের জন্য দলগুলোর এই তাগিদের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সর্বশেষ জবাব দিয়েছেন আজারবাইজানে জলবায়ু সম্মেলনে গিয়ে এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে। এতে তিনি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা। এ ব্যাপারে সরকারের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। সেই নির্বাচন কত দ্রুত সময়ের মধ্যে হবে সংস্কারের গতিই সেটা বলে দেবে।’ এই সাক্ষাত্কারে সরকারপ্রধান এ-ও বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কম হওয়াই যৌক্তিক’।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হলেও সাফল্য অজানা”

তিউনিসিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে নিন্দিত স্বৈরশাসক জাইন এল আবিদিন বেন আলি ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন গণ-অভ্যুত্থানে। প্রায় দুই যুগ দেশটির ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকার পর ২০১১ সালে ‘জেসমিন বিপ্লবের’ মধ্য দিয়ে পতন ঘটে তার সরকারের। বেন আলি এবং তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে তিউনিসিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ ছিল। পাচারকৃত এ অর্থ ফেরাতে উদ্যোগী হয় তিউনিসিয়ার বেন আলি-পরবর্তী সরকার। তবে অনেক পরিশ্রম ও বিপুল অর্থ ব্যয়ের পর এতে সাফল্য মিলেছে প্রত্যাশার তুলনায় সামান্য।

সুইস ব্যাংকগুলোয় বেন আলির পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে মামলা করেছিল তিউনিসিয়া। বেন আলির পাশাপাশি তার পরিবার, জামাতা ও অন্য সহযোগীদের নামেও মামলা হয়েছিল। সুইজারল্যান্ডের আদালতে দায়েরকৃত মামলায় তিউনিসিয়ার পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদনের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ২০১২ সালে সেটি খারিজ হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে তিউনিসিয়া সরকার সুইজারল্যান্ডে সে সময় চলমান মামলা ও ব্যাংকের নথি পর্যালোচনার সুযোগ পায়। একই সঙ্গে দেশটির পক্ষে সুইস ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক লেনদেনগুলো শনাক্ত করারও সুযোগ তৈরি হয়। এসব সুবিধা ও দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পরও ২০২১ সালে এসে তিউনিসিয়ার দায়ের করা বেশ কয়েকটি মামলা খারিজ হয়ে যায়। দাবীকৃত অর্থের বিপরীতে খুব সামান্যই ফেরত আনতে সক্ষম হয় দেশটি।

বেন আলির মতোই ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার টানা দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটিসহ (জিএফআই) বিভিন্ন সংস্থার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশ থেকে অন্তত ১৪ হাজার ৯২০ কোটি বা ১৪৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় অন্তত ১৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা (বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী প্রতি ডলারে ১২০ টাকা ধরে)। বিদেশে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে জোর তৎপরতা শুরু করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।

পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে আন্তর্জাতিক আইনি প্রতিষ্ঠান নিযুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতিনিধি ছাড়াও বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের প্রক্রিয়া চলছে। আর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা চাচ্ছেন।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “পুলিশ থেকে আনসার প্রত্যাহার”

খবরে বলা হয়, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ আনসার বা অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ করার পর অনেক আনসার সদস্যকে পুলিশ থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সহিংসতায় জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা, সাময়িক বহিষ্কার, কালো তালিকাভুক্ত করা এবং ইস্যু করা অস্ত্র প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আনসার সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তাকারী এ বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

বিশ্রাম পদ্ধতি বাতিল করে চাকরি জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ২৫ আগস্ট রাজধানীর সচিবালয় এবং বিভিন্ন জেলা শহরে বিক্ষোভ করেন অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। ওই দিন সচিবালয়সহ কয়েকটি স্থানে ছাত্রদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষও হয়। যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে রাতে আনসারদের সচিবালয়ের সামনে থেকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঢাকার সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় ডিএমপির শাহবাগ, পল্টন, রমনা ও বিমানবন্দর থানায় একাধিক মামলা করা হয়। এতে হাজারের বেশি সদস্যকে আসামি করা হয়। এসব মামলায় অন্তত ৪০২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা কারাগারে রয়েছেন। তদন্ত করে অভিযুক্ত ৮ হাজার ৯১৪ জন আনসার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আনসার সদর দপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, সচিবালয়, আনসার ক্যাম্প ও জেলা অফিসগুলোতে বিক্ষোভ এবং ভাঙচুর করা আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবগুলো ঘটনা তদন্ত করেই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তথা সচিবালয়ে হামলায় অংশ নেওয়া অভিযুক্ত ১৫ জনকে কালো-তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা কখনোই আর চাকরিতে ফিরতে পারবেন না। তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা হয়েছে, পাশাপাশি আনসার সদর দপ্তরও ব্যবস্থা নিয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, সাময়িক বহিষ্কার করা আনসার সদস্যরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে পারলে তাঁদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুতিসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024