শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন

জাতীয় নির্বাচন আগামী বছর নাকি আরও পরে

  • Update Time : রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০.৪০ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে বাংলাদেশ”

বিশ্বের ৪টি অঞ্চলের ১২টি নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের মধ্যে স্মার্টফোন মালিকানায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ৯টি দেশ। এমনকি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারেও বাংলাদেশ তাদের চেয়ে পিছিয়ে। বিগত সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে প্রচুর ব্যয় করলেও স্মার্টফোনের দাম মানুষের হাতের নাগালে আনতে পারেনি। মানুষের মধ্যে স্মার্টফোনের ব্যবহারে চাহিদা তৈরি করতে পারেনি। ডিজিটাল সাক্ষরতার অভাবে অর্ধেক জনগোষ্ঠীই এসব সুবিধার বাইরে থাকছে।

মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএমএ) চলতি বছরের অক্টোবরে ‘দ্য স্টেট অব মোবাইল ইন্টারনেট কানেকটিভিটি ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার নিম্নমধ্যম আয়ের ১২টি দেশের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার–সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দিক নিয়ে করা জরিপের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

জরিপে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, ইথিওপিয়া, উগান্ডা, গুয়াতেমালা ও মেক্সিকোর মানুষের ওপর জরিপ করা হয়েছে। ভারত ও ইথিওপিয়া ছাড়া প্রতিটি দেশের ১ হাজার মানুষের ওপর জরিপ করা হয়েছে, যাঁদের বয়স ১৮ থেকে তদূর্ধ্ব।

তথ্যপ্রযুক্তিবিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সম–অর্থনীতির দেশগুলো বাংলাদেশের মতো স্লোগান দিয়ে এত টাকা খরচ করেনি। এত বিনিয়োগ করে, স্লোগান দিয়েও কেন বাংলাদেশ চাহিদা তৈরি করতে পারল না এবং পিছিয়ে আছে, তা পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। এ ছাড়া ইন্টারনেটের যতটুকু ব্যবহৃত হচ্ছে, সেখানে এ দেশের মানুষ ক্রিয়েটরের চেয়ে ভোক্তাই থেকে যাচ্ছে বেশি।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “জাতীয় নির্বাচন আগামী বছর নাকি আরও পরে‌”

বিএনপি ছাড়াও কোনো কোনো রাজনৈতিক দল আগামী ত্রয়েদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রূপরেখা চাইছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত নির্বাচনের দিন-তারিখ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ আগামী বছর নির্বাচন হতে পারে বলে আভাস দিচ্ছেন।

সর্বশেষ গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) উদ্যোগে আয়োজিত এক সম্মেলনে অংশ নিয়ে শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাদের এই সরকার খুবই স্বল্পকালীন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আগামী বছরেই আমরা একটি রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত সরকার দেখব। জানি না কী হবে।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এই সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের ওপর জোর দেয়। তবে বিএনপি দ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের দাবি করে আসছে। জামায়াতে ইসলামী শুরুতে নির্বাচনের তাগিদ না দিলেও গত কয়েক দিনে দলটির আমির শফিকুর রহমান দুবার দ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের কথা বলেছেন।

অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যরা বরাবরই বলে আসছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন হবে। তবে সংস্কার কতটুকু হবে, তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “ঋণমানের অবনমন, আমদানি সংকট নাকি কারসাজি?”

আবারো অস্থিতিশীল দেশে ভোজ্যতেলের বাজার। বাজারে পণ্যটির সংকট মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে শুল্কছাড়। এর পরও সমস্যার সমাধান হয়নি। দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ভোজ্যতেল পণ্য আমদানিতে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করছেন আমদানিকারকরা। আবার কেউ কেউ বলছেন, দেশের ঋণমানে অবনমন হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের, যা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর সরবরাহ শৃঙ্খলকে বিঘ্নিত করেছে।

অন্যদিকে ব্যাংকাররা বলছেন, ঋণমান অবনমনের প্রভাব এখনো সেভাবে দৃশ্যমান নয়। বাজার কারসাজির কারণেই পণ্যটির সংকট তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় আসন্ন রমজানে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে শিগগিরই ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ভোজ্যতেলের মোট চাহিদা ২৪ লাখ টনের মতো। সরিষা, বাদাম, তিল, তিসিসহ বিভিন্ন তেলবীজ থেকে উৎপাদিত ভোজ্যতেলে চাহিদা পূরণ হয় তিন লাখ টনের মতো। বাকিটা পূরণ হয় মূলত আমদানির মাধ্যমে। এর মধ্যে ব্রাজিল থেকে ৪৮ শতাংশ ও আর্জেন্টিনা থেকে ৪৬ শতাংশ সয়াবিন তেল আমদানি হয়ে থাকে। অন্যদিকে পাম অয়েলের জোগান আসে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে। দেশে প্রতি মাসে ভোজ্যতেলের চাহিদা প্রায় দুই লাখ টন। আর রমজানে এ চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় দ্বিগুণে।

