শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৫)

  • Update Time : শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০.০০ এএম

প্রদীপ কুমার মজুমদার

খরোষ্ঠী বা ব্রাহ্মীলিপির সাহায্যে ছোট ছোট সংখ্যাকে লিখতে বিশেষ অসুবিধা হোত না। অসুবিধা হোত বড় সংখ্যাকে লিখতে গিয়ে। মনে হয় বড় সংখ্যাকে লিখতে গিয়ে শূন্য ও দশমিক স্থানীয়মান পদ্ধতির আবিষ্কার হয়। আমরা পূর্বেই দেখেছি ভারতীয়রা স্থানীয়মান সহকারে অঙ্কপাতন পদ্ধতি ব্যবহার করতে গিয়ে ডান থেকে বাঁদিকে সংখ্যার মান উত্তরোত্তর দশগুণ বৃদ্ধি করতেন।

উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক ৬৬ সংখ্যাটিকে। এককের স্থানে ৬ এর যে মান দশকের স্থানে ৬ এর মান এর দশগুণ বেশী। দশমিক স্থানীয় অঙ্কপাতন পদ্ধতি যদি ভারতীয় সংখ্যা লিখন পদ্ধতিতে না থাকতো তাহলে ভারতীয় পদ্ধতি অন্যান্ত দেশের সংখ্যা লিখন পদ্ধতি থেকে শ্রেষ্ঠ হোত না।

ভারতীয় সংখ্যা লিখন পদ্ধতিতে শূল্পের ব্যবহার থাকায় এই পদ্ধতি সবচেয়ে বেশী বিজ্ঞানসম্মত বলে স্থির হয়েছে। এ ব্যাপারে একটু আলোচনা করা যাক। সাতশ দুই এই সংখ্যাটি লওয়া থাক। প্রথমে এককের ঘরে ২ এবং দশকের ঘরে ফাঁকটি রয়েছে। এটি এক অর্থে মূলাহীন আবার অন্য অর্থে গভীর তাৎপর্যপূর্ণ।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪)

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024