সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “বাংলাদেশ
গাজীপুর থেকে ঢাকামুখী অফিসগামীদের জন্য চালু হচ্ছে ৪ জোড়া ট্রেন”
গাজীপুর থেকে ঢাকামুখী অফিসগামীদের সুবিধার্থে ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে চার জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হচ্ছে। আগামী রোববার থেকে এসব ট্রেন চলাচল করবে। ঢাকা, টঙ্গী, তেজগাঁও ও বিমানবন্দর স্টেশনে ট্রেনগুলো থামবে। সংশ্লিষ্ট স্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) নাহিদ হাসান খান গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। এতে বলা হয়, এই রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো হচ্ছে তুরাগ কমিউটার-১, তুরাগ কমিউটার-২, তুরাগ কমিউটার-৩ ও তুরাগ কমিউটার-৪ এবং জয়দেবপুর কমিউটার-১, জয়দেবপুর কমিউটার-২, জয়দেবপুর কমিউটার-৩ ও জয়দেবপুর কমিউটার-৪।
গাজীপুরে বাসায় থেকে ঢাকায় অফিস’ শিরোনামে রেলওয়ে থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তুরাগ কমিউটার শুক্রবার এবং জয়দেবপুর কমিউটার শনিবার বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তুরাগ কমিউটার-২ জয়দেবপুর থেকে সকাল সাড়ে ছয়টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। তেজগাঁও, বনানী, ঢাকা বিমানবন্দর, টঙ্গী ও ধীরাশ্রম স্টেশনে এই ট্রেন থামবে। তুরাগ কমিউটার-৪ ট্রেনটি জয়দেবপুর থেকে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এটি তেজগাঁও, ঢাকা বিমানবন্দর ও টঙ্গী স্টেশনে থামবে।
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “মূল্যস্ফীতি সহনীয় হতে এক বছর সময় লাগবে: গভর্নর”
মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আনতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে ব্র্যাক ইপিএল আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, মূল্যস্ফীতি আগামী জুনের মধ্যে ৭ শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে আরও ১০ থেকে ১২ মাস সময় লাগবে। দেশের বেশ কিছু ব্যাংক তারল্য সংকটে ভুগছে। এদের সম্পদ পর্যালোচনা কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে।
দেশে এলসি খুলতে কোন জটিলতা নেই উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, গত চার মাসে অতিরিক্ত ৩ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী কর্মীরা, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে আহসান এইচ মনসুর বলেন, আসছে জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামবে। আর আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “আক্রান্ত বাড়ছে, কঠিন বাস্তবতায় দেশের ক্যান্সার রোগীরা”
রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসিন্দা রাশেদা খাতুন। চল্লিশোর্ধ্ব এ নারী বছরখানেক ধরে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত। নিয়মিতভাবে চিকিৎসাসেবা নিতে প্রতিবেশী দেশ ভারতে যেতেন। সম্প্রতি দেশটির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনে ভারতের ভিসা পেতে দীর্ঘসূত্রতা ও বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ভোগান্তি বাড়ায় রাশেদা খাতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশেই ক্যান্সারের চিকিৎসা নেবেন তিনি। কিন্তু এখানে চিকিৎসা সেবার মান ও ব্যয় সাশ্রয় নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগে ভুগছেন তিনি।
দেশে প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক মানুষের ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ছে। যদিও এর চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আবার চিকিৎসাসেবা ও সুবিধাও অপ্রতুল। এ কারণে প্রতি বছর ক্যান্সারের চিকিৎসাসেবা নিতে প্রতিবেশী ভারতে যাচ্ছেন আক্রান্তদের বড় একটি অংশ। সাম্প্রতিক সময়ে ভিসা নিয়ে জটিলতা বাড়ায় তাদের অধিকাংশই এখন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া শুরু করেছেন। তবে ক্যান্সার চিকিৎসায় দেশের হাসপাতালগুলোয় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও দক্ষ জনবল না থাকায় উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সেই সঙ্গে ব্যয়বহুল এ চিকিৎসার খরচ জোগানো নিয়েও ভুক্তভোগীদের রয়েছে বড় ধরণের দুশ্চিন্তা।
দেশে প্রতি বছর কী পরিমাণ ক্যান্সারের রোগী শনাক্ত হচ্ছে তার সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা গবেষকরা। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের গবেষকদের করা জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যান্সার রেজিস্ট্রি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি এক লাখে ১১৪ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। গবেষণাটিকে ভিত্তি হিসেবে বিবেচনায় নিলেও দেশের মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩০ লাখের মধ্যে ক্যান্সারের রোগী আছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ২০০ জন।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “চাপে জেরবার জীবন, স্বস্তি আসবে কবে?”
নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের চাপে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের অসঙ্গতি মিলাতে পারছেন না মানুষ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিত্যপণ্যের দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরবে- এমনটা আশা করেছিলেন। তবে এ পর্যন্ত খুব একটা স্বস্তি মিলেনি। নিত্যপণ্যের দাম সহসা কমে আসবে- এমন ভরসাও মিলছে না। উল্টো দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাদের কারও কারও কথায় হতাশ ক্রেতারা। সরকারি হিসাবেই এখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। গতকাল এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে আরও বছর খানেক সময় অপেক্ষা করতে হবে। আসছে জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের মধ্যে নেমে আসতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। বাজারে অস্থিরতার মধ্যে সর্বশেষ ভোজ্য তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে। দাম বাড়ানোর আগের কয়েক দিন আগে থেকে বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় বোতলজাত ভোজ্য তেল। খোলা তেল বিক্রি হয় বাড়তি দামে। নতুন আলু বাজারে আসা শুরু হলেও এখনও বাজারে ৮০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পিয়াজ।
বিগত সরকারের সময়ে বাজারে সিন্ডিকেট গড়ে যে লুটপাট করা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এমন কিছু থাকবে না বলেও মানুষ মনে করছে। কিন্তু বাস্তবে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছেই এখনো জিম্মি বাজার।
যুগান্তরের একটি শিরোনাম “এ মুহূর্তে গুরুত্ব দিতে হবে জাতীয় নির্বাচনে”
এ মুহূর্তে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা। তাদের মতে, জাতীয় নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করা গেলে তা হবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফাইনাল মাইলস্টোন। সেটা হবে ফ্যাসিস্ট রেজিম থেকে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা। এছাড়া একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করলে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। অন্যদিকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে কি না, সেটা নিয়ে একটা প্রশ্ন আছে। কারণ, সেখানে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক থাকে। সেগুলো সেটেল না করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে মিলিয়ে দিলে জটিলতা বাড়বে। ফলে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনগুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে। অন্যদিকে একই দিনে দুই ভোট বাস্তবায়ন করা গেলে অনেক ধরনের অনিয়ম-কারচুপি রোধ করা সম্ভব হবে বলেও মত পাওয়া গেছে।
ভোটকেন্দ্রের বুথ দখল রুখতে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন আয়োজনের কথা ভাবছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। বুধবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমাদের চিন্তা রয়েছে একই দিনে ইউপি আর জাতীয় নির্বাচন করার। তাহলে বুথ দখলটা আর সহজ হবে না। তখন মেম্বার প্রার্থীরা ওয়ার্ডভিত্তিক পাহারা দেবেন। তাহলে কেন্দ্রীয়ভাবে আর কেউ বুথ দখল করতে পারবে না। এ বিষয়ে আমরা সুপারিশ করব।
Leave a Reply