প্রদীপ কুমার মজুমদার
‘চতুর’ শব্দ ‘চল্’ ধাতু ধাতু থেকে নিষ্পন্ন। সংস্কৃতে বলা হয়েছে-‘চত্বারশ্ন- লিততমাঃ পূর্ব্বাপেক্ষয়া’ অর্থাৎ চারি নিরতিশয় চলনসম্পন্ন-এক, দুই, তিন সকলকেই অতিক্রম করে। ঠিক অনুরূপভাবে অন্যান্য সংখ্যা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ পাঁচ, ছয়, সাত সম্পর্কে এই একই ব্যাখ্যা প্রয়োগ করা হয়েছে।
দেখা যাক “অষ্ট” (আট) সম্পর্কে কি বলা হয়েছে। “অষ্টাবপ্নোতেঃ অর্থাৎ অষ্টন পদ অশ, ধাতু থেকে নিষ্পন্ন। ব্যাপ্তর্থক ‘অশ’ ধাতুর উত্তর” কনিন্’ প্রত্যয়ে অষ্টন শব্দ নিষ্পন্ন। সংস্কৃতে বলা হয়েছে ‘তে হি সপ্তসংখ্যাং ব্যাপ্যবর্তন্তো; ব্যাপ্নোতি হি সা পূর্ব্বাঃ সংখ্যাঃ’ অর্থাৎ অষ্ট সংখ্যা ব্যাপক-পূর্ববর্তী সাত সংখ্যাকে ব্যাপ্ত করে আছে।
নয় সংখ্যা সম্পর্কে বলা হয়েছে ‘নব ন বননীয়।
নাবাপ্তা বা’ অর্থাৎ নব সংখ্যা সেবনীয়া নহে অথবা দশ সংখ্যাকে প্রাপ্ত নহে। ‘নবন্’ শব্দ ন+সংভজনার্থক ‘বন্’ ধাতু হতে অথবা ন+প্রাপ্তার্থক ‘অব্’ ধাতু হতে বা ন+অব+প্রাপ্তার্থক ‘আপ,’ ধাতু হতেও নবন্ শব্দের নিষ্পত্তি করা যেতে পারে। নয় সংখ্যা যে দশ সংখ্যার নীচে সে কথা সংস্কৃত ভাষায় বলা হয়েছে।
যথা: নাবাপ্তা বা দশ সংখ্যাং ন প্রাপ্তেত্যর্থঃ অর্থাৎ নব সংখ্যা দশ সংখ্যাকে প্রাপ্ত নহে অর্থাৎ দশ সংখ্যার নিয়ে। দশ সম্পর্কে বলা হয়েছে-‘দশ দস্তা দৃষ্টার্থ। বা’ অর্থাৎ দশ সংখ্যা উপক্ষীণা; অথবা একাদশাদি সংখ্যায় দশন্ শব্দের অর্থ পরিদৃষ্ট হয়।
(চলবে)
Leave a Reply