ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
মায়াদের বর্তমান সমাজ পশ্চিমী সভ্যতায় একটি স্থান অর্জন করেছে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এই চিহ্ন তারা তৈরি করতে পেরেছে নিজেদের বৈশিষ্ট্যর জোরেই। কিন্তু একথা কিছু প্রত্নঐতিহাসিক মনে করেন যে পশ্চিমী দেশ এবং স্পেনীয় শক্তি মায়াদের জন্য কিছু করেনি এবং এইসঙ্গে মায়াদের উপর নিক্ষেপ করা হয়েছিল যুদ্ধ, হিংসা, অত্যাচারের মত ধারাবাহিক যন্ত্রণা।
এই নীরব অবহেলা, অবজ্ঞা মায়াদের সামাজিকীকরণের উপরেও খারাপ প্রভাব ফেলেছিল। শিক্ষা, চিন্তা-ভাবনা, ছোটদের বিদ্যালয়ে এই ধারণা গেঁথে দেওয়া হয়েছিল যে সভ্যতা, সংস্কৃতির ধ্বংসাবশেষ একটি বড় সভ্যতার অতীতমাত্র। কিন্তু এই মহান সভ্যতা ও সংস্কৃতি যে মায়াদের নিজস্ব ঘরানা বা অতীত সে সম্পর্কে আগন্তুক শাসকরা নীরব ছিল।
উপরন্তু তাদের গ্রীক,রোমান, আমেরিকান গৃহযুদ্ধ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করা হয়েছিল। এই সচেতন, অবজ্ঞা সত্ত্বেও মায়ারা এখনো মনে করে যে তাদের মধ্যে আছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং এই ঘরানা বহু প্রাচীনতার উপাদন নিয়ে সমৃদ্ধ। মায়ারা অনেক সময় এখন নিজেদের মায়া-প্রজন্মের বলে ভাবে না, নিজেদের প্রাচীন ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে মনে করতে বেশি পছন্দ করে।
কিন্তু মেক্সিকো, বেলিজ, গুয়াতেমালায় বসবাস করেন এমন ৯০ লক্ষ মায়া আজ পর্যন্ত নিজেদের শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়নি। নিজেদের সাবেকি সংস্কৃতিকে নানা কৌশল এবং সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে।
(চলবে)
Leave a Reply