প্রদীপ কুমার মজুমদার
‘অতো দেব। অবস্তু নো যতো বিষ্ণুবিচক্রমে। পৃথিব্যাঃ সপ্ত ধামভিঃ’। অর্থাৎ বিষ্ণু সপ্তকিরণের সহিত যে ভূ প্রদেশ হইতে পরিক্রমন করিয়াছিলেন সেই প্রদেশ হইতে দেবগণ আমাদিগকে রক্ষা করুন। ‘অষ্টাপদী নবপদী বহুনুযী সহস্রাক্ষরা পরমে ব্যোমেন’। অর্থাৎ কখনও অষ্টপদী, কখনও নবপদী হন এবং সহস্রাক্ষর। পরিমিত অন্তরীক্ষের উপর থাকিয়া শব্দ করেন। ঋগ্বেদে শত, সহস্র, অযুত, প্রভৃতির উল্লেখ আমরা দেখতে পাই। উদাহরণস্বরূপ অষ্টম মণ্ডলের প্রথম হুক্তের নবম ঋকটি তুলে ধরছি-
‘যে তে সন্তি দশগ্নিনঃ শতিনো যে সহস্রিণঃ অশ্বাসো যে তে বৃষণো রঘুদ্ধদ্রুবস্তেভির্নং য়মা গহি’। অর্থাৎ হে ইন্দ্র, তোমার দশ যোজনগামী শত সংখ্যক ও সহস্র সংখ্যক অশ্ব আছে, তাহারা সেচনে সমর্থ ও শীঘ্রগামী, সেই অশ্বের সাহায্যে শীঘ্র আগমন কর।
‘মহে চন ত্বামদ্রিবঃ পরা শুঙ্কায় দেয়াম্
ন সহস্রায় নাযুতায় বস্ত্রিবো ন শতায় শতামঘ,।
অর্থাৎ হে বজ্রবান ইন্দ্র! তোমাকে মহামূল্যেও বিক্রয় করিনা। হে বজ্রহস্ত। সহস্র সংখ্যক ও অযুত সংখ্যক ধনের জন্যেও করিনা এবং হে বহুধন! অপরিমিত ধনের জন্যেও করি না।
‘শিক্ষা বিভিন্দো অস্মৈ চত্বার্থযুতা দদৎ। অষ্টা পরঃ সহস্র’। অর্থাৎ হে বিভিন্দু, তুমি দাতা, তুমি আমাকে চারি অমৃত ধন দান করিয়াছ। পরে আট সহস্র সংখ্যক দান করিয়াছ।
(চলবে)
Leave a Reply