শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-২৪)

  • Update Time : সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭.০০ এএম

প্রদীপ কুমার মজুমদার

উপক্ষয়ার্থক ‘দস্’ ধাতু হতে দশন্ শব্দের নিষ্পত্তি। এছাড়া বলা হয়েছে  দশান্তৈব হি সংখ্যা ভবতি (দুঃ); একাছ্যুপচয়েন দশ সংখ্যায়। এবাবৃত্তেরেকাদশাদি সংখ্যোপজনঃ (স্ক স্বাঃ) অর্থাৎ দশ সংখ্যা উপক্ষীণা-বাস্তবিক দৃশ সংখ্যাতেই শেষ, দশ সংখ্যার সহিত সংখ্যান্তরের যোগে একাদশাদি সংখ্যার উৎপত্তি।

তাছাড়াও বলা হয়েছে “দৃষ্টার্থৈব হি দশানামুপরি পুনঃ পুনর্দৃশ্যতে সংখ্যা, তদাযথা একাদশেত্যেবমাদি (দুঃ) অর্থাৎ দর্শনার্থক ‘দৃশ’ ধাতু হতেও দশন্ শব্দের উৎপত্তি করা যেতে পারে। একাদশাদি সংখ্যায় দশ শব্দের অর্থ দৃষ্ট হয়।

কুড়ি এবং শত সংখ্যা সম্পর্কে বলা হয়েছে-বিংশতিদ্বির্দশতঃ শতং দশদশতাঃ অর্থাৎ “বিংশতি সংখ্যা দশ সংখ্যার দ্বিগুনং শত সংখ্যা দশ সংখ্যার দশগুণ” দশম্+শতিচবিংশতি (যৌ দশতৌ পরিমানন্ত সংঘস্য বিংশতিঃ) দশন্ত-শত (দশ দশতঃ পরিমানন্ত সংযন্ত্য শতম্, পাণিনি।) হাজার সংখ্যা সম্পর্কে বলা হয়েছে-‘সহস্রং সহস্বৎ’ অর্থাৎ সহস্র সংখ্যা সহস্বৎ। বলবাচক ‘সহস্’ শব্দের উত্তর অন্ত্যর্থে ‘র’ প্রত্যয় করে সহস্র শব্দের নিষ্পত্তি।”অযুতং নিযুতং প্রযুতং তত্তদভ্যস্তম্।” অর্থাৎ অমৃত সংখ্যা, নিযুত সংখ্যা, প্রযুত সংখ্যা সহস্রাদি দশবার করে আবৃত্তি করতে হয়।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-২৩)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা ( পর্ব-২৩)

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024