প্রদীপ কুমার মজুমদার
আনুমানিক একশত খ্রীষ্টপূর্বে রচিত জৈনধর্ম গ্রন্থ অনুযোগদ্বার সূত্রে অনেক বড় বড় সংখ্যার উল্লেখ রয়েছে যার বিস্তৃতি ২৪ থেকে ২৭টি অংকস্থানের মধ্যে। স্থানাঙ্গ সূত্র (11, 4, 95), জম্বুদ্বীপপ্রজ্ঞপ্তি (1৪ সূত্র), সূর্যগ্রজ্ঞপ্তি, অনুযোগদ্বারসূত্র, জীব-
সমাস (V, 113-115) প্রভৃতি গ্রন্থ পাঠ করলে দেখা যায় যে এই সমস্ত গ্রন্থে ১৯৪টি অংকস্থানের কথা বলা হয়েছে। অভয়দেব সুরী সমবায় সূত্রের উপর ভাষ্য দিতে গিয়ে একজায়গায় বলেছেন-
পুর্ব্বতুডিয়াডভাবব হহয় তহ উগলে য পউমে য।
নলিণচ্ছিউব অউএ নউএ পউএ য নায়ব্বো।
চুলিয় সীসপহেলিয় চৌদ্দস নামা উ অংগসংজুত্তা।
অট্টাবিসং টানা ছউণউয়ং হোই ঠান সময়ং
অর্থাৎ এখানে সংখ্যাগুলি বলা হয়েছে-
পূর্বাব্দ, পূর্ব, ত্রুটিতাঙ্গ, ত্রুটিত, অড়ড়াদ, অড়ড়, অববাদ, অবব, হুহুকাঙ্গ, হহুক, উৎপলাব্দ, উৎপল, পদ্মাঙ্গ, পদ্ম, নলিনাঙ্গ, নলিন অর্থনিপুরাদ, অর্থনিপুর, অযুতাঙ্গ, অযুত, নযুতাঙ্গ, নযুত, প্রযুতাঙ্গ, প্রযুত, চুলিকাঙ্গ, চুলিক, শীর্ষপ্রহেলিকাদ, এবং শীর্ষপ্রহেলিকা।এখানে “পূর্ব” বলতে ৭৫৬০০০,০০০,০০০,০০ বৎসর ধরা হয়। জৈন গ্রন্থে নিম্নোক্ত সংখ্যাগুলির উল্লেখ দেখতে পাওয়া যায়।
(চলবে)
Leave a Reply