সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ভূরাজনীতিতে এশিয়া এখন আন্তর্জাতিক উত্তেজনার কেন্দ্রে”
‘পাওয়ার শিফটস: দ্য জিওপলিটিক্যাল চেজবোর্ড ইন এ ফ্র্যাকচার্ড ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় বক্তৃতা করেন নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক কৌশলগত প্রতিযোগিতার ভরকেন্দ্র এখন ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। ভূকৌশলগত পুনঃভারসাম্যের নামে যুক্তরাষ্ট্র তার ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) গ্রহণ করেছে। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কৌশলগত যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল, বাস্তবে তা এখন প্রতিরোধের তত্ত্বে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, এটা করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মূলে রয়েছে কোয়াড (যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপানের জোট) এবং অকাসের (অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের জোট)’ মতো উদ্যোগ। এর প্রধান লক্ষ্য চীনের শক্তি ও প্রভাব প্রতিহত করা।
আ ন ম মুনীরুজ্জামানের মতে, সেমিকন্ডাক্টরস (ইলেকট্রনিক যন্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত বিশেষ উপাদান), রোবোটিকস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্ষেত্রে চীনকে রুখে দিতে প্রযুক্তির লড়াই শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থা থেকে চীনকে হটিয়ে দিতে শিল্পকারখানা দেশটির বাইরে নিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যেই ভারতে বেশ কিছু শিল্প নিতে শুরু করেছে। চীনের বাইরে থেকে শিল্পের স্থানান্তর বাংলাদেশে হওয়ার সুযোগ আছে। সব মিলিয়ে ভূকৌশলগত প্রতিযোগিতার প্রেক্ষাপটে এশিয়া এখন আন্তর্জাতিক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে সাবেক জ্যেষ্ঠ এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, চীন দ্রুততার সঙ্গে এই অঞ্চলে নিজের অবস্থান করে নিয়েছে। ভারত ছাড়া এখানকার সব দেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার চীন। ভারত ছাড়া সবাই বিআরআই (অঞ্চল ও পথের উদ্যোগ) সই করে অবকাঠামো খাতে সহায়তা নিশ্চিত করেছে। অর্থাৎ চীনের বিশেষ কূটনীতি এখানে যথেষ্ট কার্যকর হয়েছে। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার বেশি জনসংখ্যার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারত একধরনের অস্বস্তিতে আছে। চীন এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ করার সুযোগ পাচ্ছে।
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত চাইবো: প্রধান উপদেষ্টা”
দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গত জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের শহীদদের স্মরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘আমরা পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত চাইবো।’ প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, তারা গত ১৫ বছরে গুম, খুন, এবং বিভিন্ন অপকর্মের বিচার করবেন এবং গুমের ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম ১০০ দিন অতিক্রম করলাম। কঠিন এক পরিস্থিতিতে আমাদের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়েছে। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব গণ অভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধান পালিয়ে গেলে দেশ সরকার-শূন্য হয় সাময়িকভাবে। পুলিশ প্রশাসন ও এসময় সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে উদ্বেগজনক এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্বৈরশাসনে বিপর্যস্ত এই দেশকে আমাদের সবাইকে মিলে পুনর্গঠন করতে হচ্ছে। জুলাই-অগাস্ট বিপ্লবের পর আমরা এমন একটি দেশ হাতে পেয়েছি যার সর্বত্র ছিল বিশৃঙ্খলা। স্বৈরশাসন টিকিয়ে রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিপ্লব চলাকালে প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-শ্রমিক জনতার শহিদি মৃত্যু হয়। সরকার প্রতিটি মৃত্যুর তথ্য অত্যন্ত যত্নের সাথে জোগাড় করছে। এই বিপ্লবে আহত হয়েছে ১৯,৯৩১ জন। আহতদের জন্য ঢাকার ১৩টি হাসপাতালসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিনই তালিকায় আরো নতুন নতুন শহিদের তথ্য যোগ হচ্ছে যারা স্বৈরাচারের আক্রোশের শিকার হয়ে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। প্রতিটি হত্যার বিচার আমরা করবোই। জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচারের যে উদ্যোগ আমরা নিয়েছি, তার কাজও বেশ ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইবো।’
