শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন

ইশকুল (পর্ব-৫৩)

  • Update Time : বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ৮.০০ পিএম

আর্কাদি গাইদার

সপ্তম পরিচ্ছেদ

একগুয়ের মতো তবু বললুম, ‘অসুস্থই তো। আমার গায়ে তো টেম্পারেচার রয়েছে।’

উনি ধমকে উঠলেন, ‘সকলেরই গায়ে টেম্পারেচার থাকে। বাজে কথা বোকো না। চল, ইশকুলে চল!’

‘নাও, এখন ফ্যাসাদে পড়লুম তো!’ ইনস্পেক্টরের পিছু পিছু ইশকুলমুখো যেতে-যেতে ভাবলুম, ‘কী দরকার ছিল অসুখের কথা বানিয়ে বলার? আসল কারণটা না বলেও ইশকুল কামাই করার আর কোনো লাগসই অজুহাত কি মাথা খাটিয়ে বের করা যেত না?’

ইশকুলের বুড়ো ডাক্তারবাবু, একবার খালি আমার কপালে হাতটা ছাঁইয়েই, টেম্পারেচার না নিয়ে রায় দিয়ে দিলেন।

‘ইশকুল-পালানোর সাংঘাতিক অসুখে ভুগছে। আমি বিধান দিচ্ছি, অসৎ আচরণের জন্যে খারাপ নম্বর দেয়া হোক আর ইশকুল ছুটির পর আরও দু-ঘণ্টা আটক রাখা হোক।’

ইনস্পেক্টরও পণ্ডিত কম্পাউন্ডারের মতো বিজ্ঞভাবে ঘাড় নেড়ে এই বিধানে সায় দিলেন।

ইশকুলের দারোয়ান সেমিওনকে ডেকে তিনি তার ওপর ভার দিলেন আমায় ক্লাসে পৌঁছে দেবার।

সেদিন ছিল আমার কপালে বিপদের ওপর বিপদ।

যখন ক্লাসে ঢুকলুম তখন আমাদের জার্মান ভাষাশিক্ষার শিক্ষিকা এসা ফ্রান্সিস্কোনা তোরোপিগিনকে প্রশ্ন করছিলেন। হঠাৎ এভাবে বাধা পড়ায় বিরক্ত হয়ে তিনি বললেন:

‘গোরিকভ, ‘কোমেন, জী হীর (এদিকে এস)। আচ্ছা, ‘থাকা’ ধাতুর সবকটা কালের ক্রিয়ারূপ বল। যেমন, ‘ইখ হাবে (আমার আছে)’, উনি নিজেই শুরুটা ধরিয়ে দিলেন।

‘ড্যু হাস্ট, (তোমার আছে),’ চিজিকভ চুপিচুপি খেই ধরিয়ে দিল।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024