সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কেন”
সকাল ১০টার পরে আগারগাঁও থেকে খবর এল, ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। এর আগে ভোরে খবর আসে, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক এনে শাহবাগে জড়ো করা হচ্ছে। দুপুরে যাত্রাবাড়ী থেকে খবর এল, সেখানে একটি কলেজে হামলা চলছে। বন্ধ হয়ে গেছে ঢাকা–সিলেট মহাসড়ক। সন্ধ্যার পরপর জানা গেল, শাহবাগে শুরু হয়েছে মারামারি। সব মিলিয়ে গতকাল সোমবার রাজধানী ঢাকা ছিল একধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির মধ্যে।
এমন পরিস্থিতি কেবল গতকাল নয়, বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে, যা নগরের স্বাভাবিক জনজীবনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। ব্যবসা–বাণিজ্য ও অবাধ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় আটকে যাচ্ছে। হঠাৎ কোনো কোনো জায়গায় বিক্ষোভ–সংঘর্ষ ঘটনাস্থলে থাকা সাধারণ মানুষকে ভীতসন্ত্রস্ত করে তুলছে।
নানা দাবিদাওয়া নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই মাঠে নামছে কোনো না কোনো সংগঠন। তুচ্ছ কারণেও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর আশপাশের শিল্প এলাকাগুলোতে পোশাকশ্রমিকেরা প্রায়ই বিক্ষোভে নামছেন, অনেক ক্ষেত্রে সেগুলো সহিংস হয়ে উঠছে। এখন সর্বত্র আলোচনা, কেন এমনটা হচ্ছে। এর পেছনে কারও উসকানি রয়েছে কি না। সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন ব্যানারে রাস্তায় নেমে যখন–তখন সড়কে অচলাবস্থা তৈরি করা হচ্ছে; সবই ন্যায্য দাবিতে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন নাকি অন্য উদ্দেশ্যও আছে?
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “সংবিধান সংস্কারে মতামত দিয়েছেন ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ”
সংবিধান সংস্কার নিয়ে কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ৪৭ হাজার ৯৭ জন মতামত দিয়েছেন। এ ছাড়া ২৮ সংগঠন, সুশীল সমাজের ২৩ জন প্রতিনিধি, ৫ জন সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং ১০ জন তরুণ চিন্তাবিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে কমিশন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে, সোমবার জাতীয় সংসদে সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধানের কার্যালয়ে কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলের সিনিয়র অ্যাডভাইজার ড. জিওফ্রে ম্যাকডোনাল্ডের নেতৃত্বে আইআরআইর একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে।
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রোগ্রাম ডিরেক্টর (বাংলাদেশ প্রোগ্রাম) জসুয়া রোসেনবাম এবং রিজিওনাল ডিরেক্টর (দক্ষিণ এশিয়া) স্টিফেন চিমা।
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “আদানির সবই ছিল গোপনীয়, প্রায় চার বছর অন্ধকারে ছিলেন বিপিডিবির কর্মকর্তারাও”
আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি সই হয় ২০১৭ সালের নভেম্বরে। ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় নির্মিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার কেন্দ্রটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানির মূল্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধারায় উল্লিখিত শর্ত পর্যন্ত এ চুক্তির প্রায় সব বিষয়বস্তুই অত্যন্ত গোপন ছিল দীর্ঘদিন। এমনকি বিপিডিবির সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও বলছেন, এ চুক্তি নিয়ে চার বছরেরও বেশি সময় অন্ধকারে ছিলেন তারা। হাতে গোনা সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের বাইরে এ চুক্তির বিষয়বস্তু নিয়ে কেউই কিছু জানত না।
বকেয়া পাওনা নিয়ে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে আদানি গ্রুপের দেন-দরবারের বিষয়গুলো নিয়েও ব্যাপক মাত্রায় গোপনীয়তা বজায় রেখেছে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো। এরও আগে চুক্তি প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় দফায় দফায় গোপনে বাংলাদেশ সফর করে গেছেন আদানি গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এমনকি গ্রুপটির কর্ণধার গৌতম আদানিও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বুঝিয়ে দিতে গত বছর ৩ ঘণ্টার এক ঝটিকা সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন। বিষয়গুলো নিয়ে আদানি পাওয়ারের কোনো কর্মকর্তা বা শীর্ষ নির্বাহী কখনই বাংলাদেশী গণমাধ্যমের মুখোমুখি হননি।
এ বিষয়ে জানতে বণিক বার্তার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় বিপিডিবির সাবেক এক ও বর্তমান দুই শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে। নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে তারা বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন, আদানি পাওয়ারের সঙ্গে চুক্তিটিতে অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। এটি নির্মাণে সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তির খসড়াটি বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো হলেও তা বিপিডিবিকে দেয়া হয়নি। এমনকি চুক্তিতে সইয়ের সময়ও বিপিডিবির কর্মকর্তাদের কোনো ধরনের প্রশ্ন করার ওপর শীর্ষ পর্যায় থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাখা হয়েছিল। আদানি পাওয়ারের প্রস্তাবে কোনো ধরনের দরকষাকষি ছাড়াই সই করেছে বিপিডিবি।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ আটক”
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল বিকালে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিবি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ একটি মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
এদিকে তাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ডিবি কার্যালয়ে সামনে জড়ো হন সনাতন জাগরণ মঞ্চের নেতারা। সেখানে দেখা যায়, সনাতন জাগরণ মঞ্চের ৩০ থেকে ৪০ জন ডিবি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে চিন্ময়কে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানাতে। তাদের একটি গ্রুপ শাহবাগে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে অন্য একটি পক্ষ ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।
গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫শে অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি মামলা হয়।
Leave a Reply