সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “দেশে ঘণ্টায় ৩ অপরিণত নবজাতকের মৃত্যু হচ্ছে”
আকালিক বা সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশুর হার বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। দেশে ১৬ শতাংশ শিশুর জন্ম হচ্ছে অকালে। প্রতি ঘণ্টায় অপরিণত ও কম ওজনের তিনটি নবজাতক দেশের কোথাও না কোথাও মারা যাচ্ছে। প্রতিরোধ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা যা আছে, তার পূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না।
গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত এক কর্মশালায় এই তথ্য জানানো হয়। ‘বাংলাদেশে অপরিণত শিশুর বোঝা, গৃহীত পদক্ষেপ ও উদ্ভাবন’ শীর্ষক এই কর্মশালা যৌথভাবে আয়োজন করে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ও বিএসএমএমইউ। এতে গবেষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক, শিক্ষার্থী এবং একাধিক পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি অংশ নেন।
কর্মশালার শুরুতে আইসিডিডিআরবির মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের বিজ্ঞানী ড. আহমেদ এহসানূর রহমান মাতৃগর্ভে কততম সপ্তাহে ভ্রূণের কোন ধরনের পরিবর্তন ঘটে, তার বর্ণনা দেন। ২৮ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগে জন্ম হলে কী সমস্যা হয়, ৩২ বা ৩৬ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগে জন্ম হলে কী সমস্যা, তা ব্যাখ্যা করেন। সময়ের আগে অর্থাৎ ৪০ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগে জন্ম হলে সেসব নবজাতকের শ্বাসকষ্ট, জন্ডিস, রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি থাকে। এসব নবজাতকের শরীরে তাপ কম থাকে। রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও কম থাকে। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। এদের সেরিব্রাল পালসি, মৃগীরোগ বা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিতার ঝুঁকি থাকে। তাদের মানসিক বিকাশও ঠিকমতো হয় না।
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাপসসহ ৩০ জনের নামে মামলা”
রাজধানীর বঙ্গবাজারে ২০২৩ সালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে শনিবার (২৩ নভেম্বর) আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।
শাহবাগ থানার ওসি মুহাম্মদ খালিদ মুনসুর গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, রাজধানীর বঙ্গবাজার দুই বছর আগে পরিকল্পিতভাবে আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছিল ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে মিরপুর এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন রিপন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ৫০০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ এনে শুক্রবার শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশ শনিবার আদালতে মামলার প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। যাতে মামলা দায়েরে বিলম্বের কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস , দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন রতন, আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, মোহন ঢালী, মনোয়ার হোসেন মনু, লোকমান খান, বেলায়েত হোসেন, রুবেল, হুমায়ুন কবির, শাহাবুদ্দিন , আব্দুল হান্নান, হাসানসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল ভোররাতে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা পরস্পরের জোগসাজসে পরিকল্পিতভাবে অগ্নি সংযোগ করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “পুরনো নীতি অনুসরণ করে বন্ডের মাধ্যমে বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধ হচ্ছে”
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ দুই বছরে বিদ্যুৎ ও সারে ভর্তুকি বাবদ বিপুল অংকের অর্থ বকেয়া পড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেয়া হয়। চলতি ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে কয়েক ধাপে বিশেষ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও সারের ভর্তুকি বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকার বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। ভর্তুকি বাবদ বকেয়া থেকে যাওয়া বাকি দায় পরিশোধের ভার এখন গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর। পাশাপাশি তৈরি হয়েছে নতুন দায় পরিশোধের চাপও। এ অবস্থায় বিগত সরকারের মতো বকেয়া পরিশোধে বন্ডের দ্বারস্থ হয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বকেয়া পরিশোধের চাপ আপাতভাবে সামাল দেয়া গেলেও এর মাধ্যমে মূলত বর্তমান দায়কে বিলম্বিত করা হচ্ছে। এতে ভবিষ্যৎ ঋণের বোঝা আরো বড় হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারের উচিত বন্ডের পরিবর্তে রাজস্ব আয় বাড়িয়ে নিজস্ব অর্থে এ দায় পরিশোধ করার মতো টেকসই সমাধানের দিকে নজর দেয়া।
