বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১০ অপরাহ্ন

টলস্টয়ের স্মৃতি (পর্ব- ২০)

  • Update Time : শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪.৫৯ পিএম

ম্যাকসিম গোর্কী

একত্রিণ

“ডিকেন্স অত্যন্ত বুদ্ধিমানের মতো একটি কথা বলেছেন: ‘আমরা শেষ পর্যন্ত সাহসের সহিত জীবনকে রক্ষা করিব এই সুনির্দিষ্ট শর্তে-ই আমাদিগকে জীবন দেওয়া হইয়াছে।’ মোটামুটি, ডিকেন্স ছিলেন একজন ভাবপ্রবণ, বাচাল এবং সাধারণ-বুদ্ধি-সম্পন্ন লেখক।

তবে তিনি উপন্যাসের গঠন সম্বন্ধে যেমনটি জানতেন, তেমনটি আর কেউ জানতো না, এমন কি বালজাকও না। কে যেন বলেছেন: ‘বই লেখার বাসনাটা অনেকের মধ্যেই আছে, কিন্তু বই লেখার পর সেজন্যে তাঁরা বড়ো একটা লজ্জিত হন না।’

বালজাকও লজ্জিত হন নি, ডিকেন্সও লজ্জিত হন নি, যদিও তাঁরা দুজনেই অনেক বাজে বই লিখেছেন। তথাপি, বালজাক একজন প্রতিভা, অন্তত পক্ষে সেই বস্তু, যাকে প্রতিভা বলতে পারো।…”

[কে যেন লিও টিথমিরড়ের লেখা ‘আমি বিপ্লবী হওয়া ছাড়িলাম কেন’ বইখানা এনেছিল। লিও নিকোলাইয়েভিচ বইখানা টেবিলের ওপর থেকে নিয়ে শূন্যে তুলে একবার ঘুরালেন, বললেন: “রাজনীতিক হত্যা সম্বন্ধে তিনি এতে যা বলেছেন, তা ভালোই; কিন্তু সে রীতির মধ্যে কোনো সুস্পষ্ট একটা ভাব নেই। একজন উন্মত্ত হত্যাকারী বলছে যে, সে ভাবটি একমাত্র হ’তে পারে ব্যষ্টির অরাজক সার্বভৌমতা এবং সমষ্টির প্রতি ও মানব-সমাজের প্রতি ঘৃণা। তা সত্য, কিন্তু ‘অরাজক সার্বভৌমতাট’ লেখার ভুল মাত্র, এটা হওয়া উচিত ‘সরাজক সার্বভৌমতা।’ এই ভাবটি ভালো এবং সত্য, দুই। সন্ত্রাসবাদীরা এই ভাবটাকে ডিঙিয়ে পার হয়ে যাবে-মানে, আমি বলছি, সত্যকারের যারা সন্ত্রাসবাদী। কিন্তু যে সব লোক স্বভাববশে হত্যা করতে ভালবাসে, তারা ওটাকে ডিঙোবে না। তারা হোলো নিছক খুনী। কেবল মাত্র দৈবক্রমে সন্ত্রাসবাদী হয়ে পড়েছে।”]

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024