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “নির্বাচনী সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলেই ভোটের রোডম্যাপ”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে পারি যা যুগ যুগ ধরে অনুসরণ করা হবে। এর ফলে রাজনৈতিক সংকট থেকে আমাদের দেশ রক্ষা পাবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সময়টুকু আমি আপনাদের কাছে চেয়ে নিচ্ছি। নির্বাচনী সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপও পেয়ে যাবেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারে ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সৃষ্টি হয়েছে রাজনীতিকে নীতির কাঠামোয় আনার জন্য এবং রাজনীতির জন্য নতুন পরিবেশ সৃষ্টির নিবিড় আকাঙ্ক্ষা থেকে। এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা থেকে জাতিকে বঞ্চিত করবেন না। তিনি বলেন, নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে। এটা আর থামবে না। কিন্তু যেতে যেতে আমাদের অনেকগুলো কাজ সেরে ফেলতে হবে। এই ট্রেন শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছাবে সেটা নির্ভর করবে কত তাড়াতাড়ি আমরা তার জন্য রেললাইনগুলো বসিয়ে দিতে পারি আর তা হবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের মাধ্যমে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন কবে হবে এ প্রশ্ন আপনাদের সবার মনেই আছে। আমাদের মনেও সারাক্ষণ আছে। নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছি। কয়েকদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন হয়ে যাবে। তারপর থেকে নির্বাচন আয়োজন করার সমস্ত দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তাবে।
ড. ইউনূস বলেন, বিভিন্ন খাতের সংস্কার করার জন্য ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ সংস্কার কমিশনের আপডেট সময় সময় জানানো হচ্ছে। তবে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের সুযোগ আমরা কতটুকু পাব জানি না। তবে আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, আপনারা সুযোগ দিলে প্রয়োজনীয় কিছু অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার কাজ শেষ করেই আমরা আপনাদের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন আয়োজন করব। ততদিন পর্যন্ত আমি আপনাদের ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করব।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ আরও কিছু কাজ শুরু করে দিতে পারবে, যা একটি অবাধ নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সে লক্ষ্যেও সরকার কাজ করছে।
বলেন, ‘তবে আমরা মনে করি না যে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিলেই নির্বাচন আয়োজনে আমাদের দায়িত্ব শেষ। রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সংস্কার আমাদের এই সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার। আপনারাই আমাদেরকে এই ম্যান্ডেট দিয়েছেন। যে ছয়টি সংস্কার কমিশন আমরা শুরুতে গঠন করেছিলাম তারা ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে আপনারা তাদের কার্যক্রমের আপডেটও দেখছেন। কয়েকটি সংস্কার কমিশন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গঠন করেছে। আমার অনুরোধ আপনারা এই প্ল্যাটফর্মে উৎসাহ সহকারে আপনাদের মতামত জানাতে থাকুন।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রথম ছয়টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে একটি হলো নির্বাচন সংস্কার কমিশন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এই কমিশনের সুপারিশমালা অত্যন্ত জরুরি। তাদের প্ল্যাটফর্মে যান। আপনার মতামত খোলাখুলিভাবে তুলে ধরুন। আপনি দেশের মালিক। আপনি বলে দিন আপনি কি চান। কীভাবে চান।
ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচন নিয়ে আপনাদের সব বক্তব্য বিনা দ্বিধায় বলতে থাকুন। সবার মনের কথা তুলে ধরুন। আমার অনুরোধ সংস্কারের কথাটাও একইসঙ্গে বলুন। সংস্কারকে পাশ কাটিয়ে যাবেন না। নির্বাচনের কথা বলার সঙ্গে নির্বাচন ও অন্য ক্ষেত্রে সংস্কারের কথাটিও বলুন। সংস্কার হলো জাতির দীর্ঘমেয়াদি জীবনী শক্তি। সংস্কার জাতিকে বিশেষ করে আমাদের তরুণ-তরুণীদের নতুন পৃথিবী সৃষ্টির সুযোগ দেবে। জাতিকে বঞ্চিত করবেন না।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “দেশে ব্যবসায় সবচেয়ে বড় বাধা দুর্নীতি- সিপিডি”
