সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “নির্বাচন কবে, সেই ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত: প্রেস উইং”
সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তারা। আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তারা। আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতেছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আগামী নির্বাচন কবে হবে, তা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হবে। এ নিয়ে বাকিরা যাঁরা কথা বলছেন, সেগুলো তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। এ কথা বলেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এ কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। এখন মানুষের জানার আগ্রহ, কবে নির্বাচন হতে পারে। এর মধ্যে একজন উপদেষ্টা লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে, যা গণমাধ্যমে এসেছে। আসলে নির্বাচন কবে হতে পারে?
এই প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, এখন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টা বা তাঁর দপ্তর থেকে নির্বাচনের কোনো তারিখ দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের তারিখ তিনিই ঘোষণা দেবেন এবং তাঁর পক্ষ থেকেই দেওয়া হবে। বাকি যাঁরা বলেছেন, তা নিজেদের মতামত।
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার আরেক উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, প্রত্যেকে তাঁর মতামত দিতে পারেন। কিন্তু সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সম্পূর্ণ আইন মেনে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেন, গুম কমিশন সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি বা জমা দেয়নি। কিছুদিন আগে প্রধান উপদেষ্টাসহ আরও কয়েকজন উপদেষ্টা মিলে গুম কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে তাঁরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি তাঁরা একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দেবেন। তার ভিত্তিতে সরকার যদি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন মনে করে, তাহলে ব্যবস্থা নেবে।
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্ব”
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে সরকার-গৃহীত কার্যক্রমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের টেকসই উন্নয়নের ‘থ্রি-জিরো’ তত্ত্ব যুক্ত করার চিন্তা করছে সরকার। সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ে এই তত্ত্বের কার্যকর প্রয়োগের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করা সহজ হবে বলে মনে করছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা।
‘থ্রি-জিরো’ তত্ত্ব আর্থিক স্বাধীনতা, কর্মঠ জনশক্তি তৈরি এবং পরিবেশ উন্নয়নে বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকর একটি মডেল। এটি একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, যা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য অর্জনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। সেগুলো হচ্ছে—জিরো দারিদ্র্য, জিরো বেকারত্ব ও জিরো নেট কার্বন নিঃসারণ। আর তা অর্জনে প্রয়োজন তারুণ্য, প্রযুক্তি, সুশাসন ও সামাজিক ব্যবসা।
গ্রামীণ ব্যাংক ও ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্ব জুড়ে আলাদা সম্মান পেয়েছেন তার এই থ্রি-জিরো তত্ত্বের জন্য। এসডিজির লক্ষ্যসমূহের মূল পরিকল্পনায় রয়েছে—সকলের জন্য কল্যাণকর পৃথিবী এবং টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণ।
‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ বাসসকে বলেন, ‘আমরা এসডিজির সঙ্গে থ্রি জিরো তত্ত্ব যুক্ত করার চেষ্টা করছি। এসডিজির ওপর সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে আমাদের একটি কর্মশালা চলছে, সেখানে এই তত্ত্বের বিষয়ে আলোচনা করছি। আমরা চাই টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে সব পর্যায়ে থ্রি জিরো তত্ত্বের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি হোক।’
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “আদানিসহ ৭ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে পর্যালোচনা কমিটি”
শেখ হাসিনার শাসনামলে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্বাক্ষরিত বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি পর্যালোচনায় সহায়তার জন্য একটি লিগ্যাল ও তদন্তকারী সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়ার সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পর্যালোচনা কমিটির এক প্রস্তাবে গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এ সুপারিশ করা হয়। সেই সঙ্গে আরো জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অন্য চুক্তিগুলো বিশ্লেষণ করতে কমিটির আরো সময় প্রয়োজন।
পর্যালোচনা কমিটি এমন সব তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করছে, যা আন্তর্জাতিক সালিশি আইন ও কার্যধারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চুক্তি পুনর্বিবেচনা বা বাতিল করতে পারে। এক্ষেত্রে তাদেরকে সহায়তায় শীর্ষমানের এক বা একাধিক আন্তর্জাতিক আইন এবং তদন্তকারী সংস্থাকে অবিলম্বে যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটি অন্তর্বর্তী সরকারকে আরো জানিয়েছে, তারা নিশ্চিত করতে চায় যে তদন্তগুলো আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আলোচনা ও সালিশে গ্রহণযোগ্য হবে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি এরই মধ্যে বেশকিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভারতের গড্ডায় নির্মিত আদানি গ্রুপের ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, পটুয়াখালীর পায়রায় নির্মিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট ৩৩৫ মেগাওয়াট ডুয়াল ফুয়েল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আশুগঞ্জে ১৯৫ মেগাওয়াট গ্যাস বিদ্যুৎ কেন্দ্র, চট্টগ্রামের বাঁশখালী ৬১২ (প্রথম ইউনিট) মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেঘনাঘাটে সামিট গ্রুপের ৫৮৩ মেগাওয়াট ডুয়াল ফুয়েল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং মেঘনাঘাট ইউনিক গ্রুপের ৫৮৪ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক (এলএনজি) বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “অরাজকতা”
বিক্ষোভ, ভাঙচুর, সড়ক অবরোধ, অবস্থান কর্মসূচি। রোববার রাজধানীতে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। পুরান ঢাকায় হাসপাতালে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর জেরে ওই এলাকায় তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। হাসপাতালসহ ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। পরীক্ষা চলাকালে সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজে হামলা হলে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। কলেজটিতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। হামলা-সংঘর্ষের সময় ওই এলাকায় এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়।
ওদিকে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক ও মালিকদের বিক্ষোভ হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে। বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় অনেক এলাকায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। উচ্চ আদালত থেকে অটোরিকশা বন্ধের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করার দাবিতে অটোরিকশা চালকরা কয়েকদিন থেকেই এই আন্দোলন করছেন। গতকাল বিকালে সরকারের আশ্বাস পেয়ে অবশ্য চালকরা আন্দোলন স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন।
ওদিকে কাওরান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে দিনভর বিক্ষোভ করেছেন একদল লোক। তারা পত্রিকাটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলে এই কর্মসূচি পালন করেন। পত্রিকা কার্যালয়ের সামনে গরু জবাই করে ‘জিয়াফত’ এর আয়োজন করা হয়। দুপুর থেকে চলা এই অবস্থান ও বিক্ষোভ সন্ধ্যা পর্যন্ত গড়ায়। আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বারবার অনুরোধ করেও সাড়া না পেয়ে সন্ধ্যার পর কঠোর অবস্থানে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা আন্দোলনকারীদের সরাতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা অলিগলিতে সরে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
Leave a Reply