সারাক্ষণ ডেস্ক
‘খুলনা জেলার নদীগুলোয় নাব্য সংকট সবচেয়ে বেশি, শীর্ণ হয়ে এসেছে সুন্দরবন সংলগ্ন ৫৩ নদী’ বণিক বার্তার শিরোনাম এটি। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বর্তমানে নাব্য হারানো নদীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি সুন্দরবনবেষ্টিত খুলনা জেলায়। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনকে ঘিরে রাখা ৫৩ নদী নাব্য হারিয়েছে বলে সরকারের সাম্প্রতিক তথ্যে উঠে এসেছে। নদী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নদী নাব্য হারানোয় জীববৈচিত্র্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। জলজ প্রাণী, নদীকেন্দ্রিক অর্থনীতি ও পরিবেশ সংকটে পড়েছে। জোয়ারের লবণাক্ত পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে উপকূল। এতে মানব স্বাস্থ্য ও ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশে প্রবহমান নদীর সংখ্যা ৯৩১। আর নাব্য হারানো নদীর সংখ্যা ৩০৮। এর মধ্যে খুলনায় ৫৩টি, কিশোরগঞ্জে ৩৩, দিনাজপুরে ২০, পঞ্চগড়ে ১৯, ময়মনসিংহে ১৪, নীলফামারী ও ঝিনাইদহে ১২টি করে নদী নাব্য হারিয়েছে। খুলনা জেলায় নাব্য সংকটে থাকা নদীর একটা বড় অংশের অবস্থান পাইকগাছায়। উপজেলা সদরে রয়েছে শিবসা ও কপোতাক্ষ। পৌর সদরের শিববাড়ী এলাকায় শিবসা ও কপোতাক্ষ নদের মিলনস্থল। এ মিলনস্থলে ৩৪৬ মিটারের একটি সেতু রয়েছে। এর প্রায় এক কিলোমিটারের মধ্যে শিবসা নদীর ওপর আরো একটি সেতু রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পাশাপাশি দুটি সেতু থাকায় শিবসা ও কপোতাক্ষের পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়ে নদী দুটি নাব্য হারিয়েছে।
‘এবার টেকনাফের ওপারে গোলাগুলি, মিয়ানমারে নতুন আইনের পর দেশ ছাড়তে চাইছেন তরুণেরা, সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক’ প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম এটি। খবরে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অগ্রগতিতে জান্তার ওপর চাপ বাড়ছে। দেশটির রাখাইন রাজ্যে আরও একটি শহর দখলের দাবি করেছে আরাকান আর্মি (এএ)। জান্তা বাহিনীর দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। এরই মধ্যে জান্তা বাহিনী মিয়ানমারের নাগরিকদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করেছে। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, সেনাবাহিনীতে যোগদান এড়াতে দেশ ছাড়তে পারেন মিয়ানমারের তরুণেরা। খবর ইরাবতীর
খবরে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সরকারবিরোধী ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল দখলে নিয়েছে তারা। বিদ্রোহীদের দমাতে হোঁচট খেয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি একটি আইন পাস করে জান্তা সরকার। ওই আইন অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী পুরুষ ও ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী নারীদের বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে হবে। তাঁদের সর্বোচ্চ দুই বছর বাহিনীতে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবে রাষ্ট্রে জরুরি অবস্থার সময় এটি পাঁচ বছরও হতে পারে। আইন অনুযায়ী সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে সক্ষম মিয়ানমারে এমন ১ কোটি ৪০ লাখ নাগরিক রয়েছেন। এরই মধ্যে নতুন আইনটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কি না, তা যাচাইয়ে গত বৃহস্পতিবার ১৮ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী এপ্রিলে প্রথম ধাপে পাঁচ হাজার সদস্যকে সেনাবাহিনীতে যুক্ত করা হবে। আর কেউ এই আইন লঙ্ঘন করে পালাতে চাইলে তাঁকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের অনেক তরুণ প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। থাইল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফাউন্ডেশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক উ হতো চিত বলেন, ‘আমি শুনেছি, ১৮ বছরের বেশি বয়সী তরুণেরা যেকোনো উপায়ে মিয়ানমার ছাড়তে চাইছেন। এ অবস্থায় থাইল্যান্ডে অবৈধ অভিবাসী শ্রমিক আরও বাড়বে। ফলে সেখানে শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও বৃদ্ধি পাবে।’
