শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পূর্বাহ্ন

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-১০)

  • Update Time : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০.০০ এএম

প্রদীপ কুমার মজুমদার

অনেক পণ্ডিত ঋগ্বেদীয় সংস্কৃতি ৩০০০ খ্রীষ্টপূর্বের মনে করেন। এবং এই হিসাবে তাঁরা বলেন ঐতরেয় ব্রাহ্মণ ২৫০০-২০০০ খ্রীষ্টপূর্বের মধ্যে রচিত। শতপথ ব্রাহ্মণ ১৫০০ গ্রীষ্ট পূর্বে রচিত। তৈত্তিরীয় সংহিতা ১৬০০ খ্রীষ্ট পূর্বে রচিত। বিখ্যাত পাশ্চাত্য সংস্কৃতজ্ঞ কেইথ তাঁর “Introduction to Taittiriya Samhita” গ্রন্থে যা বলেছেন তা থেকে সহজেই আমরা বলতে পারি –

(১) তৈত্তিরীয় সংহিতার রচনাকাল:            ৮০০ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দ
(২) বৌধায়ন সূত্রের রচনা কাল:                 ৫০০      ”
(৩) মানব সূত্রের রচনা কাল:                      ৪৫০     ”

(৪) আপস্তম্ব সূত্রের রচনা কাল:                 ৪০০      ”
(৫) আশ্বলায়ন শ্রৌত সূত্রের রচনা কাল:   ৪০০      ”
(৬) সান্ধ্যায়ন শ্রৌত সূত্রের রচনা কাল:     ৪৩০
(৭) ভরদ্বাজ সূত্রের রচনা কাল:    ৪২০ অথবা ৪৫০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
(৮) হিরণ্যকেশী সূত্রের রচনা কাল:      ৩৭৫ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
(৯) কাত্যায়ন শুর সূত্রের রচনা কাল:  ২০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ

গণনা ও সংখ্যা
গণনার জন্য সংখ্যার প্রয়োজন। এবং সেইজন্যই প্রত্যেক দেশে সংখ্যার উদ্ভব হয়েছে। কোন দেশ প্রথম সংখ্যা আবিষ্কার করেছে এবং তা পদ্ধতিগতভাবে কাজে লাগিয়েছে তা বলা কঠিন। তবে ভারতবর্ষে এর প্রচলন বহু পূর্ব থেকেই ছিল একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। ভারতবর্ষে সংখ্যাদি গণনা করা হোত দশ ভিত্তিক। যদিও বিভিন্ন দেশে যেমন ব্যাবিলনে যাট ভিত্তিক গণনাই প্রচলিত ছিল।

বৈদিক- যুগে ভারতবর্ষের লোকেরা অতি বৃহৎ বৃহৎ সংখ্যা গুণতে পারতেন। দেখা গিয়েছে একের পিঠে আঠারটি শূন্য দিলে যে সংখ্যা হয় তার নামকরণ ও ব্যাপক ব্যবহার বৈদিক সাহিত্যে রয়েছে। বৈদিকযুগে বহু মুনি ঋষি এই সমস্ত সংখ্যার সংকলক এবং এঁদের মধ্যে মেধাতিথি, গৌতম, গৃৎসমদ প্রমুখ ঋষির নাম উল্লেখযোগ্য।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-৯)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-৯)

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024