মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন

বেড়েছে চালের উৎপাদন খরচ কমেছে কৃষকের লাভ

  • Update Time : বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮.৩০ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “সংখ্যালঘুদের ‘টার্গেট’ করে সহিংসতার ঘটনায় ৮৮ মামলা, ৭০ জন গ্রেপ্তার”

দেশে গত ৫ আগস্ট থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের টার্গেট (লক্ষ্য) করে সহিংসতার ঘটনায় ৮৮টি মামলায় ৭০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এরপরের ঘটনাগুলোর বিষয়েও মামলা হয়েছে। সেই তালিকাও পুলিশ করছে। এ কারণে মামলা ও গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বাড়বে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম এসব তথ্য জানান। পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তিনি এসব তথ্য জানান।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে কিছু সহিংসতা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে একটি প্রতিবেদন এসেছে। তারা বলছে, এসব ঘটনায় মোট ৭০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এটা চলমান। ৮৮টি মামলা হয়েছে। এটি অক্টোবর পর্যন্ত। এরপরের যে মামলা, সেগুলোর তালিকা হচ্ছে। আগামীকাল বুধবার নাগাদ সেই তালিকা হাতে পাবেন। সেটির ওপর একটি বিস্তারিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বাড়বে। মামলার সংখ্যাও দু-একটা বাড়তে পারে। কারণ, সুনামগঞ্জে একটি ঘটনা ঘটেছে। কিছু কিছু জায়গায়, চট্টগ্রাম, ঢাকার তুরাগ ও নরসিংদীতে ঘটনা ঘটেছে। সেগুলোর প্রতিটির তথ্য সাংবাদিকদের দেওয়া হবে। তারা আশা করছে, এ সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিত দিতে পারবে।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “বেড়েছে চালের উৎপাদন খরচ কমেছে কৃষকের লাভ”

চালের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। প্রতি কেজি চালের উৎপাদন খরচ ২০১২ সালে ছিল ১০ টাকা ৫১ পয়সা। সেটি বেড়ে ২০১৫ সালে হয়েছে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা এবং ২০১৮ সালে ১২ টাকা ৮৮ পয়সা। পরবর্তী কয়েক বছরে উৎপাদন খরচ বেড়েছে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

অন্যদিকে এক কেজি চাল বিক্রি করে আয় হতো ২০১২ সালে ১৬ টাকা ১৭ পয়সা, ২০১৫ সালে ১৬ টাকা ৫২ পয়সা এবং ২০১৮ সালে ১৭ টাকা ৪৮ পয়সা। এক্ষেত্রে গড় লাভ আসে ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। মোট উৎপাদন খরচের সঙ্গে বিক্রি করা অর্থের লাভজনকতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমছে। কৃষকরা তাদের বিনিয়োগে কম রিটার্ন পাচ্ছেন। কারণ তাদের উৎপাদিত পণ্যের দামের তুলনায় খরচ দ্রুত বাড়ছে। এ প্রবণতা ধানচাষিদের জন্য একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) চার দিনব্যাপী চলমান আন্তর্জাতিক সম্মেলনের শেষ দিন গতকাল মঙ্গলবার আয়োজিত এক অধিবেশনে উপস্থাপিত গবেষণা প্রবন্ধে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এ সম্মেলনে ‘এগ্রিকালচারাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড টেকনিক্যাল এফিশিয়েন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন বিআইডিএসের রিসার্স ফেলো তাজনোয়ারা সামিনা খাতুন। বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক কাজী সালাউদ্দিন এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “ব্যাংক লুটকারীদের বিরুদ্ধে ভিয়েতনামের মডেল অনুসরণ করবে কি বাংলাদেশ”

ট্রুং মাই লান। ভিয়েতনামের অন্যতম শীর্ষ ধনী। তবে তার উত্থান গল্পটি অনেকটাই সিনেমার কাহিনীর সঙ্গে মিলে যায়। এক সময় মায়ের সঙ্গে হো চি মিন শহরের প্রাচীন মার্কেটে প্রসাধনী বিক্রি করতেন। ধীরে ধীরে তার ছোট ব্যবসা বড় করেন। ১৯৮৬ সালে দেশটির কমিউনিস্ট পার্টি অর্থনৈতিক সংস্কার চালু করলে ট্রুং মাই লান শুরু করেন ভূমি ও সম্পত্তি কেনাবেচা। নব্বইয়ের দশকে বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁর একটি বড় অংশের মালিক বনে যান।

