শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন

রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার না চাইলে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দেব

  • Update Time : বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪, ৮.৫৩ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “অটোরিকশার ধাক্কায় ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় চারজন বরখাস্ত”

ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাচির মৃত্যুর ঘটনায় ডেপুটি রেজিস্ট্রারসহ চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি একদিনের জন্য সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আজিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাময়িক বরখাস্তরা হলেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান, নিরাপত্তা কর্মকর্তা রাসেল মিয়া, সহকারী সুপারভাইজার আব্দুস সালাম ও ডিউটি গার্ড মনসুর রহমান প্রামাণিক। দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে দায়ীদের বহিষ্কার করে দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়ায় বাসভবনের সামনে থেকে সরে আসেন তারা।

অপরদিকে, বুধবার (২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস ঘোষণা করে সকল ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “বাংলাদেশ ব্যাংকের ছয় কর্মকর্তাকে আজ দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ”

ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের তিনটি শাখা থেকে হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ছয় কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদকের অনুসন্ধান টিম। এছাড়া আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও সাত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে।

আজ বুধবার যে ছয় জন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা, তারা হলেন বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক সুনির্বাণ বড়ুয়া, অনিক তালুকদার, অতিরিক্ত পরিচালক শংকর কান্তি ঘোষ, ছলিমা বেগম, উপ-পরিচালক মো. জুবাইর হোসেন ও রুবেল চৌধুরী। আর আগামী কাল বৃহস্পতিবার যাদের দুদকে হাজির হওয়ার কথা, তারা হলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ মু. আরিফ-উন-নবী, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মো. শোয়েব চৌধুরী, মো. মঞ্জুর হোসেন খান ও মো. আব্দুর রউফ, উপ- পরিচালক লেনিন আজাদ পলাশ এবং পরিচালক মো. সরোয়ার হোসাইন।

অভিযোগ রয়েছে, মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম সারওয়ার চৌধুরী, জুবলি রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টসসহ অন্যরা ঋণের নামে হাজার কোটি টাকা ইসলামী ব্যাংক থেকে আত্মসাৎ করেছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক ইয়াছির আরাফাত গত ১১ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন। ঐ চিঠিতে তাদের মধ্যে ছয় জনকে ২০ নভেম্বর ও সাত জনকে ২১ নভেম্বর দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে কর্মকর্তাদের হাজির হওয়ার পাশাপাশি তাদের পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।

এছাড়া চিঠিতে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের চাকতাই শাখার গ্রাহক মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ, জুবিলী রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস নামীয় ঋণ পরিদর্শন ও মনিটরিং সংক্রান্ত কর্মকর্তার ভূমিকার বিষয়ের বিস্তারিত তথ্যসহ হাজির হতে বলা হয়েছে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার না চাইলে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দেব”

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল মুখোমুখি হয়েছিলেন বণিক বার্তার। কথা বলেছেন সংস্কার, আসন্ন নির্বাচন, দেশের আর্থিক ও বিদ্যুৎ খাতসহ নানা বিষয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ হঠাৎ করেই এ অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটল। একটু সুস্থির হতে সময় লাগছে। আমরাও বোঝার চেষ্টা করছি কোথা থেকে শুরু করব। সব তো লণ্ডভণ্ড অবস্থা। অর্থনীতি লণ্ডভণ্ড, ব্যাংকিং সিস্টেম লণ্ডভণ্ড। ব্যবসা-বাণিজ্য লণ্ডভণ্ড। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে।

ছয়টি বন্যা গেছে। সে সময় ফসল নষ্ট হয়েছে, সবজি নষ্ট হয়েছে। সেটির ধকল সহ্য করতে হয়েছে। যেগুলো আমদানি করা হচ্ছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে মুদ্রার বিনিময় হারে পরিবর্তন এসেছে। এ টাকা ডলারে পরিবর্তন হয়ে সেখানে খরচ বেশি হচ্ছে। এজন্যই মূল্যস্ফীতিটা বেশি হয়ে গেছে।

সংস্কার প্রতিবেদন পাওয়ার পরে রাজনৈতিক দলগুলো যদি বলে, ‘কোনোটিরই দরকার নেই তাড়াতাড়ি নির্বাচন দেন। এগুলো আমরা করব। আপনাদের এসবের মধ্যে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। রিপোর্ট লিখেছেন, এখন আমাদের কাছে আসবে।’ হতে পারে। আমরা সেটির জন্য অপেক্ষা করব। যদি বলে যে নির্বাচন দিয়ে দেন, তাহলে আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সবাইকে নির্বাচনে চায় বিএনপি”

