ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
পেরুর যুদ্ধের স্বভাব অনুযায়ী বলা হয়েছে দুষ্টু লোকরা ছোট ছোট জামা পোশাক পরে পবিত্র হ্রদে আসে এবং বীরাকোচার বড় বড় ঢিলে-ঢালা জামাপোশাক দেখে ঠাট্টা বিদ্রপ করতে শুরু করে। এতে বীরাকোচা বাধ্য হয়ে উত্তর-এর এই স্থান ত্যাগে বাধ্য হয়। ঘটনাক্রমে বীরাকোচা উপর থেকে নীচে নেমে উপকূলে এসে উপস্থিত হন।
সমুদ্র পেরিয়ে যান এবং কথা দিয়ে যান তিনি আবার ফিরবেন। বীরাকোচাকে নিয়ে এরকম লোকগাথার অভাব নেই। আরও বলা হয় বীরাকোচা একজন ভাল দেবতা এবং ভীষণ বন্যার পর আন্দেস পর্বতমালায় এসেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল এই সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং জ্ঞানকে রক্ষা করবেন।
কেননা প্রাচীন মানুষের সঙ্গে ইনকা লোকগল্প এই কথাই বলে যে মূল মানবগোষ্ঠীরা বন্যার কবল থেকে বেঁচে গিয়েছিল। খুব উঁচু পর্বতের চূড়ায় নিজেদের সযত্নে লুকিয়ে রেখেছিল। এরাই পরে পৃথিবীতে মানুষ হিসেবে বসবাস শুরু করে। বীরাকোচাকে অন্য দিক থেকে জল এবং সাপের প্রতীক হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।
এই বিশ্বাসের সঙ্গে অন্য লোক গল্পর মিলও আছে যেখানে জলদেবতার আবির্ভাব ঘটেছে স্বর্গ থেকে। পরে সমুদ্রে গিয়ে এবং সেখান থেকে বেরিয়ে এই সভ্যতা সৃষ্টি করেছেন। বীরাকোচা সম্পর্কে আরও বলা হয়েছে ‘তিনি’ পবিত্র ধ্বংসাবশেষ ব্যবহার করেছেন। জ্ঞান ও বিদ্যার জন্য চারটি মাথার খুলি পরেছেন।
(চলবে)
Leave a Reply