ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
এই অবস্থাতে গাই-এর কলজে, চোখ, ফুসফুস সব কিছু বার করে আনা হয়। এইসব দেখে ঐ প্রধান পবিত্র মহাপুরোহিত ভবিষ্যতবাণী করতে পারেন। এই বলিদান প্রথাটি হিন্দুধর্মীয় আচারের পাঁঠা বা মহিষ বলিকে স্মরণ করিয়ে দেয়। তবে একথা অবশ্যই মানতে হবে এই জন্তু বলি বা উৎসর্গর মধ্যে এক ধরনের ভয়াবহ, নিষ্ঠুর মনের প্রকাশ ঘটে। এই বলিদান অনষ্ঠানের পরে মহান পুরোহিত অন্য একটি কাজও করেন।
এই কাজটি হল আগুন জ্বালানো। এই আগুন হল পবিত্র (অগ্নি) এবং সূর্যের আসনে বসে পুরোহিত সোনার মেডেল-এর বিশেষ আকারের ওপর আগুনের রশ্মি ছড়ান। এই সোনার মেডেলের উপর তেল জাতীয় কিছু ফেলা হয় যাতে আগুনের রশ্মি করিকানকার পরের বছরেও থাকতে পারে। এরপরেও পুরোহিত সংখু (Sanghu) উৎসর্গ করে।
যাকে সহজ ভাষায় পবিত্র রুটিও বলা হয়। এই রুটি ভুট্টার ময়দা এবং চমরি গাই-এর রক্ত মিশিয়ে তৈরি করা হয়। এই রুটি খাওয়াকে খৃষ্টীয় অতিথির মত ধর্মীয় কাজ বলে মনে করা হয়। এখানে বলা প্রয়োজন ভুট্টা, ভুট্টাজাত ময়দা, সবকিছুই মায়াসভ্যতার সঙ্গে মিলকে প্রতিষ্ঠিত করে।
(চলবে)
Leave a Reply