বাংলাদেশ নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা রোধে ভারতের শক্ত ভূমিকা আশা করে বাংলাদেশ। ভারত বাংলাদেশ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে এ কথা বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে। এ কারণে অন্যান্য দেশেরও একই ধরনের শ্রদ্ধাবোধ দেখানো উচিত।”
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “সম্পর্ককে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ভারত একমত হয়েছে। দুই দেশের পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামনে আলোচনা হয়েছে।”
মি. উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন. “দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সকল অনিষ্পন্ন বিষয় সমূহে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য ভারতের সহযোগিতা কামনা করি। এবং এই লক্ষে আমরা একযোগে কাজ করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছি।”
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সংখ্যালঘুদের নির্যাতন নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে নেতিবাচক প্রচারণা হচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “বাংলাদেশের জুলাই অগাস্ট বিপ্লব এবং বিপ্লব পরবর্তী সংখ্যালঘুদের প্রতি কথিত বৈরি আচরণ নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমে অপপ্রচার, মিথ্যা তথ্য ও বিভ্রান্তিকর বয়ান হচ্ছে। সে বিষয়ে আমরা ভারত সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি এবং এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি।”
শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করে যে সমস্ত বক্তব্য রাখছে সেটি নিয়েও দুই দেশের সচিব পর্যায়ের এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন।
তিনি বলেন, “আমরা ভারতকে জানিয়েছি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতে বসে যে বক্তব্য রাখছে সেটি সরকার পছন্দ করছে না।”
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব জানান, এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় এবং রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে ভারতের সহযোগিতার জন্য আহবান জানিয়েছি।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “প্রতি বছর পর্যটন ও চিকিৎসা উপলক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলদেশি ভারত সফর করে। তাদের ভিসা প্রাপ্তি সহজীকরণসহ অন্যান্য বিষয়ে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি।”
সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধ নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব।
বিবিসি নিউজ বাংলা
Leave a Reply