রাজউক কর্তৃক পূর্বাচল এলাকায় বরাদ্দকৃত প্লটের বিপরীতে আধুনিক পদ্ধতিতে শিগগিরই ভূমি জরিপ কাজ শুরু হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, রাজউক কর্তৃক পূর্বাচল এলাকায় বরাদ্দকৃত প্লটের বিপরীতে আধুনিক পদ্ধতিতে শিগগিরই ভূমি জরিপ কাজ শুরু করবে। ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক চলতি মাসের ৭ তারিখে পূর্বাচল প্রকল্পভুক্ত নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার ১৫টি এবং গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ২টি মৌজায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জরিপ কাজ শুরুর প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে গেজেড বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এ ১৭ টি মৌজায় মোট জমির পরিমাণ ৮৯৪২.৭৩ একর।
আজ ভূমি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ভুমি মন্ত্রণালয়ের এলাম্স কর্মসূচির আওতাভুক্ত ‘ডিজিটালাইজড ভূমি জরিপ কার্যক্রম বিষয়ক অবহিতকরণ ও করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহ. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ ও বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ছিদ্দিকুর রহমান (অব.)। এ অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়, রাজউক ও ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি মালিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, পূর্বাচল প্রকল্পের ১৭টি মৌজার ডিজিটাল পদ্ধতিতে জরিপ কার্যক্রম দু’বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব। তবে রাজউক প্রস্তুতকৃত লে-আউট প্লান, জমির হালনাগাদ মালিকানা তথ্য ও চূড়ান্ত জরিপ পত্র খানাপুরী-বুঝারত নকশা প্রস্তুতের পূর্বে সরবরাহ করলে এক বছরের মধেই সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
কর্মশালায় আরো জানানো হয়, গেজেটকৃত ১৭টি মৌজা রাউকের পূর্বাচল প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় উক্ত মৌজার জরিপ কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য রাজউকের পূর্ণাংগ সহযোগিতা প্রয়োজন। মৌজাসমূহের জমির মালিকানা রাজউকের হওয়ায় রাজউক কর্তৃক যে সকল ব্যক্তিকে লীজ প্রদান করা হয়েছে তাদের পূর্ণাংগ হালনাগাদ তালিকা ও লীজ গ্রহীতাদের রাজউক কর্তৃক প্রদত্ত চূড়ান্ত জরিপ পত্র প্রদান করা প্রয়োজন।
ভূমি সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেন, গেজেটকৃত ১৭টি মৌজা হতে পাইলটিং হিসেবে রুপগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও মৌজাটিতে ইতোমধ্যে জরিপের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মৌজার রেকিকরণ সম্পন্ন হয়েছে। ০৪টি জিওডেটিক কন্ট্রোল পিলার স্থাপন ও স্থানাংক মান নির্ণয় করা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, পূর্বাচল মৌজায় ডিজিটাল জরিপ কাজ সম্পন্ন হলে এলাকটি একটি আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব মডেল টাউন হিসেবে গড়ে উঠবে।
Leave a Reply