জো হে-রিম
স্যামসাং ইলেকট্রনিকস শুক্রবার বছরের শেষের দিকে ১৩৭ জন নির্বাহীকে পদোন্নতি দিয়েছে। এই পুনর্গঠন বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তি নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করেছে, যারা তাদের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছেন। এর লক্ষ্য হল কোম্পানির স্থবির ব্যবসায়িক কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করা।
মেধার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত
কোম্পানিটি জানিয়েছে যে, মেধার ভিত্তিতে এই বড় পদোন্নতি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির জন্য, তারা সফটওয়্যারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং অসাধারণ পরিচালন দক্ষতাসম্পন্ন তরুণ নেতাদের প্রাধান্য দিয়েছে, যারা দেশীয় ও বৈশ্বিক বাজারের অনিশ্চয়তাগুলো মোকাবিলা করতে পারবে।
তরুণ এবং টেকসই নেতৃত্ব
এই বছর ৩০-এর দশকের একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ৪০-এর দশকের আটজন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদোন্নতি পেয়েছেন।
৫০ বছর বয়সী পার্ক জুং-হো, যিনি কোম্পানির পরবর্তী প্রজন্মের যোগাযোগ গবেষণা কেন্দ্রের ডেপুটি হেড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি ৫জি প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং বাণিজ্যিকীকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন।
সেমিকন্ডাক্টর ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নতুন নেতৃত্ব
সেমিকন্ডাক্টর ব্যবসায়, ডিআরএএম প্রসেস ইন্টিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ লিম সাং-সু, যিনি ডিআরএএম স্কেলিং সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে বিশ্বের প্রথম উল্লম্ব চ্যানেল ট্রানজিস্টর উন্নয়ন করেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে উন্নীত হয়েছেন।
লজিক ডিভাইস এবং প্রসেস প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ কওন ও-কিয়ুম এবং ৩৯ বছর বয়সী হা জি-হুন, যিনি পরবর্তী প্রজন্মের যোগাযোগ সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম ডিজাইন বিশেষজ্ঞ, এই পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন।
নারীদের ও বৈচিত্র্যের প্রতি গুরুত্ব
নারী এবং বিদেশি নির্বাহীদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে স্যামসাং আটজন নারী এবং একজন বিদেশি নির্বাহীকে পদোন্নতি দিয়েছে।
ডিজিটাল কমার্স দলের প্রধান সিও জুং-আহ, যিনি উন্নত প্রচার ও ডেটা-চালিত কৌশলের মাধ্যমে বিক্রয় বৃদ্ধির নেতৃত্ব দিয়েছেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন।
থাইল্যান্ডের বিক্রয় নেতা সিত্তিচোক নপচিনাবুত্র, যিনি স্যামসাংয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জেনারেল ডিভিশনের টিএসই-এস সদর দফতরের প্রধান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে উন্নীত হয়েছেন।
পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
এই পুনর্গঠনের আগে স্যামসাং তার দুর্বল চিপমেকিং ব্যবসায় শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তন এনেছে। এআই-বুম কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কোম্পানি তার প্রযুক্তিগত দিক আরও শক্তিশালী করতে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করতে নতুন করে পরিকল্পনা করছে।
Leave a Reply