চীনা ভিয়েতনামি পরিবারে জন্ম নেয়া ট্রুং মাই লানের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে শুরু করে হংকংয়ের বিনিয়োগকারী এরিক চুয়ের সঙ্গে পরিচয়ের পর। ১৯৯২ সালে তারা বিয়েও করেন। একই বছর ট্রুং চালু করেন আবাসন কোম্পানি ভ্যান থিন ফ্যাথ হোল্ডিংস। ২০১১ সালের মধ্যে হয়ে ওঠেন হো চি মিন সিটির প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। সে বছরই তিনি সায়গন কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন। এ প্রক্রিয়ার সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিল খোদ দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর থেকেই ট্রুং মাই লানের নাটকীয় উত্থানের শুরু। এক সময় হয়ে ওঠেন দেশটির শীর্ষ ধনীদের একজন। তবে ট্রুং ছিলেন অনেকটাই প্রচারবিমুখ।

এক দশকের বেশি সময় পর ভিয়েতনামের ফুলেফেঁপে ওঠা আবাসন খাতের বুদ্বুদ ধসে গেলে আর্থিক খাতে নানা প্রতারণার ঘটনা বেরিয়ে আসতে শুরু করে। কভিড-১৯ মহামারীর সময় ট্রুং মাই লানের ব্যবসায়িক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে ২০২২ সালের অক্টোবরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাসার বেজমেন্টে মেলে নগদ ৪ বিলিয়ন ডলার।

অর্থ আত্মসাতের ক্ষেত্রে ট্রুং মাই লান প্রচলিত ও জনপ্রিয় পথেই হেঁটেছেন। ভিয়েতনামের আইন অনুসারে, একজন ব্যক্তি ব্যাংকের সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা অর্জন করতে পারেন। আইনানুসারে, কাগজে-কলমে ট্রুংও ছিলেন সায়গন কমার্শিয়াল ব্যাংকের ৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ঘেরাও”

দিল্লির চাণক্যপুরিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন হিন্দুত্ববাদীরা। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ সমর্থিত সিভিল সোসাইটি অব দিল্লি নামের একটি সংগঠন এ বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিল। প্রায় শতাধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নিজ নিজ মানুষ এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল নানা ধরনের পোস্টার। বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ এবং তাদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে হাইকমিশনের প্রতিনিধির কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়। হাইকমিশনের পাশাপাশি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কাছেও দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেয়া হয়। কর্মসূচির আয়োজকদের দাবি দিল্লির সব বাজার কমিটি, আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের সংগঠন, চিকিৎসক, আইনজীবী, ছাত্রসংগঠন ও দুর্গাপূজা, ছটপূজা, রামলীলার আয়োজক এবং শিখ ধর্মস্থান গুরুদ্বার পরিচালন কমিটির সদস্যরা ওই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি মোকাবিলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের চারপাশে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিক্ষোভকারীদের হাইকমিশনের কয়েকশ’ মিটার আগে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়া হয়। তবে বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের স্মারকলিপি দেয়ার জন্য হাইকমিশনে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ভারতে বাংলাদেশের ডেপুটি ও সহকারী হাইকমিশনগুলোতেও একাধিকবার বিক্ষোভ জানিয়েছেন হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন।

 

যুগান্তরের একটি শিরোনাম “শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ”

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা থেকে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিসি ঘাট কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসির নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল হোসেন।

তিনি জানান, বুধবার ভোর ৫টা থেকে প্রচণ্ড কুয়াশার দেখা দেয়। তাই এর মধ্যে দুর্ঘটনা এড়াতে এ রুটে সাময়িক ভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কুয়াশা কেটে গেলে আবার ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়া হবে। তবে নদীতে এবং চ্যানেলে কোনো ফেরি নোঙ্গরে নেই।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024