রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন

মিয়ানমারের জান্তার সঙ্গে সংলাপে প্রস্তুত বিদ্রোহীদের একাংশ

  • Update Time : বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১.৩৫ পিএম
শান রাজ্যে শক্ত অবস্থান নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী টিএনএলএ এর সদস্যরা

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহী জোটের অংশ একটি জাতিগত সশস্ত্র বাহিনী জান্তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে।

মিয়ানমার-চীন সীমান্তে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ করছে তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ)। সোমবার রাতে টিএনএলএ এই ঘোষণা দিয়েছে।

মিয়ানমারে স্থিতিশীলতার রক্ষক হিসাবেই দেশটির সেনাবাহিনীকে বিবেচনা করে চীন। গৃহযুদ্ধে সেই সামরিক বাহিনীর দ্রুত পতনের মধ্যেই বিদ্রোহীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে বেইজিং।

২০২১ সালে গণতন্ত্রের আইকন অং সান সু চি’র নেতৃত্বে একটি নির্বাচিত সরকারকে সামরিক বাহিনী ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে মিয়ানমারে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হিসাবে শুরু হলেও পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন কয়েকটি ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহে রূপ নেয়।

টিএনএলএ তাদের অফিশিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের দাবি উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে সামরিক বাহিনী বিমান হামলা বন্ধ করুক। এছাড়াও বিবৃতিতে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করে চীনের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার জন্য প্রশংসাও করা হয়েছে।

গোষ্ঠীটির মুখপাত্র লোয়ে ইয়ে উ বলেছেন, “আমাদের বেসামরিক নাগরিকেরা বিমান হামলা এবং অন্যান্য সংকটে আক্রান্ত। তাই আমাদের একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে।”

২০২৩ সালে শুরু হওয়া “অপারেশন ১০২৭” নামে একটি সমন্বিত আক্রমণের অংশ টিএনএলএ। অপারেশন শুরুর তারিখ অনুসারে এই নাম ঠিক করা হয়েছে। অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে এই আন্দোলনেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জে ফেলেছে। বেশ কয়েকটি শহর এবং সামরিক পোস্টের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে সেনাবাহিনী।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024