সরকারি দায় পরিশোধে বন্ড ইস্যুর নজির বেশ পুরনো। তবে এর চর্চা অতীতে খুব বেশি দেখা যায়নি। বেশ আগে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) দায় পরিশোধের জন্য বিশেষ বন্ড ইস্যু করেছিল সরকার। বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বড় অংকের দায় পরিশোধের নজির দেখা যায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের শেষ দিকে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বিদ্যুৎ ও সারে ভর্তুকির দায় পরিশোধে ২৬ হাজার ২০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করে আওয়ামী লীগ সরকার। এর মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বন্ড ইস্যু করা হয়েছে বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকির দায় পরিশোধে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার কোটি টাকার মতো বিশেষ বন্ড ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা বিদ্যুৎ খাতে এবং সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা সারের ভর্তুকি পরিশোধের জন্য ইস্যু করা হয়েছে। তাছাড়া এ সময়ে বিদ্যুতের ভর্তুকি বাবদ বাজেট বরাদ্দ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা নগদ অর্থও পরিশোধ করা হয়েছে।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি বাড়াচ্ছে সতর্ক বিএনপি”
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি সামনে রেখে মাঠ দখলে রাখতে চায় বিএনপি। এ জন্য জনসম্পৃক্তমূলক কর্মসূচি বাড়াচ্ছে দলটি। নির্বাচন পর্যন্ত এসব কর্মসূচি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেতে চায় দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। একইসঙ্গে সংগঠন গোছানোর পাশাপাশি নেতাকর্মীদেরও গণমুখী কাজে ব্যস্ত রাখার কৌশল নেয়া হয়েছে। দেয়া হচ্ছে নানা সতর্ক বাণী। এ ছাড়া রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব নিয়েও তৃণমূলে যাচ্ছে বিএনপি। শুরু হয়েছে বিভাগীয় কর্মশালা। ১৯শে নভেম্বর ঢাকা বিভাগ থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শেষ হবে আগামী ২১শে ডিসেম্বর।
বিএনপি’র পাশাপাশি ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দলও সারা দেশে কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে তার ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সামনে যাতে কেউ দলের কোনো ধরনের অপকর্মে জড়াতে না পারে সেজন্য কঠোর বার্তা দেয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে। নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোনো ধরনের রাজনৈতিক বিরোধ বা বিতর্কে জড়াতে চান না দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এজন্য সিনিয়র নেতাদের বার্তাও দেয়া হয়েছে। সরকারের সঙ্গে সরাসরি কোনো বিরোধে না জড়ানো, অন্যান্য দলের সঙ্গে কোনো ধরনের দূরত্ব তৈরি না করার কৌশল নিয়ে এগোচ্ছেন নেতারা।
৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বিএনপি বলছে, তারা প্রতিহিংসার রাজনীতি চায় না। তারা এখন নতুন ধারার রাজনীতি শুরু করতে চাচ্ছে। এই বার্তা সাধারণ মানুষকে দেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে জনদুর্ভোগ এড়াতে সাংগঠনিক কাজের উদ্দেশ্যে সফরকালে কোনো ধরনের মোটরসাইকেল বহর ও কারসহ অন্য কোনো যানবাহনে শোভাযাত্রা পরিহার করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের রং-বেরংয়ের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ব্যবহার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। দলের এই নির্দেশনায় দেয়াল থেকে ব্যানার ও পোস্টার অপসারণ করছেন নেতাকর্মীরা।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান মানবজমিনকে বলেন, ১৫ বছর দেশে দুঃশাসন চলেছে। ওই দুঃশাসনের কারণে আমরা সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে পারি নাই। বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। জনগণ বিএনপির মূলশক্তি। তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখেই বিএনপি রাজনীতি করে। সেই সম্পৃক্ততা জনগণের মাঝে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দিতেই এই কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
Leave a Reply