সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৩ অপরাহ্ন

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২৬)

  • Update Time : শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫.৫৪ পিএম

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

লোকগল্পের আরেক অংশ থেকে জানা যায় স্প্যানিশ অনুপ্রবেশের পর আর্কবিশপ তারিবিও দে মগ্রভেগোকে এই পর্বতকেন্দ্রে পাঠান হয়। এই পাথুরে স্তূপকে সরাতে না পেরে আর্কবিশপ একে আড়াল করার মত একটা প্রমাণ সাইজের চার্চ তৈরি করেন। মেক্সিকোতে কেতজালকোতের পদচিহ্ন পাওয়ার ঘটনাও আছে।

এই বিশ্ব সম্পর্কে ইনকাদের ধারণা: পৃথিবী, এই জগৎ, বিশ্ব, এই চরাচর, সব কিছু সম্পর্কেই প্রতিটি ধর্মীয় দর্শনের এক ব্যাখ্যা বা বিশ্বাস থাকে। এই বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে জড়জগতের ভাল, মন্দ বিচার করার চেষ্টা করা হয়। পৃথিবীকে নানাভাগে ভাগ করার মধ্য দিয়ে আসলে আধ্যাত্মিক চেতনার প্রকাশ ঘটে। বা অন্যভাবে বলা যায় চিৎ, চেতনার প্রতি শ্রদ্ধা আন্তরিকতার উন্মোচন ঘটে।

ইনকারা এই বিশ্বকে তিনটি স্তরে ভাগ করেছেন। উপরের দিকের এই পৃথিবীর নাম হল হানান পাচা (Hanan Pacha) এর নীচের স্তরকে বলা হয় ছরিন পাচা (Hurin Pacha) এবং তৃতীয় স্তরটিকে বলা হয় কাএ-পাচা (Kay Pacha)। হিন্দু ধর্মেও বিশ্বের তিন স্তর এর কথা বলা হয়েছে। পরিচিত এই তিনটি স্তর হল স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল। স্বর্গে যায় সৎ, ভাল মানুষ।

মর্ত্যে যায় এর থেকে কম ভাল, বাস্তুগত সুখপ্রিয় মানুষ। আর এরও নীচে পাতালে প্রবেশ করে সবচেয়ে অসৎ দুষ্টু লোক। এই পাতালপুরী হল দানবদের বাসস্থান। স্বর্গে গেলে খুব ভালভাবে সুখে থাকা যায়। এর মাঝখানে মর্ত্য হল দুঃখ কষ্ট, রোগ ভোগের জায়গা। আসলে এই লোকবিশ্বাস থেকেই ইনকাদের আরেকটি লোকগল্পের সন্ধান পাই আমরা।

(চলবে)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২৫)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২৫)

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024