ম্যাকসিম গোর্কী
চার
শপ্যর একটি সুর বাজিয়ে শোনাচ্ছিলেন গোল্ডেনভাইসার। ফলে লিও নিকোলাইয়েভিচ মন্তব্য করলেন, “কোনো একজন জার্মান রাজকুমার বলেছিলেন: ‘যদি তোমার কোথাও গোলামের দরকার হয়, তবে সেখানে যথাসম্ভব সংগীতের সরবরাহ করো।’ কথাটা সত্যি; এর মধ্যে সত্য-দৃষ্টির পরিচয় আছে। সুর মনকে অলস ক’রে দেয়। ক্যাথলিকরা এ ব্যাপারটি বিশেষ ভাবেই বোঝেন।
অবশ্য, আমাদের পুরোহিতরাও মেণ্ডেলসনের গানকে কখনো কোনোক্রমে গির্জায় ঢুকতে দেবেন না। হ্যাঁ, টুলায় আমার সংগে এক পুরোহিতের আলাপ হয়েছিল। তিনি আমাকে নিশ্চিত ক’রে জানালেন যে খৃস্ট কখনো ইহুদি ছিলেন না। যদিও তিনি স্বীকার করলেন যে খৃস্ট ছিলেন ইহুদি দেবতার পুত্র, এবং তাঁর মাও ছিলেন ইহুদির মেয়ে। তবু তিনি বললেন, ‘খুস্ট ইহুদি, এ অসম্ভব।’ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কিন্তু তবে কেমন করে….?’ পুরোহিত ঘাড় নেড়ে বললেন, ‘সেইটুকুই তো হোলো দুর্বোধ্য।’
পাঁচ
গ্যালিসিয়ান রাজকুমার বৃদ্ধ ভ্লাদিমির্কো দ্বাদশ শতাব্দীতেও ‘সাহসের’ সংগে ঘোষণা করেছিলেন, ‘মিরাল্ ব’লে কোনো বস্তু নেই।’ মনীষীরা হোলেন সেই বৃদ্ধ ভ্লাদিমির্কোর মতো। তারপর ছশ বছর কেটে গেছে, কিন্তু আজো মনীষীরা পরস্পরের উদ্দেশ্যে চোঁচাচ্ছেন, মিরাক্ল্ ব’লে কিছু নেই হে, মিরাল্ ব’লে কিছু নেই। অথচ আজো সবাই মিরাকলে বিশ্বাস করে, তারা যেমনটি করতো সেই দ্বাদশ শতাব্দীতে।”
Leave a Reply