সমকাল পত্রিকার শিরোনাম ‘ নীরবে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি’। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জীবনমান উন্নত হওয়ায় গ্রাম পর্যায়েবেড়েছে টুথপেস্টের ব্যবহার। সাবানের জায়গা দখল করেছে লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ। ভালোর জন্য এসব ব্যবহার করে হিতেবিপরীত হচ্ছে মানুষের। হ্যান্ডওয়াশের মাধ্যমে শরীরে রোগ বাসা বাঁধছে। টুথপেস্টও ডেকে আনছে নানা ঘাতক ব্যাধি।গবেষকরা সতর্ক করে বলছেন, ক্ষতিকর রাসায়নিকের টুথপেস্ট ও হ্যান্ডওয়াশ দীর্ঘদিন ব্যবহারে হতে পারে ক্যান্সার, বন্ধ্যত্বেরমতো রোগ। অথচ ভোক্তা পর্যায়ে এসব টুথপেস্ট ও হ্যান্ডওয়াশের নিয়ন্ত্রণহীন ব্যবসা চলছে। নামি থেকে ছোট কোম্পানিরপণ্যেরও নিয়মিত হয় না মান পরীক্ষা। নিয়ন্ত্রণকারী সরকারি প্রতিষ্ঠানও নির্বিকার। নিত্যপণ্য দুটি উৎপাদনে জড়িত একটিচক্র, যারা নামি কোম্পানির মোড়ক ব্যবহার করে বাজারে ছাড়ছে। মাঝেমধ্যে এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান হলেওনেওয়া হয় না শক্ত পদক্ষেপ। ফলে নিত্যব্যবহার্য সামগ্রীতে ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি ক্রমশ বাড়ছে, যা বড় হুমকি হয়েউঠেছে জনস্বাস্থ্যের জন্য।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসরকারি সংস্থা এসডোর গবেষণায় বাংলাদেশের স্থানীয় মার্কেট থেকে সংগ্রহ করা টুথপেস্ট ওহ্যান্ডওয়াশের নমুনায় উদ্বেগজনক মাত্রায় ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ প্যারাবেন, সোডিয়াম ও ডাইক্লোরাইডের উপস্থিতিমিলেছে। প্যারাবেন মানবদেহের হরমোন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যাহত করে। সোডিয়াম-ডাইক্লোরাইড উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক ওকিডনির জটিলতা তৈরি করে। দীর্ঘমেয়াদে এসব পণ্য ব্যবহারে নীরবে বাড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্যারাবেন সাধারণতপ্রসাধনী, পার্সোনাল কেয়ার প্রোডাক্ট (শ্যাম্পু, ডিওডোরেন্ট, হ্যান্ডওয়াশ) এবং ওষুধের প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে। কমখরচ ও সহজলভ্য হওয়ায় উৎপাদনকারীরা বেশি পরিমাণে এটি ব্যবহার করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলঅ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলেছে, টুথপেস্ট ও হ্যান্ডওয়াশে প্যারাবেন ব্যবহার করা যাবে না।
যুগান্তর পত্রিকার শিরোনাম ‘ বাস্তবতা বিবেচনায় ব্যবস্থা নেবে আ.লীগ, উন্মুক্ত নির্বাচনে জটিল সমীকরণ তৃণমূলে’। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদে উন্মুক্ত নির্বাচন ঘিরে জটিল সমীকরণে তৃণমূল আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয়ভাবে এনির্বাচনে কাউকে সমর্থন দিচ্ছে না ক্ষমতাসীনরা। তবে স্থানীয়ভাবে অনেক জায়গায় জেলা বা উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষথেকে একক প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রভাবশালীরা। আবার জাতীয় নির্বাচনের পরেই অনুষ্ঠেয় এই ভোটে বড়প্রভাব থাকছে স্থানীয় সংসদ-সদস্যদের। বেশিরভাগ প্রার্থীই চাইছেন এমপির সমর্থন। অনেক জায়গায় এমপিরা নিজেদেরপছন্দের প্রার্থীদের মাঠেও নামিয়েছেন। আছে উলটো চিত্রও। কিছু কিছু জায়গায় মাঠে আছেন এমপিবিরোধী প্রার্থীরাও। স্বতন্ত্রসংসদ-সদস্যদের আসনের উপজেলায়ও দেখা দিচ্ছে নানা জটিলতা। আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, তারা চান সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। ফলে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে বাস্তবতার নিরিখে শিগগিরই দেওয়া হবে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক যুগান্তরকেবলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগই যেখানে কাউকে সমর্থন দিচ্ছে না, সেখানে আর কারও বা কোনোশাখার কোনো এখতিয়ারই নেই কাউকে সমর্থন দেওয়ার। এটা এখতিয়ারবহির্ভূত। