ডিসেম্বর ৩, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: নানা ধরনের খেলার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব বাড়ানোর প্রবণতা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে চীনের ব্যস্ত শহরগুলোয়। এ ধারায় বিশেষ স্থান করে নিয়েছে সাইক্লিং, ইয়োগা, টেনিস ও পিকলবলের মতো খেলা।
শাংহাইয়ের রিয়েল এস্টেট খাতের পেশাজীবী চা সিয়ানইয়াও। ২০২২ সালের আগস্টে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বি১৫সি নামের একটি সাইক্লিং ক্লাব। তার সেই ক্লাব এখন প্রাণবন্ত একটি কমিউনিটিতে পরিণত হয়েছে।
চা জানান, ২০২২ সালে প্রথম সাইকেল কেনার পর শাংহাইয়ের লুচিয়াচুই এলাকায় এক রাতের সাইকেল ভ্রমণ করে তিনি ক্লাবটি প্রতিষ্ঠার আইডিয়া পান। শুরুতে প্রায় ৩০ জনকে নিয়ে যাত্রা শুরু করা ক্লাবটি এখন হাজারেরও বেশি সদস্যের নেটওয়ার্ক।
প্রতি বুধবার বিশেষ ফটো সাইক্লিং হলো এ ক্লাবের সিগনেচার ইভেন্ট। ভোর সাড়ে পাঁচটায় শুরু হওয়া এই সাইক্লিং সেশনে অংশগ্রহণকারীরা একসঙ্গে ব্যায়াম ও বন্ধুত্ব গড়ার সুযোগ পায়।
শাংহাইয়ের লাইফস্টাইল ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম সিয়াওহংসু’র মতে, ২০২৩ সালে সাইক্লিং বিষয়ক কনটেন্টের ভিউ বেড়েছে ৪০০ শতাংশ।
চীনের আধুনিক ইয়োগা স্টুডিওগুলোও এখন সামাজিক মেলবন্ধনের কেন্দ্র। এখানে লাউঞ্জ থেকে শুরু করে অনলাইন চ্যাট গ্রুপ এবং ইয়োগা কমিউনিটির মাধ্যমে সামাজিক সংযোগ তৈরি হচ্ছে।
একটি যৌথ গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, চীনের শহুরে বাসিন্দারা এখন গড়ে ৩ দশমিক ৪ রকমের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করছেন, প্রতিটি সেশনে গড়ে সময় ব্যয় করছেন ৫০ মিনিট। ফুটবল ও বাস্কেটবলের পাশাপাশি, পিকলবল এবং আলটিমেট ফ্রিসবির মতো নতুন খেলার জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। এ প্রবণতায় নেতৃত্ব দিচ্ছে মিলেনিয়াল এবং জেনারেশন জি।
সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে চীনের পিকলবল খেলা বিশেষভাবে জনপ্রিয়, কারণ এটি সামাজিক সংযোগ তৈরির প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ করে দিয়েছে। পিকলবল ক্লাবগুলোতে ৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সীরা একসঙ্গেই খেলতে পারছেন।
এ ছাড়া এসব খেলা নিয়ে মাসিক প্রতিযোগিতা, থিমভিত্তিক ইভেন্ট, এবং পেশাদার খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিটিংয়ের আয়োজন করছে ক্লাবগুলো।
আরেক জরিপ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ৩৫ বছরের নিচে প্রায় ৭৪ শতাংশ মানুষ খেলাধুলার মাধ্যমে নতুন বন্ধু তৈরি করতে আগ্রহী। বিশেষ করে বহির্মুখী ব্যক্তিদের মধ্যে এই হার ৮৬ দশমিক ২ শতাংশ। এমনকি যারা অন্তর্মুখী, তাদেরও ৬০ শতাংশের বেশি খেলাধুলাভিত্তিক সামাজিক মেলামেশায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারীরা খেলাধুলাকে শুধু বন্ধুত্ব নয়, শারীরিক সুস্থতা (৮৩.৪%), সামাজিক পরিসর সম্প্রসারণ (৭২.৪%), এবং ইতিবাচক জীবনদৃষ্টিভঙ্গি গঠনের (৭০.৪%) মাধ্যম হিসেবেও মূল্যায়ন করেছেন।
ফয়সল/শান্তা
তথ্য ও ছবি: চায়না ডেইলি
Leave a Reply