প্রদীপ কুমার মজুমদার
দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য ও শ্রীবরাচার্যের বিবৃত অংকস্থানের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। শ্রীধরাচার্য যে সংখ্যাদ্বয়কে মহাসরোজ ও সরিপতি বলেছেন। দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য সেই সংখ্যাদুটিকে মহাপদ্ম এবং জলধি বলেছেন।
এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা বিভিন্ন অংকস্থানের নামকরণ নিয়ে আলোচনা করলাম। এবার দেখা যাক ভাষায় কি করে সংখ্যাগুলি ভারতীয়রা প্রকাশ করতেন। লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে যে এক, ছি, ত্রি, চতুঃ, পঞ্চ, ঘট, সপ্ত, অষ্ট, নব সংখ্যাগুলির সাহায্যে বেশ কিছু সংখ্যাকে কখনও বিয়োগাত্মক রীতিতে আবার কখনও গুণাত্মক পদ্ধতির প্রকাশ করা হোত। উদাহরণস্বরূপ তৈত্তিরীয় সংহিতায় উল্লিখিত ১৯ সংখ্যার কথা আমরা বলতে পারি।
এখানে ১৯’কে একন বিংশতি বলা হয়েছে। অর্থাৎ ১৯-২০-১ (বিয়োগাত্মক পদ্ধতি) ঋগ্বেদে ৩৩৩১কে বলা হয়েছে তিনি শতানি ত্রিসহস্রানি ত্রিংশ নব। গণিতসার সংগ্রহে বলা হয়েছে ১৩৯ চত্বারিংশ একোন যটধিক ৪+১০০-১; আর্যভট আর্যভটীয়াত ১৮’কে দ্বিনব বলে উল্লেখ করেছেন অর্থাৎ ১৮-২০ ১এখানে গুণাত্মক পদ্ধতি অনুযায়ী সংখ্যাটিকে উল্লেখ করা হয়েছে।
গণিতসারসংগ্রহের প্রথম অধ্যায়ে ২৮৪৮৩ সংখ্যাটিকে বলা হয়েছে অশীর্তিমিশ্রানি চতুংশতানি চতুশশতানি চতুল্লহস্রমনগান্বিতানি অর্থাৎ ২৮৪৮৩-৮৩+৪০০ + (৪০০৭)। গণিতসার সংগ্রহে ১২৩৪৫৬৫৪৩২১ সংখ্যাটিকে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ভাবে নামকরণ করা হয়েছে। এটিকে বলা হয়েছে একদিষড়- স্তানি ক্রমেন হীনানী। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সংখ্যার নামকরণ করতে গিয়ে সংখ্যার উত্থান ও পতন ঘটিয়ে বলা হয়েছে।
(চলবে)
Leave a Reply