শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন

গাড়ির হর্নের পরিবর্তে পাখির ডাক কেন নয়?

  • Update Time : বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭.০০ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

আজকের দিনে রোড রেজ একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি প্রায়ই বিরক্তিকর এবং গুরুতর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। অধীর চালকরা একে অপরকে চেঁচিয়ে এবং হর্ন বাজিয়ে বিরক্ত করেনএর সঙ্গে অশ্রাব্য ভাষার ব্যবহার তো আছেইযা প্রায়ই ঝগড়া বা আরও খারাপ কিছুর দিকে গড়ায়। আধুনিক গাড়িগুলিতে অনেক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকলেও একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্যের অভাব রয়েছেযা অবশ্যই প্রয়োজনীয় করা উচিতহর্নের ধরণে পরিবর্তন আনা।

গাড়ির হর্নের আওয়াজ এমন একটি জিনিস যা বেশ বিরক্তিকর। গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা একজন নির্বোধ লোক হর্ন বাজিয়ে যানজট কমাতে পারেন নাবরং এটি শুধু রাগ এবং রক্তচাপ বাড়ায়। এর কারণ হর্নের আওয়াজ সাধারণত কানে লাগে।

তাহলে কেন বাধ্যতামূলক করা হবে না যে সমস্ত গাড়ির হর্ন পাখির ডাক বা সুরের মতো শোনাবেযদি আপনার পেছনে থাকা হুমভি চালক স্কাইলার্ক বা বুলবুলের মতো ডাক দেয়তবে আপনি হাসিমুখে এবং স্নেহপূর্ণভাবে তাকে রাস্তা ছেড়ে দেবেনযদিও তিনি রাগে ফুঁসছেন। তবেকিছু পাখির ডাক নিষিদ্ধ করাও জরুরি। যেমন মোরগের কুঁ-কুঁ আওয়াজকাক বা শিকারি পাখিদের ডাকে হর্ন বানানো যাবে না।

আরেকটি উদাহরণ হল ব্রেন-ফিভার’ পাখির ডাক। এই ডাক পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে। কোকিলের ডাক আরও এক বোতল’ বলতে শোনায়যা হয়তো চালককে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য দোষী করবে!

কল্পনা করুনযদি এটি বাস্তবায়িত হয়তাহলে এক বিশাল যানজটে স্কাইলার্কবুলবুলবা ফ্লুট বাজানো ম্যাগপাই রবিনের সুর শোনা যাবে। এমনকি উচ্চ-মানের এসইউভিগুলিতে পাখির সুর বেছে নেওয়ার অপশন থাকবে।

ভারতে তৈরি গাড়িগুলি শিকড়া বা অন্য পাখির ডাক অন্তর্ভুক্ত করতে পারেযা অ্যাম্বুলেন্স বা পুলিশ গাড়ির জন্য জরুরি সিগন্যাল হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

আর আপনি কি চান আপনার গাড়ির হর্ন বাঘের গর্জনমহিষের হাঁকবা রাগান্বিত হাতির চিৎকারের মতো শোনাক?

এমনকি পশ্চিমেযেখানে হর্ন বাজানো অত্যন্ত অভদ্র বলে মনে করা হয়সেখানে এই ধারণা খুব কম ব্যবহৃত হবে। কিন্তু ভারতেযেখানে হর্ন বাজানো অত্যন্ত স্বাভাবিকএটি পুরো পরিবেশকে সুন্দর করে তুলতে পারে।

আপনার মনে হতে পারেযে লোকটি আপনার পেছনে লার্কের মতো ডাকছেতার হর্ন শুনতে আপনার মেসিডিজের ভিতর থেকে কষ্ট হবে। তবে কাসৌলিতে একদিন সকালে শোনা একটি হিল বারবেটের ডাক এত উচ্চস্বরে ছিল যে তা সম্ভবত শিমলা পর্যন্ত শোনা যেত!

এখনপাখিরা যদি এই আওয়াজ শুনে বেরিয়ে আসেতাহলে তাদের সৌন্দর্য দেখে হয়তো আমরা তাদের এবং তাদের বাসস্থান রক্ষার জন্য আরও উদ্যোগী হব। শুধু তাদেরও যেন রোড রেজ না হয়!

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024