শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

নির্মাণে নতুন ধাপে বিশ্বের বৃহত্তম গোলাকার নিউট্রিনো ডিটেক্টর

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫.১২ পিএম

ডিসেম্বর ১৯, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: আল্ট্রাপিওর বা অতিবিশুদ্ধ পানিতে পূরণ করা হচ্ছে চীনের তৈরি বিশ্বের বৃহত্তম স্বচ্ছ গোলাকার নিউট্রিনো ডিটেক্টর চুনো। এতে করে ডিটেক্টরটি নির্মাণ কার্যক্রমের শেষ ও গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।

নিউট্রিনোকে বলা হয় ভুতুড়ে কণা। এটি এত ক্ষুদ্র যে সাধারণ বস্তুর ওপর এর কোনো প্রভাব পড়ে না। তাই কণাটিকে নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ অনেক। এটির মাধ্যমে মহাজাগতিক অনেক গোপন রহস্য, যেমন ডার্ক ম্যাটারকে আরও ভালো করে বুঝতে পারার সম্ভাবনা রয়েছে।

নিউট্রিনো শনাক্ত করতে বড় ডিটেক্টর এবং আল্ট্রাপিওর পানির প্রয়োজন হয়। পানির স্বচ্ছতার কারণে নিউট্রিনো কণার প্রভাব থেকে তৈরি হয় বিশেষ ধরনের আলো।

চীনের চিয়াংমেন সিটির খাইপিং পাহাড়ের গভীরে থাকা গ্রানাইট স্তরে তৈরি করা হয়েছে চুনো। এর কেন্দ্রে আছে একটি অতিকায় গোলক। এর চারপাশে আছে ৪১ দশমিক ১ মিটার ব্যাসের স্টিলের কাঠামো। পুরো ডিটেক্টরটি ২০ হাজার বড় ও ২৫ হাজার ছোট ফটোমাল্টিপ্লায়ার টিউব দিয়ে সজ্জিত।

এই পানির পূরণ প্রক্রিয়া দুই ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথমে গোলকের ভেতর ও বাইরের স্থান পানিতে পূর্ণ হবে। পরে পানির পরিবর্তে যোগ করা হবে বিশেষ আরেকটি উপাদান, যার কাজ হলো চার্জযুক্ত বিকীরণ শোষণ করে আলো তৈরি করা। ২০২৫ সালের আগস্টে এই পানি পূরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এবং তারপরই নিউট্রিনোর তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ১২টি মৌলিক কণার মধ্যে সবচেয়ে ছোট ও হালকা হলো নিউট্রিনো। এটি চার্জ নিরপেক্ষ এবং আলোর কাছাকাছি গতিতে ভ্রমণ করে। বিগ ব্যাংয়ের পর থেকে এ কণাগুলো সমগ্র মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এর কারণেই নক্ষত্রের ভেতর পারমাণবিক বিক্রিয়া, সুপারনোভা বিস্ফোরণ, পারমাণবিক চুল্লির অপারেশন ঘটে থাকে।

ফয়সল/শান্তা

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024