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) মনে করে, বাংলাদেশে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে সবচেয়ে বড় বাধা। গতকাল ‘বাংলাদেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ সংস্কার: অন্তর্বর্তী সরকারের এজেন্ডা’ শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করে সিপিডি। এতে শেখ হাসিনার শাসনামলে পরিচালিত এক জরিপে ব্যবসায় বড় দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুনে পরিচালিত জরিপে আরও বেশ কয়েকটি সমস্যা উঠে এসেছে। সেগুলো হলো- অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, দুর্বল জনস্বাস্থ্য, অপরাধ ও চুরি এবং শ্রমবাজারে নৈতিকতার অভাব। সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ব্র্যাক সেন্টারে এ সংলাপে জরিপের ফলাফল তুলে ধরে বলেন, বিগত সরকারের আমলে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশে সীমিত অগ্রগতি দেখা গেছে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম কয়েকটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর হাতে জিম্মি ছিল।
সিপিডি জানিয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে পরিচালিত এই জরিপে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে প্রায় ১৭ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিকে তাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ডলারের বিনিময় হারে অস্থিরতাকে দ্বিতীয় বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হিসাবে ধরা হয়েছে। এরপর আছে অদক্ষ সরকারি আমলাতন্ত্র, মূল্যস্ফীতি ও মূলধন পাওয়ার সীমিত সুযোগ। আগামী দুই বছরে দেশের অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক মন্দা এবং দারিদ্র্য ও বৈষম্য অর্থনৈতিক- এই তিন ধরনের ঝুঁকিতে থাকবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি প্রবন্ধে বাংলাদেশে ডুয়িং ব্যবসা করার জন্য ১৭টি সমস্যাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে- দুর্নীতি, আমলাতন্ত্রের অদক্ষতা, বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিশীলতা, মুদ্রাস্ফীতি, আর্থিক সীমাবদ্ধতা, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, নীতির অস্থিতিশীলতা, দুর্বল শ্রমশক্তি, শিক্ষিত শ্রমশক্তির অপ্রতুলতা, উচ্চ কর হার, ট্যাক্স প্রবিধানের জটিলতা, জলবায়ু পরিবর্তন, অপরাধ ও চুরি, উদ্ভাবনের জন্য অপর্যাপ্ত ক্ষমতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, ঝুঁকিপূর্ণ জনস্বাস্থ্য এবং শ্রমনীতির সীমাবদ্ধতা।
সিপিডি’র মতে, ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতার মানদণ্ডে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া অর্থনীতির তুলনায় ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায়ও অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নীতি, আইন, প্রতিষ্ঠান ও কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য সংস্কারের অভাব অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে ওঠার বিষয়টিকে বাধাগ্রস্ত করছে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি দুর্নীতি সর্বদাই প্রধান সমস্যা। যদিও অপর্যাপ্ত অবকাঠামোর সমস্যা ধীরে ধীরে হ্রাস পেয়েছে। বছরের পর বছর ধরে অদক্ষ আমলাতন্ত্র আরেকটি প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামপ্রতিক বছরগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রার অস্থিরতা একটি কারণ হয়ে উঠেছে। মুদ্রাস্ফীতি সব সময় বড় চিন্তার কারণ। অন্যদিকে নীতির অস্থিতিশীলতা একটি মাঝারি স্তরের সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে।
সংলাপে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার (উপদেষ্টা) আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত অধ্যাপক লুৎফে সিদ্দিকী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সভাপতিত্ব করেন সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। এ ছাড়া অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু, এফআইসিসিআইয়ের সভাপতি জাভেদ আখতার, বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, ডিসিসিআই’র সভাপতি আশরাফ আহমেদ ও বিটিএমএ’র সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল উপস্থিত ছিলেন।
সিপিডি পরিচালিত এক্সিকিউটিভ ওপেনিয়ন সার্ভে (ইওএস) প্রতিবেদনে উঠে আসা জরিপটি করা হয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সহায়তায়। জরিপে তথ্য সংগ্রহ করা হয় গত এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে। এতে সেবা খাত, শিল্প ও কৃষি খাতের দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা তাদের মতামত দেন। দেশে ব্যবসা পরিচালনায় ঘুষ লেনদেন আরও বেড়েছে। ৫৭ শতাংশের বেশি ব্যবসায়ী মনে করেন, কর সংক্রান্ত সেবা পেতে ঘুষ দিতে হয়। আগের বছর এ অভিযোগ ছিল ৪৭.৮ শতাংশ ব্যবসায়ীর। জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
Leave a Reply