ম্যাকসিম গোর্কী
বাইশ
তিনি সব চেয়ে বেশি আলাপ করেন ভগবান সম্বন্ধে, কৃষক সম্বন্ধে এবং নারী সম্বন্ধে। সাহিত্য সম্পর্কে কিঞ্চিৎ, কদাচিৎ। যেন সাহিত্যের সংগে তাঁর অন্তরের কোনো যোগাযোগ নেই। আমার মতে, নারীকে তিনি দেখেন এক অপ্রশমেয় বৈরিতার সংগে। সে যদি কিটী বা নাটাশা রস্টভের মতো, অর্থাৎ, যদি অতি সংকীর্ণমনা হয়, তবে তিনি তাকে শাস্তি দিতে ভালো বাসেন।
এ যেন সেই পুরুষের শত্রুতা, যে-পুরুষ প্রচুর আনন্দ পেতে পারত, কিন্তু তা পেতে সমর্থ হয়নি। তা ছাড়া এ যেন শত্রুতা, আত্মার-“রক্ত মাংসের নিম্নগামী প্রবৃত্তির” বিরুদ্ধে। কিন্তু, যাই হোক, এ শত্রুতা। ‘আনা কারেনিন’ উপন্যাসের মতো হিম, নিরুষ্ণ একটা শত্রুতা।
রবিবার দিন তিনি শেখভ ও ইয়েস্পাতিয়েভস্কির সংগে রুশোর “স্বীকারোক্তি” সম্পর্কে এক আলোচনায় “রক্ত মাংসের প্রবৃত্তি” সম্বন্ধে চমৎকার আলাপ করলেন। সুলার তা টুকে রেখেছিল। কিন্তু পরে কফি তৈয়ার করবার সময় সে-গুলিকে সে স্পিরিট ল্যাম্পের আগুনে পুড়িয়ে ফেলে।
এর পূর্বে সে একবার ইবসেন সম্পর্কে টলস্টয়ের মতামতগুলিকেও পুড়িয়ে ফেলেছে। বিবাহ অনুষ্ঠানের প্রতীক সম্বন্ধে তিনি যে সমস্ত অমার্জিত সরস মন্তব্য ক’রে- ছিলেন, সেগুলিও টুকে রেখেছিল সুলার। ভি, ভি, রোসানভের সংগে এগুলির অনেকখানি মিল ছিল। কিন্তু সেগুলিকেও সুলার হারিয়ে ফেলেছে।
Leave a Reply