প্রদীপ কুমার মজুমদার
আমরা লক্ষ্য করছি-প্রাচীন ভারতীয় লিপিমালার মধ্যে ব্রাহ্মী ও খরোষ্ট্রী লিপিমালাই সবচেয়ে বেশী প্রচলন ছিল। এবং এই দুই লিপিমালার সাহায্যে তখনকার দিনে সংখ্যা লেখা হোত। সুতরাং আমরা ব্রাহ্মী ও খরোধী লিপি সম্বন্ধে দু চার কথা বলছি।
খরোধী লিপি ডান দিক থেকে বাঁ দিকে লেখা হয়ে থাকে। প্রাচীন গান্ধার অধুনা আফগানিস্থানে এই লিপি পাওয়া যায়। অশোকের উৎকীর্ণ লিপিতে এক,দুই, তিন, চার এই চারিটি সংখ্যা খরোষ্ট্র লিপিতে রয়েছে। এগুলি লম্বা দাড়ির সাহায্যেই লেখা হয়েছে। অবশ্য পরে শক ও পার্থনিয়নদের প্রভাবে পড়ে এগুলির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পণ্ডিতেরা মনে করেন খরোষ্ঠী লিপি ভারতবর্ষে আমদানি করা হয়েছে।
সম্ভবত সম্রাট দারিয়ুস যখন পাঞ্জাব জয় করেন সেই সময় থেকেই খরোধী লিপি আমাদের দেশে প্রচলিত হয়। সংখ্যা লিখন পদ্ধতিতে খরোষ্ঠী লিপির প্রয়োগে কতকগুলি আশ্চর্যজনক চিহ্নের ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়। উদাহরণ- স্বরূপ খরোষ্ঠী লিপিতে ৪ লেখার জন্য যে চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে তা আধুনিক কালের গুণের চিহ্নের মতো অবশ্য ব্রাহ্মী লিপিতে চার সংখ্যাটি এখনকার যোগ চিহ্নের মত। ৫ থেকে ৮ পর্যন্ত সংখ্যাগুলি যোগ পদ্ধতিতে অনুসরণ করে লেখা হয়েছে কিন্তু ৯ সংখ্যাটি কি ভাবে লেখা হোত তার হদিস এখনও পাওয়া যায় নি।
(চলবে)
Leave a Reply