সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “বনভোজনের বাস বিদ্যুতায়িত, গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু”
গাজীপুরের শ্রীপুরে বনভোজনে যাওয়ার পথে দ্বিতল বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী। আজ শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তিন শিক্ষার্থী হলেন মো. মুস্তাকিম মাহিন (২২), মোজাম্মেল হোসেন (২৩ ) ও জুবায়ের রহমান (২৩)।
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “জানুয়ারি থেকে স্কুল-কলেজের সব শিক্ষকের এমপিও ইএফটিতে”
বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতার সরকারি অংশ বা এমপিও আগামী জানুয়ারি মাস থেকে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) প্রক্রিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সেজন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার তালিকাভুক্তি বা এমপিওভুক্তি এবং উচ্চতর গ্রেড, বিএড স্কেলসহ বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা পাওয়ার আবেদনের সময় পুনর্নির্ধারণ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
নতুন এ সূচি অনুসারে, ফেব্রুয়ারি, এপ্রিল, জুনের মত প্রতি ‘জোড়’ মাসের ৬ তারিখের মধ্যে বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তি ও এ সংক্রান্ত আবেদন করতে পারবেন। এর আগে জোড় মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত এমপিওভুক্তির আবেদনের সুযোগ ছিল।
আর জানুয়ারি, মার্চ, মে বা জুলাইয়ের মত প্রতি ‘বেজোড়’ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে এমপিও কমিটি সভা করে আবেদন করা শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নেবে।
সরকারি কর্মচারীরা ইএফটিতে বেতন-ভাতা পান। অন্যদিকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে অনেকটা ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হয়।
ব্যাংকগুলো মাধ্যমে বেতন-ভাতা ছাড়ের জন্য কয়েক পর্যায়ে অনুমোদনসহ সংশ্লিষ্ট কাজে অনেক ক্ষেত্রেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পেতে দেরি হয়। অনেক সময় পরের মাসের ১০ তারিখের পরও আগের মাসের বেতন-ভাতা জোটে।
বিগত সময়ে এক ঈদের উৎসব ভাতা আরেক ঈদে পাওয়ার মত ‘বিব্রতকর’ পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়েছে শিক্ষাব্যবস্থার সিংহভাগ পরিচালনা করা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের। ফলে শিক্ষকরাও সরকারি কর্মীদের মত মাসের শুরুতে ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পাওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চান ৬১.১% মানুষ, সব সংস্কার শেষে নির্বাচনের পক্ষে ৬৫.৯%”
বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ৬১ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ মনে করেন, এক বছরের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। তবে আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে বেশিরভাগ মানুষ (৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ) বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যা যা সংস্কার করা প্রয়োজন মনে করবে তার সবগুলো করার পরই নির্বাচন আয়োজন করা উচিত আর শুধুমাত্র নির্বাচন সংক্রান্ত জরুরি সংস্কারগুলো শেষ করে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতার।
১৮ দশমিক ৭ শতাংশ লোক চান দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে নির্বাচন আর ৮ দশমিক ৬ শতাংশ নির্বাচন চান ১৮ মাসের মধ্যে।
সবচেয়ে কম ৫ দশমিক ৮ শতাংশ জনগণ চার বছর বা তার চেয়ে বেশি সময় পর আগামী জাতীয় নির্বাচন হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
কত দ্রুত নির্বাচন হওয়া উচিত এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলেছেন ৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ আর নির্বাচন কবে হওয়া উচিত সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি ১ দশমিক ১ শতাংশ।
ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার তত্ত্বাবধানে, বাংলাদেশে দেশব্যাপী এক জরিপের ফলাফলে এসব তথ্য জানা গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর কেমন আছে বাংলাদেশ, এ নিয়ে কী ভাবছেন দেশের নাগরিকরা— এ বিষয়ে ভয়েস অব আমেরিকা দেশব্যাপী একটি জরিপ করে।
ভয়েস অব আমেরিকা উল্লেখ করেছে যে, জরিপটিতে মার্জিন অব এরর ৩.১ শতাংশ। জরিপটির উত্তরদাতারা প্রায় একমাস আগে যেহেতু তাদের মতামত জানিয়েছেন তাই এখন জরিপটি করলে এর ফলাফল অনেকক্ষেত্রেই ভিন্ন হতে পারে।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “কলকাতায় বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মন্দা, বাদ বইমেলা ও চলচ্চিত্র উৎসব থেকে”
ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত কলকাতায় বাংলাদেশের নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হয়ে এসেছে এতদিন। সেই কর্মকাণ্ড ঘিরে দুই বাংলা মিলনমঞ্চে পরিণত হতো। সাহিত্য, সঙ্গীত, চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি জগতের গুণীজনদের আনাগোনায় প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠতো সংস্কৃতির শহর কলকাতা। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলাতেও বাংলাদেশের সগৌরব উপস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যপ্রেমীদের মধ্যে উৎসাহের জোয়ার দেখা যেতো। কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থাপত্যের অনুকরণে তৈরি সুবিশাল প্যাভিলিয়ন থাকতো সকলের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র।
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ও নাট্যকার অভিনেতা ব্রাত্য বসু গত বছর বইয়ের স্বর্গ কলেজ স্ট্রিটে আয়োজিত বাংলাদেশ বইমেলার উদ্বোধন মঞ্চে দাঁড়িয়ে গর্বের সঙ্গে জানিয়েছিলেন, দুই বাংলাকে জুড়ে রেখেছে আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি এবং অবশ্যই বই। যা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আটকে রাখা যাবে না।
কিন্তু এ বছর একটা মন্দার ছবি দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর একটা পরিবর্তন এসেছে ঠিকই। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও শীতলতা দেখা দিয়েছে। দূতাবাস ও উপদূতাবাসগুলোতেও একটা আপাত স্থবিরতা বিরাজ করছে। ফলে বাংলাদেশের তরফে সাংস্কৃতিক কোনো কর্মকাণ্ডের চঞ্চলতা এখন পর্যন্ত চোখে পড়ছে না। ডিসেম্বর মাসে কলকাতায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে যে ‘বাংলাদেশ বইমেলা’ ও ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে’র আয়োজন করা হতো তার ইঙ্গিত কোনও সূত্র থেকেই মেলেনি। অবশ্য নিরাপত্তার বিষয়টি এ ক্ষেত্রে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে বলে একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। আর কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণও এক প্রকার অনিশ্চিত। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকেও বাদ রাখা হয়েছে বাংলাদেশকে।
ইতিমধ্যেই এই সব খবর মিডিয়ার কল্যাণে জানাজানি হওয়ার পর থেকে কলকাতার বাংলাদেশ অনুরাগীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের সাহিত্যের এক নিবিষ্ট পাঠক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা সাহিত্যের স্নাতকোত্তর ছাত্র নীলাঞ্জন সেন তার হতাশার কথা কোনওরকম গোপন না রেখেই বলছিলেন, সাহিত্য -সংস্কৃতির অঙ্গনে রাজনীতির প্রবেশ কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তিনি প্রতিবছর বাংলাদেশের নতুন নতুন লেখকদের সাহিত্য পড়ার জন্য বইমেলায় বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নের দিকে তাকিয়ে থাকতেন জানিয়ে বলেন, আমার মতো বহু সাহিত্য অনুরাগীই এ বছর বঞ্চিত হতে চলেছেন। অবশ্য শেষ মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত হলে তা আলাদা কথা।
কলকাতা বইমেলার বয়স ৪৮ বছর হলেও গত ২৮ বছর ধরে এই বইমেলায় বাংলাদেশ অন্যতম অতিথি দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়ে এসেছে। বাংলাদেশ থিম কান্ট্রি হিসেবেও বিবেচিত হয়েছে একাধিকবার। বইমেলার ১২ দিনের মধ্যে একটি দিন পালন করা হতো বাংলাদেশ দিবস হিসেবে। সারাদিন ধরে মেলা প্রাঙ্গনে বাজতো বাংলাদেশের নানা সঙ্গীত। আর সেমিনার হতো বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির নানা অভিমুখ নিয়ে।
সম্প্রতি কলকাতা বইমেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের তরফে বইমেলায় অংশগ্রহণের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স থেকে লাতিন আমেরিকার দেশের নাম থাকলেও নাম নেই প্রতিবেশী বাংলাদেশের।
পর্যবেক্ষক মহলের মতে, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কারণেই এই সিদ্ধান্ত। গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় সব দায়ভার কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন।
বাংলাদেশের সরকারি সংস্থা জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের ডিরেক্টার আফসানা বেগম অবশ্য সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ প্রবলভাবে আগ্রহী ছিল। আগ্রহী ছিলেন বাংলাদেশের প্রকাশকরাও। সরকারিভাবে কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে তারা আয়োজক সংস্থার কাছে ই-মেইল এবং একাধিকবার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে কথা বললেও কোনও উত্তর পান নি। আর তাই হাল ছেড়ে দিয়েছেন।
Leave a Reply