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের কাছে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ। তাকে ফেরত আনতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভারত যদি এক্ষেত্রে প্রত্যর্পণ বিষয়ক চুক্তির রাজনৈতিক ধারা ব্যবহার করে তাহলে আমাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক তৈরি করবে না। দ্য হিন্দুকে দেয়া দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে তার কোনো আপত্তি নেই। বিএনপি চায় নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ অবশ্যই থাকতে হবে। এর মধ্যদিয়ে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি তার রায় দিয়ে দিয়েছে। ড. ইউনূস বলেন, একটি বড় দলের মতামতকে আমরা উপেক্ষা করতে পারি না। সাক্ষাৎকারে তিনি ভারত-বাংলাদেশ প্রসঙ্গ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক সহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেছেন। দাবি তুলেছেন সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার। বলেছেন, তিনি স্বপ্ন দেখেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মতো একটি ইউনিয়নের। ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে ঢাকার যমুনায় তার সরকারি বাসভবনে ওই সাক্ষাৎকার দেন। এ সময় তিনি বলেন, ১০০ দিনে তিনি অর্থনীতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করেছেন। অন্যদিকে হিন্দুদের ওপর হামলার বিষয়টিকে প্রপাগান্ডা বা অপপ্রচার বলে অভিহিত করেন। এই সাক্ষাৎকারে তিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি ও সংস্কার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ভারতীয় ওই সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর একজন দক্ষ এবং দূরদর্শীর মতো দিয়েছেন ড. ইউনূস। যেসব প্রশ্নে তার উত্তেজিত হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক ছিল, তার উত্তর দিয়েছেন অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায়। কখনো কখনো ওই সাংবাদিককে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেছেন। দ্য হিন্দুর পক্ষে সাক্ষাৎকারটি নেন সাংবাদিক সুহাসিনী হায়দার। এখানে প্রশ্নোত্তর আকারে তা তুলে ধরা হলো-

প্রশ্ন: বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ১০০ দিন সম্পন্ন করেছেন আপনি। প্রধান দু’টি ইস্যু আইনশৃঙ্খলা এবং অর্থনীতি নিয়ে আপনার সরকারকে কীভাবে গ্রেড দেবেন?
ড. ইউনূস: ভালো কথা। আমরা এখনো আইনশৃঙ্খলার উন্নতি ঘটাচ্ছি। কিন্তু আমি বলবো না যে, আমরা ‘এ’ গ্রেড পেয়েছি। অন্য ইস্যুতে আমি বলবো- এটা ‘এ-প্লাস’। কারণ, উত্তরাধিকার সূত্রে আমরা বিধ্বস্ত একটি অর্থনীতি পেয়েছি। সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকিং সিস্টেম ধ্বংসের কাছাকাছি চলে এসেছিল। এটা এক ‘ক্রেজি’ ব্যাংকিং সিস্টেম। আছে মন্দ ঋণ, শতকরা ষাট ভাগ পেমেন্ট পরিশোধ করা হয়নি। ব্যাংক জানে না কীভাবে একে অন্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে, কীভাবে কাস্টমারের সঙ্গে ‘ডিল’ করতে হবে এবং আরও অনেক কিছু। ফলে আমরা প্রায় অকার্যকর একটি আর্থিক ব্যবস্থা পেয়েছি। সেখান থেকে আমরা ব্যাংকিং সিস্টেমকে আবার নতুন করে গড়ে তুলে তাদেরকে কার্যকর করেছি। এখনো পারফেক্ট হয়নি, কিন্তু তারা সামনে অগ্রসর হচ্ছে। আমরা যখন দায়িত্ব নিই তখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী ছিল। কিন্তু গত ১০০ দিনে মাসের পর মাস তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা পাওনা পরিশোধে সক্ষম হয়েছি। আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের ভাবমূর্তি উন্নত করেছি। মুদ্রাস্ফীতিকে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছি। সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো, আমরা বৈশ্বিক পর্যায় থেকে বিপুল পরিমাণের সাপোর্ট পেয়েছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। তারা মুক্ত বিনিয়োগে আরও সহযোগিতা ও অনেক কিছুর আশ্বাস দিয়েছে। আমি যখন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়েছি তখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট সহ অনেক দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তারা আর্থিক ও রাজনৈতিক সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমাদের এমন কর্মকর্তারা আছেন, যারা বিনিয়োগকারীদের সমস্যাকে সমাধানে প্রস্তুত, যাতে তারা বাংলাদেশের ব্যুরোক্রেটিক জটিলতায় না পড়েন। সেটা হলো ওয়ান-স্টপ সার্ভিস, যেখানে আপনি সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। ফলে আমি বলবো, দেশ খুবই ইতিবাচক পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024