শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন

আমরা রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইনি

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪, ৮.৫৪ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা আছে, সফলতা কম, স্বস্তি আসেনি”

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে চলছে বেচাবিক্রি
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে চলছে বেচাবিক্রিফাইল ছবি: প্রথম আলো অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে; কিন্তু তাতে ফল কম। বাজারে স্বস্তি ফেরেনি; বরং বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়েছে।

বেশি বেড়েছে সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, আলু, ব্রয়লার মুরগি ইত্যাদির দাম। মোটা চাল ও চিনির দাম সামান্য হলেও বেড়েছে। কমেছে শুধু অ্যাংকর ডালের দাম। সবজির দাম এত দিন চড়া ছিল। কয়েক দিন ধরে কমছে।

গত দুই দিনে ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের চিত্র পাওয়া গেছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যের সঙ্গেও তার মিল আছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। খাদ্যমূল্য স্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য কিনতে মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে গত শনিবার দুপুরে সবজি কিনতে এসেছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী আয়নাল হক। তিনি বলেন, মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করেও তিনি কুলাতে পারছেন না।

১০০ দিন উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যধারা, অর্জন ও আশু কর্মপরিকল্পনার তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অংশে আলু, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল ও ডিম আমদানিতে শুল্ক কমানোর পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহব্যবস্থা তদারক ও পর্যালোচনা করতে গত ৭ অক্টোবর থেকে জেলা পর্যায়ে ১০ সদস্যের বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে এবং আগস্ট-অক্টোবরে ৬ হাজার ৫৭৩টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।

কিছু পণ্য আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও আমদানি ততটা বাড়েনি। দামও তেমন একটা কমেনি। যেমন একদিকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে দেশে ডিম পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এতে ডিম আমদানিতে উৎসাহ হারিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “আমরা রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইনি”

আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ দেওয়া হবে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘এটা ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইনি। বিএনপি এটা করেছে, বলেছে সব রাজনৈতিক দল অবশ্যই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সুতরাং তারা ইতিমধ্যে রায় দিয়ে দিয়েছে। আমরা দেশের একটি প্রধান দলের মতামতকে উপেক্ষা করব না।’

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আপনার কোনো আপত্তি নেই—সে প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘কোনো একটি দল বা আরেকটি দলকে বেছে নেওয়ার জন্য আমি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি নই। আমি রাজনীতিকদের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তা করছি।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঢাকার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকার আজ সোমবার হিন্দুর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ করা হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে খেলাপিঋণসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগ ও সেগুলোর সফলতার কথা তুলে ধরেন ড. ইউনূস।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “ঋণমান কমাল মুডি’স অর্থনীতির পূর্বাভাসও ‘নেতিবাচক’”

এক বছরের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান কমাল আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা মুডি’স। রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও নানা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে সরকারের ইস্যুয়ার ও সিনিয়র আনসিকিউরড রেটিং ‘বি১’ (B1) থেকে ‘বি২’-এ (B2) অবনমন করেছে সংস্থাটি। মুডি’সসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ঋণমান সংস্থা দুই বছর ধরেই দেশের ঋণমানে অবনমন ঘটাচ্ছে। বিষয়টিকে দেশের অর্থনীতি ও ঋণ পরিশোধ সক্ষমতা আগের চেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ার প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। মুডি’সের তালিকায় বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়া আর যে কয়টি দেশের বি২ রেটিং রয়েছে সেগুলো হলো কম্বোডিয়া, মঙ্গোলিয়া, রুয়ান্ডা, নিকারাগুয়া, পাপুয়া নিউগিনি ইত্যাদি।

ঋণমান অবনমনের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতির পূর্বাভাস ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘নেতিবাচক’ করে দিয়েছে মুডি’স। প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্যমতে, ঋণমান ও অর্থনীতির পূর্বাভাস অবনমনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের স্বল্পমেয়াদি ইস্যুয়ার রেটিং ‘নট প্রাইম’ বা ‘শ্রেষ্ঠ গুণসম্পন্ন নয়’ হিসেবে অপরিবর্তিত থাকবে।

মুডি’সের সিঙ্গাপুর অফিস থেকে বাংলাদেশের ঋণমান কমানোর তথ্য জানিয়ে গতকালই এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিশ্বব্যাপী মুডি’স, এসঅ্যান্ডপি ও ফিচ রেটিং—যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ তিন ঋণমান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান একত্রে ‘বিগ থ্রি’ হিসেবে পরিচিত। বিশ্বের ক্রেডিট রেটিং বাজারের সিংহভাগই এ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণে। এ তিন প্রতিষ্ঠানের রেটিংয়ের মধ্য দিয়ে কোনো দেশের অর্থনৈতিক দৃঢ়তা, বিনিয়োগ ও বৈদেশিক বাণিজ্য আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার প্রকাশ পায়। গত দুই বছরে এ তিন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেই বাংলাদেশের ঋণমান কমানো হয়েছে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “দল গঠনের প্রক্রিয়ায় ছাত্র আন্দোলনের নেতারা”

ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের পর দেশের চলমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কারের দাবি উঠেছে নানাদিক থেকে। বিপ্লব-পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোও কাঠামো ও নীতিগত পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। বিদ্যমান বাস্তবতায় আসছে জাতীয় নির্বাচনে লড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া নেতারা। ইতিমধ্যে তাদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল বা প্ল্যাটফরম তৈরির লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগও করছেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক কমিটিতে থাকা নেতৃবৃন্দ এবং বাইরের বিভিন্ন দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠন হতে পারে নতুন দল বা প্ল্যাটফরম। এতে সরাসরি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্পৃক্ততা থাকবে না। তবে নেতারা কেউ কেউ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবেন।

ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ইতিমধ্যে কয়েকটি দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। শনিবার বিএনপি’র একজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে তারা আলোচনা করেন। ওই আলোচনায় সরকারের তিন জন উপদেষ্টা ছিলেন বলে জানা গেছে। তিন উপদেষ্টার মধ্যে দু’জন ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে নতুন দল গঠনের প্রক্রিয়াকে কেউ কেউ আবার ভিন্নভাবেও দেখছেন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন মানবজমিনকে জানিয়েছেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি সিভিল সোসাইটির কাজগুলোই করবে। কিন্তু এখান থেকে একটা অংশ যারা রাজনীতিতে আগ্রহী তারা মিলে একটি রাজনৈতিক দল হতে পারে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা এ বিষয়ে মানবজমিনকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কোনো রাজনৈতিক দলে রূপ দেয়া হবে না বলে আমরা একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। আমরা আমাদের সংগঠনকে সে রকমই রাখতে চাই। তবে কেউ যদি আলাদাভাবে নির্বাচন করতে চায় সেটি তারা করতে পারেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024