প্রদীপ কুমার মজুমদার
ভারতীয়র। বিশ্বাস করতেন-বেদ, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদ ভগবান কর্তৃক প্রেরিত এবং অন্যান্য সাহিত্য ঋষি প্রণীত। এই ঋষি প্রণীত সাহিত্যের মধ্যে সূত্র সাহিত্য প্রধান।১ সূত্র সাহিত্য মোটামুটি তিনভাগে বিভক্ত যথা (১) শ্রৌত-সূত্র, (২) গৃহসূত্র, (৩) ধর্মসূত্র। এই তিন ভাগের আবার বহু শাখা উপশাখা আছে।
যেমন শ্রৌতসূত্রের মধ্যে আখলায়ন, সান্ধ্যায়ন, মশক, লাট্রায়ন, ব্রাহ্মায়ন, বৌধায়ন, ভারদ্বাজ, আপস্তম্ব হিরণ্যকেশীন, কাত্যায়ন প্রভৃতির নাম উল্লেখযোগ্য ধর্মসূত্রের মধ্যে বাশিষ্ঠ, গৌতম, বৌধায়ন, আপস্তম্ব প্রভৃতি শাখার নাম উল্লেখযোগ্য।গৃহস্থত্রের নানা শাখার মধ্যে সান্ধ্যায়ন, আশ্বলায়ন, পারস্কর, গোভিল প্রভৃতির নাম
উল্লেখযোগ্য।
অনেকে শ্রৌত সূত্র, ধর্মসূত্র এবং গৃহস্থত্রকে একসঙ্গে কল্পসূত্র নামেও অভিহিত করেন। সূত্র সাহিত্যের ব্যাপক প্রচার এবং উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয়দের মধ্যে বেশ সুষ্ঠভাবে দর্শন চিন্তার উন্মেষ হয়। দর্শনগুলির মধ্যে প্রধাণতঃছয়টি দর্শনই উল্লেখযোগ্য।
সেগুলি হচ্ছে (১) কপিল প্রণীত সাত্ম্যদর্শন, (২) কণাদ প্রণীত বৈশেষিক দর্শন, (৩) গৌতম প্রণীত ক্ষ্যায়দর্শন, (৪) পতঞ্জলি প্রণীত পাতঞ্জল দর্শন (৫) জৈমিনি প্রণীত পূর্বমীমাংসা, (৬) ব্যাস প্রণীত বেদান্ত দর্শন।এছাড়া চার্বাক প্রণীত চার্বাক দর্শন ও আরও কয়েকটি দর্শন আছে।
(চলবে)
Leave a Reply