বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫২ অপরাহ্ন

সোনালি বিকেল মাতালো ‘গানে-গানে চীন’

  • Update Time : শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯.০২ পিএম

ঢাকা, ডিসেম্বর ১৩, সিএমজি বাংলা: ‘সঙ্গীতের কোন সীমানা নেই। আর সংস্কৃতি হলো মানুষকে কাছে আনার সেতু। বাংলাদেশ ও চীন সংস্কৃতির সেতুবন্ধনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের জন্য বৃহত্তর সুযোগ সৃষ্টি করবে।’ এমনটাই বললেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।  ‘গানে-গানে চীন’ শীর্ষক চীনা গানের প্রতিযোগিতার ফাইনালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

 

শুক্রবার বিকালে সমাপ্ত হয় বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ‘গানে-গানে চীন’ শীর্ষক চীনা গানের প্রতিযোগিতার ফাইনাল। ঢাকায় বিসিএস প্রশাসন একাডেমি’র অডিটোরিয়ামে সারাদিন জমকালো আয়োজনে মোট ২৩ জন প্রতিযোগী চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেন।

দিনের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হয় শিরোপার সাঙ্গীতিক লড়াই। চীনা ও অ-চীনা (বাংলাদেশি) এই দু’টি গ্রুপে দু’জন স্বর্ণপদক, তিন জন রৌপ্যপদক এবং পাঁচ জন ব্রোঞ্জ পদক জিতে নেন। বাকি প্রতিযোগীরা বিশেষ পুরস্কার পান। এই প্রতিযোগিতা দুটি ধাপে আয়োজিত হয়। ফাইনালে চীনা গ্রুপে মোট ছয় জন এবং বাংলাদেশি গ্রুপে মোট ১৭ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন বাংলাদেশী তরুণী সিনথিয়া আহমেদ কলি।

আয়োজকদের সূত্র জানায়, এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হল চীন ও বাংলাদেশের চীনা গানপ্রেমীদের প্রতিভার বিকাশ এবং পারস্পরিক যোগাযোগের একটি মঞ্চ উপহার দেওয়া, যাতে গানে-গানে বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্ব এগিয়ে নেওয়া যায়। পাশাপাশি বাংলাদেশের চীনা ভাষা শিক্ষার্থীরা গানের মাধ্যমে শিক্ষা এবং শিক্ষার মাধ্যমে গানের প্রসার ঘটাতে পারে। চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্ত: চীনা-বিদেশি ভাষা বিনিময় ও সহযোগিতা কেন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতা, বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের নির্দেশনা, শান্ত-মারিয়াম-হোংহো কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের উদ্যোগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশে চীনা এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ওভারসিজ চাইনিজ ফেডারেশনের সহযোগিতায় এটি আয়োজিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কাউন্সেলর লি শাওপেং, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’র মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ-ই-আলম, , চীনের খুনমিং-এ বাংলাদেশের সাবেক কনসুল জেনারেল আ.ফ.ম আমিনুল ইসলাম এবং চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট শিয়ে খাংজিয়া, ওভারসিজ চাইনিজ ফেডারেশন অব বাংলাদেশ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিউ শিয়াওবিন এবং বাংলাদেশে তিনটি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের চীনা এবং বাংলাদেশি পরিচালকগণ।

বিকেলের ফাইনাল অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী ও চীনাদের কণ্ঠে চীনের গান উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। ড্রাগন নাচ এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা নাচ পরিবেশন করেন চীনা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

প্রতিযোগীরা সমবেত কন্ঠে “প্রেমময় একটি পরিবার” নামে একটি গান করেন।

শান্তা/ফয়সল

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024