প্রদীপ কুমার মজুমদার
অথর্ববেদেও সংখ্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে সংখ্যাগুলি সমান্তর শ্রেণীতে সাজান রয়েছে। পরবর্তী কোন একটি অধ্যায়ে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করবে।। সংখ্যা সম্বন্ধে সবচেয়ে সুন্দর আলোচনা করা হয়েছে যজুর্বেদে। এখানে ১ থেকে পরার্ধ পর্যন্ত সংখ্যা গণনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যতদূর মনে হয় মিশর, ব্যাবিলন বা চীন দেশে কেউই এত বড় সংখ্যার কল্পনা করতে পারতেন না। যাই হোক যজুর্বেদের এই শ্লোকটি উদাহরণস্বরূপ তুলে ধরছি।
‘ইমা মে অগ্ন ইষ্টকা ধেনবঃ সত্ত্বেকা চ দশ চ দশ
শতং চ শতং চ সহস্রং চ সহস্রং চাযুতং চাযুতং
চ নিযুতং চ নিযুতং চ প্রযুতং চাবুদং চ নবাবু দং চ সমুদ্রশ মধ্যং চান্তশ্চ পরার্ধ শ্চৈতা মে অগ্ন ইষ্টকা ধেনবঃ সত্ত্বমুত্রামুষ্মিল্লোকে।
অর্থাৎ হে অগ্নি এই ইষ্টকগুলি আমার একটি গাভী, দশটি দশ একটি শত, দশটি শত একটি সহস্র, দশটি সহস্র, একটি অযুত, দশটি অযুত একটি নিযুত, দশটি নিযুত একটি প্রযুত, দশটি প্রযুত একটি অর্বুদ, দশটি অর্বুদ একটি ব্যাবুদ, দশটি ব্যবুদ একটি সমুদ্র, দশটি সমুদ্র একটি মধ্য, দশটি মধ্য একটি অন্ত, দশটি অন্ত একটি পরার্ধ রূপে বর্তমান।
এছাড়াও কাঠক সংহিতা, পঞ্চবিংশ ব্রাহ্মণ, প্রভৃতি সাহিত্যে সংখ্যার উল্লেখ দেখতে পাই। রামায়ণে বৃহৎ সংখ্যার উল্লেখ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যখন রাবণ তার চরকে রামের সৈন্ত সংখ্যা জেনে আসতে বলেছিলেন তখন চর রামের সৈন্য সংখ্যা জেনে এসে নিম্নলিখিত বিবরণ দেয়: শতং শতসহস্রাণাং কোটিমাহুর্মনীষিণঃ। শতং কোটি সহস্রাণাং শঙ্খ ইত্যভিধীয়তে।
(চলবে)
Leave a Reply