মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:২৪ অপরাহ্ন

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-২২)

  • Update Time : শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০.০০ এএম

প্রদীপ কুমার মজুমদার

সংখ্যার ব্যুৎপত্তি

এতক্ষণ পর্যন্ত সংখ্যার নামকরণ এবং এ সম্পর্কে কোন্ গ্রন্থে কি বলা হয়েছে তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হোল। এবারে ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে সংখ্যার ব্যুৎপত্তি সম্পর্কে কি আলোচনা করা হয়েছে তার উপর কিছুটা আলোকপাত করা হচ্ছে। বিখ্যাত লেখক যাস্ক তাঁর নিরুক্ত গ্রন্থে এক দুই ইত্যাদি সংখ্যার ব্যুৎপত্তি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন-

“এক ইতা সংখ্যা, ছৌ দ্রুততরা সংখ্যা, অয়ন্তীর্ণতমা সংখ্যা, চত্বারশ্চলিততমা সংখ্যা।” অর্থাৎ এক অনুগতা সংখ্যা, দ্বি দ্রুততরা সংখ্যা, তিন উত্তীর্ণতমা সংখ্যা, চার অতিশয় চলনসম্পন্না সংখ্যা। উণাদিখণ্ডে বলা হয়েছে-‘এক’ শব্দ গত্যর্থক ‘ই’ ধাতুর উত্তর ‘কন্’ প্রত্যয়ে নিষ্পন্ন এবং ‘এক’ সংখ্যাত্ব প্রাপ্ত অথবা, সমস্ত সংখ্যায় অনুগত-একের বুদ্ধিতেই দ্বি প্রভৃতি সংখ্যার উদ্ভব, অর্থাৎ সংস্কৃত ভাষায় বলতে গেলে এরকম হয়-‘ইতা অনুগতা উত্তরাং সংখ্যাম্, একত্মপ্রচয়মাত্রং হি দ্বিত্বাদি সংখ্যা।’

‘দ্বি’ শব্দ গত্যর্থক ভ্রু ধাতু হতে নিষ্পন্ন। ‘দ্বি’ সম্পর্কে বলা হয় “ছৌ দ্রুততরা সংখ্যা একস্যা সকাশাং” অর্থাৎ ‘দুই’ একের অপেক্ষায় অধিকতর বেগে গমন করে-সর্বদাই যেন একেই অগ্রগামী। তরণার্থক “ত,” ধাতুর উত্তর ‘ডি’ প্রত্যয়ে ‘ত্রি’ শব্দের নিষ্পত্তি। সংস্কৃতে বলা হয়-‘এয়স্বীর্ণতমা দ্বাবেকং চাপেক্ষ্য’ অর্থাৎ তিন উত্তীর্ণতম অর্থাৎ এক-কে ও দুইকে অতিক্রম করে বর্তমান।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-২১)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-২১)

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024