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই নির্দেশনা দেওয়াহবে। এমপিদের প্রভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে যে নির্দেশনা, সেটি ইতোমধ্যে আমাদের নেত্রী (আওয়ামী লীগসভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) দিয়েছেন। তার এই বার্তাটি আমাদের এমপি সাহেবদের বুঝতে হবে। কাউকে সমর্থন নয়, তাদের জন্য শ্রেয় কাজ হবে-সবাইকে নিয়ে সুন্দর পরিবেশের মধ্য দিয়ে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন করা।
‘Myanmar Conflict: Boats on Naf spark fear of fresh influx’ ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। খবরে বলা হচ্ছে, মায়ানমার সেনাদের সাথে আরাকান আর্মি নামক সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে ক্রমাগত লড়াইয়ের মধ্যে, রাখাইন রাজ্যেরঅনেক বাসিন্দা সীমান্তের নাফ নদীতে ছোট নৌকায় আশ্রয় নিয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার কোস্টগার্ডের মুখপাত্রলেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, দুই দেশের মধ্যে বয়ে যাওয়া নদীতে মিয়ানমারের কতজন নাগরিক বসবাস করছে তাজানা যায়নি। “আমরা কাউকে নাফের ওপারে ভ্রমণ করতে এবং বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না দেওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ,” তিনিবলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলিতে প্রায় ২০০ মায়ানমার নাগরিককে সীমান্তে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
খবরে বলা হচ্ছে,আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুবায়ের দ্য ডেইলিস্টারকে বলেন, মায়ানমারের লালবুন্ন্যা এলাকায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর নৌকায় ৪০০ থেকে ৫০০ রোহিঙ্গা ছিল। তিনিবলেন, এই রোহিঙ্গাদের অনেকেই কক্সবাজার ক্যাম্পে তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন কারণ তারা বাংলাদেশ থেকেসেলুলার সিগন্যাল পাচ্ছেন।
‘Govt unlikely to contest Supreme Court verdict on poll bonds, door open for PIL’ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকারপ্রধান শিরোনাম এটি। খবরে বলা হচ্ছে, সংস্থার দৃষ্টিভঙ্গি হল যে শীর্ষ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনীতহবিলের জটিল সমস্যাটি পরবর্তী সরকারের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত যারা “নির্বাচন তহবিল ব্যবস্থাকে আরও ভাল করার” বিকল্প উপায়গুলি “বিবেচনা” করতে পারে, সূত্র জানিয়েছে। যারা নির্বাচনী বন্ড কিনেছেন তাদের নাম প্রকাশ করা সরকারেরদ্বারা করা একটি “প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন” হবে এবং ব্যাঙ্কের গোপনীয়তার নিয়ম লঙ্ঘন হবে তবে কেন্দ্র বৃহস্পতিবারের ঐতিহাসিকসুপ্রিম কোর্টের রায়কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না যা এই প্রকল্পটিকে “অসাংবিধানিক” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারি সূত্র দ্যইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে।
খবরে বলা হচ্ছে, সংস্থার দৃষ্টিভঙ্গি হল যে শীর্ষ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী তহবিলের জটিল সমস্যাটিপরবর্তী সরকারের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত যারা “নির্বাচন তহবিল ব্যবস্থাকে আরও ভাল করার” বিকল্প উপায়গুলি “বিবেচনা” করতে পারে, সূত্র জানিয়েছে।
১৭ তম লোকসভার ১৫ তম অধিবেশন ইতিমধ্যেই স্থগিত করা হয়েছে এবং নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তির মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি রয়েছে, সূত্র জানিয়েছে, সরকার একটি পর্যালোচনা পিটিশন দায়ের করার বা একটি নতুন তহবিল ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য অধ্যাদেশজারি করার কথা বিবেচনা করছে না।
Leave a Reply