বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন

ভারতীয় মিডিয়ার আচরণ স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য সহায়ক নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

  • Update Time : শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪, ২.৪২ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “আন্তর্জাতিক আদালতের পরোয়ানা থেকে নেতানিয়াহু কি সত্যিই দায়মুক্ত”

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন এই যুক্তিতে যে গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আইনি দায় থাকতে পারে। ২১ নভেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে জারি করা হয় এ পরোয়ানা।

আইসিসির ওই আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতারা সর্বোচ্চ এ আদালতের সিদ্ধান্ত সমুন্নত রাখা ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারে নিজেদের আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ করার কথা জানান। তাঁরা বলেন, তাঁদের দেশের মাটিতে নেতানিয়াহু পা রাখলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে। তবে এই নেতাদের মধ্যে ব্যতিক্রম একজন। তিনি হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁকে হাঙ্গেরি সফরে উষ্ণ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।

হাঙ্গেরির মতো ফ্রান্সও এখন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। যদিও আইসিসির পরোয়ানার পর দেশটি প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় আদালতের আদেশ মেনে চলবে বলে জানিয়েছিল। তবে এর পর থেকে প্যারিসের সুর পাল্টেছে। প্যারিস ইঙ্গিত দিয়েছে, ইসরায়েল ‘আইসিসির সঙ্গে যুক্ত নয়’। তাই ওই পরোয়ানা থেকে নেতানিয়াহু অব্যাহতি পাওয়ার যোগ্য।

ফ্রান্সের ইউরোপ ও পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তাঁর অন্য মন্ত্রীদের দায়মুক্তি পাওয়ার বিষয় বিবেচনায় নেওয়া উচিত। তাঁদের গ্রেপ্তার ও তুলে দিতে আদালতের আদেশের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা উচিত।’

কিন্তু ফ্রান্সের এ অবস্থান কি আইনসম্মত, উঠেছে সে প্রশ্ন। এর জবাব খোঁজার চেষ্টা করেছে আল–জাজিরা—

ফ্রান্সের দাবি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু কী আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থেকে দায়মুক্ত? এককথায় এর জবাব হলো, না।

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “ভারতীয় মিডিয়ার আচরণ স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য সহায়ক নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা”

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে সেটি দুই দেশে মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

এ সময় সীমান্ত হত্যা নিয়েও কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমি অনেক দেশ ঘুরেছি। সব দেশেই অপরাধী আছে কিন্তু আপনি সীমান্তে গুলি করে মেরে ফেলতে পারেন না। ভারতের উচিত, সীমান্তে অপরাধীকে ধরা এবং তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া ও প্রচলিত আইনে বিচার করা।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “টানা ৫ দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়”

উত্তরের শীতপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে প্রতিদিনই সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত শীত পড়ছে। হেমন্তেই এবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসেছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।

এর আগে গতকাল সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি, বুধবার (২৭ নভেম্বর) সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করেছে উত্তর জনপদের এই জেলায়।

উত্তরের এই জনপদে সকাল থেকে জেলা জুড়ে কুয়াশার দেখা না মিললেও হিমালয় থেকে ধেয়ে আসা হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা অনুভূত হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মেলায় শীতের তীব্রতা কমতে থাকে। দিনের বেলায় ২৮ থেকে ২৯ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা।

শনিবার সকালে গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে কাজের সন্ধানে বের হয়েছে শ্রমজীবী মানুষেরা। তবে বেলা গড়িয়ে বিকাল হতেই জেলায় প্রতিদিনের মতো শুরু হয় শীতের তীব্রতা। রাতভর তীব্র শীত অনুভূত হয় । প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে কমে আসছে তাপমাত্রার পারদ। রাতভর পড়ছে কুয়াশা।

হাট বাজারগুলোতে রাত আটটার পর থেকে লোক সমাগম কমে যাচ্ছে। জেলার শীতের কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে লেপ-তোশকের বিক্রি। বিভিন্ন ডিজাইনের শীতের কাপড় শোভা পাচ্ছে কাপড়ের দোকানগুলোতে। বিশেষ করে শিশুদের নানা ধরনের গরম কাপড় ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানগুলোতে। জেলার প্রধান বাজার রাজনগড় বাজারে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান বসেছে। সন্ধ্যার পর পিঠার দোকানগুলোতে ভোজনপ্রেমীরা পিঠা খেয়ে শীত উপভোগ করছেন।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে: জাতিসংঘে বাংলাদেশ”

সনাতন জাগরণ মঞ্চের চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে জাতিসংঘে জানিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ ও জেনেভায় অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত তারেক মো.আরিফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।

শুক্রবার রাতে এক বার্তায় বলা হয়, বৃহস্পতিবার জেনেভায় জাতিসংঘের সংখ্যালঘু ফোরামের ১৭তম অধিবেশনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ বিবৃতি প্রদান করেন।

বিবৃতিতে ইসলাম বলেন, আমরা অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে শ্রী চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারকে কিছু বক্তা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, তাকে আসলে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি আদালত মাধ্যমে মীমাংসা করা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশের জনগণ যখন ধর্মীয় সম্প্রীতির গৌরবময় দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, তখন আমরা অতিরঞ্জিত, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট প্রতিবেদন এবং সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিষয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তির ছড়াছড়ি লক্ষ্য করছি। দুঃখজনকভাবে আমরা এই ফোরামেও এটি দেখেছি।

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বৈশ্বিক মিডিয়া এই ধরনের অনেক প্রোপাগান্ডা নাকচ করে দিয়েছে এবং অন্তর্বর্তী সরকার সরেজমিন পরিস্থিতি দেখার জন্য বিদেশি সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফরে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রত্যেক বাংলাদেশির ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে নিজ নিজ ধর্ম পালন করার বা স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মূল ভিত্তি।

রাষ্টদূত ইসলাম বলেন, শীর্ষ নেতৃত্ব সংখ্যালঘু ধর্মীয় নেতাদের ধর্মের অধিকার বিষয়ে বারবার আশ্বস্ত করেছে এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিনে বারবার প্রমাণ করেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে দুজন উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024