ম্যাকসিম গোর্কী
সতের
তিনি আমাকে তাঁর একটি ডাইরি পড়তে দিয়েছিলেন। আমি তাতে অদ্ভুত ধরণের একটি চোস্ত কথার সন্ধান পেলামঃ “বিধাতা আমার বাসনা।”
আজ ডাইরিটা তাঁকে ফেরৎ দিয়ে প্রশ্ন করলাম, এর অর্থ কী।
তিনি পাতাটার দিকে একবার তাকিয়ে চোখ পাকিয়ে বললেন, “অসমাপ্ত চিন্তা। আমি নিশ্চয়ই বলতে চেয়েছিলাম যে ‘ভগবানকে আমার জানতে চাওয়ার বাসনাই হোলেন ভগবান।’ না, তা-ও না।” তিনি হো হো ক’রে হেসে উঠলেন, তারপর খাতাটাকে একটা নলের মতো ক’রে পাকিয়ে সেটাকে তাঁর জামার বিশাল পকেটে ঢুকিয়ে রাখলেন। সত্যই, ভগবানের সংগে তাঁর সম্পর্কটা বড়োই সন্দেহজনক লাগে। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, এ যেন “একই গুহায় দু’টি ভালুকের সম্পর্ক।”
আঠার
বিজ্ঞান-বিষয়ক:
“বিজ্ঞান হোলো হাতুড়ে রাসায়নিকের হাতে তৈয়ারী সোনার তাল। এটাকে সকলের পক্ষে সুলভ করবার জন্যে তোমরা একে সহজ ক’রে তুলতে চাওঃ তখন তোমরা দেখ যে তোমরা এক রাশি মেকী মুদ্রা বানিয়েছ। লোকে যখন এই সকল মুদ্রার যথার্থ মূল্য বুঝতে পারবে, তখন তারা আর এই মুদ্রাগুলির জন্যে তোমাদের ধন্যবাদ দেবে না।”
Leave a Reply