প্রদীপ কুমার মজুমদার
ভারতীয় সমাজের মেরুদণ্ডস্বরূপ এক ধরণের সাহিত্য পরবর্তী কালে গড়ে উঠেছিল। এগুলি স্মৃতি নামেই অধিক পরিচিত। কেউ কেউ অবশ্য এই স্মৃতি সাহিত্যকে ধর্ম সংহিতা নামেও উল্লেখ করেছিল। স্মৃতি বা ধর্মসংহিতা মোটামুটি কুড়িটি ভাগে বিভক্ত। এগুলি হচ্ছে- (১) মনুসংহিতা, (২) অত্রি সংহিতা, (৩) বিষ্ণু সংহিতা, (৪) হারীত সংহিতা, (৫) যাজ্ঞবল্ক্য সংহিতা, (৬) উশনঃ সংহিতা, (৭) অঙ্গিরঃ সংহিতা, (৮) যম সংহিতা, (৯) আপস্তম্ব সংহিতা, (১০) সংবর্ত সংহিতা, (১১) কাত্যায়ন সংহিতা, (১২) বৃহস্পতি সংহিতা (১৩) পরাশর সংহিতা, (১৪) ব্যাস সংহিতা, (১৫) শঙ্খ সংহিতা, (১৬) লিখিত সংহিতা, (১৭) দক্ষ সংহিতা, (১৮) গৌতম সংহিতা, (১৯) শাতাতপ সংহিতা (২০). বশিষ্ঠ সংহিতা।
আবার অনেকে কশ্যপ সংহিতা, গর্গ সংহিতা, ও প্রচেতা সংহিতা প্রভৃতির নামও স্মৃতি বা ধর্মসংহিতার সঙ্গে যুক্ত করেন।
স্মৃতি বা ধর্মসংহিতা রচিত হবার পরই পুরাণ নামে এক ধরণের ইতিহাসাশ্রিত সাহিত্যের সৃষ্টি হয়। পুরাণ প্রধানতঃ দুই প্রকার-যথা (১) মহাপুরাণ ও (২) উপপুরাণ। মহাপুরাণ মোটামুটি আঠারোটি ভাগে বিভক্ত। এগুলি হচ্ছে যথা ব্রহ্মপুরাণ, (২) পদ্মপুরাণ (৩) বিষ্ণুপুরাণ, (৪) শিবপুরাণ, (৫) লিঙ্গ পুরাণ, (৬) গরুড়ু পুরাণ, (৭) নারদীয় পুরাণ, (৮) মৎসপুরাণ, (৯) ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, (১০) মার্কণ্ডেয় পুরাণ, (১১)
শ্রীমদ্ভাগবত, (১২) অগ্নি পুরাণ, (১৩) স্কন্দপুরাণ, (১৪) ভবিষ্য পুরাণ, (১৫) বামন পুরাণ, (১৬) বরাহ পুরাণ, (১৭) কৃৰ্ম্মপুরাণ, (১৮) ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ।
উপপুরাণ আবার আঠারোখানি। এগুলি হচ্ছে- (১) সনৎকুমারোক্ত আদ্য,(২) নারসিংহ, (৩) কুমারোক্ত স্কন্দ, (৪) নান্দীশভাষিত শিবধর্ম, (৫) দুর্ব্বাসা,(৬) নারদীয়, (৭) কাপিল, (৮) বামন, (৯) উশনা, (১০) ব্রহ্মাণ্ড, (১১) বারুণ, (১২) কালিকা, (১৩) মাহেশ্বর, (১৪) শাম্ব, (১৫) সৌর, (১৬) পরাশর, (১৭) মারীচ, (১৮) ভার্গব। এছাড়াও অনেকে বায়বীয়, নান্দিকেশ্বর, পাদ্ম, দেবী ও ভাস্কর নামে আরও পাঁচটি উপপুরাণের নাম উল্লেখ করে থাকেন।
(চলবে)
Leave a Reply