সারাক্ষণ ডেস্ক
সোমবার মালয়েশিয়ার কেলান্টান রাজ্যে প্রবল বৃষ্টির পর টুমপাট এলাকার ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়।
মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ড এই সপ্তাহে প্রবল বৃষ্টি ও সম্ভাব্য নতুন বন্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে, যদিও কিছু এলাকায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে এবং স্থানচ্যুত বাসিন্দাদের কেউ কেউ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।

গত সপ্তাহ থেকে প্রবল বৃষ্টি এবং বন্যায় প্রতিবেশী দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশ দুটি বিপর্যস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং পাঁচ লাখেরও বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ একে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।সরকারি তথ্য অনুসারে, সোমবার কিছু এলাকায় পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে এবং পানি কমতে শুরু করেছে।
মালয়েশিয়ায়, আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষের সংখ্যা রবিবারের ১,৫২,০০০ থেকে কমে সোমবার ১,২৮,০০০-এ নেমে এসেছে, যা দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। কেলান্টান রাজ্য, যা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে ৪ ডিসেম্বর থেকে নতুন করে বন্যার শঙ্কা রয়েছে বলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় ফেসবুকে জানিয়েছে। পোস্টে বলা হয়, “বন্যার পানি সামান্য কমার প্রবণতা দেখা গেলেও সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।”

অন্যদিকে, দক্ষিণ থাইল্যান্ডে ৪,৩৪,০০০ পরিবার এখনো ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে, যা সপ্তাহান্তে ৫,৩৪,০০০ পরিবার ছিল বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকার বন্যাকবলিত এলাকায় খাদ্য ও সরবরাহ পৌঁছে দিয়েছে এবং সাতটি প্রদেশে পানি কমতে শুরু করেছে।থাইল্যান্ডের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ৩-৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের দক্ষিণাংশে প্রবল বৃষ্টি ও সম্ভাব্য হঠাৎ বন্যা এবং নদীর পানির উপচে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষত, জলাভূমি ও নদী সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকার মানুষদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
Leave a Reply