আমদানিকারকরা বলছেন, বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকায় ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দাম বাড়ানোর অনুমোদনের প্রস্তাব দিয়েছে কয়েক দফায়। কিন্তু দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে ভোগ্যপণ্যের বাজারে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামাল দিতে দাম বাড়ানোয় অনীহা দেখিয়েছে সরকার।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “অস্থিরতা, ভারত কার্ড, এরপর কী?”

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর টানা তিন দিন দেশে কোনো সরকার ছিল না। ৮ই আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গঠন করা হয় উপদেষ্টা পরিষদ। সরকার পতনের পর সারা দেশে যে মব জাস্টিস শুরু হয় তা সামাল দেয়াই হয়ে উঠে তখন নতুন সরকারের প্রধান কাজ। সর্বত্র বিশৃঙ্খলা। মাঠছাড়া পুলিশ প্রশাসন। সিভিল প্রশাসনে অস্থিরতা। অতীতের ক্ষোভ থেকে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। এসব ঘটনা সামাল দিতে শুরুতে সরকারের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও মাঠে নামে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। কিন্তু একের পর এক ইস্যু আসতে থাকে সামনে। একের পর এক অস্থিরতা সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। প্রায় চার মাস আগে দায়িত্ব নেয়া সরকারের সামনে যে চ্যালেঞ্জ ছিল চার মাস পরও এমন অনেক চ্যালেঞ্জ মাড়িয়ে পথ চলতে হচ্ছে। বলা হচ্ছে যেসব ইস্যুতে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে তা সরকারের আগাম উদ্যোগের মাধ্যমে আগে থেকে নিরসন করা যেতো। শুরুতে সরকার লক্ষ্য নির্ধারণে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। যে কারণে মূল কাজের বাইরে অহেতুক ইস্যুর সঙ্গে লড়ে সময় নষ্ট করতে হচ্ছে। এ ছাড়া প্রায় চার মাস দায়িত্বের সময়ে গোয়েন্দা সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন পুনর্গঠন করে পুরো মাত্রায় কাজে লাগাতে না পারাও চলমান অস্থিরতার নেপথ্যে বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ ও বোঝাপড়ায় দূরত্ব তৈরির কারণেও কিছু পক্ষ নতুন নতুন ইস্যু সামনে এনে অস্থিরতা তৈরির সুযোগ পাচ্ছে।

 

যুগান্তরের একটি শিরোনাম “বড় দুঃসংবাদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক, দায় নিতে হবে পরবর্তী সরকারকেও”

দেশের বৈদেশিক ঋণের খাতে বড় দুঃসংবাদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। নতুন ঋণ ছাড় কমে যাচ্ছে। যেসব নতুন ঋণ ছাড় হচ্ছে, তার বড় অংশই চলে যাচ্ছে আগের মূল ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধে। ফলে নিট ঋণ ছাড় হচ্ছে কম। ঋণের সুদহার বেড়েছে, কমেছে ঋণ পরিশোধের গ্রেস পিরিয়ড। এতে বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে চাপে পড়বে বাংলাদেশ। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেড়েছে ঋণের স্থিতি। বৈশ্বিকভাবে ঋণের সুদহার ও দেশের ঋণের স্থিতি বাড়ায় গত বছরে বৈদেশিক ঋণের বিপরীতে শুধু সুদ পরিশোধ বেড়েছে ৯০ শতাংশ। যা বৈশ্বিকভাবে সর্বোচ্চ। এর আগের বছরে বেড়েছিল ১৫ শতাংশ। বেসরকারি খাতের দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধ কমলেও বেড়েছে সরকারি খাতের ঋণ পরিশোধের মাত্রা।

শুক্রবার রাতে বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ‘আন্তর্জাতিক ঋণ প্রতিবেদন ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবছর একবার এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এতে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক ঋণের সার্বিক তথ্য দেওয়া হয়েছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024