ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
এই ঝোল রান্না শেষ হয়ে যাবার পর কনের বাবা-মা অন্যত্র সরে যান। তখন কাকা আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানান। এরপর বর ও কনে একসঙ্গে সবার সামনে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা গ্রহণ করে। এর পরের অনুষ্ঠানে বর তার হবু শ্বশুর মশাইকে শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন জানায়। এর পরে নিয়ন্ত্রিতরা বর-এর মুখে নানাবিধ রং লাগিয়ে দেয়। এই রং-এর উপাদান অনেকটা হলুদের মত। সবশেষে বিয়ের পর সবাই একত্রে নাচগান করতে করতে কনেকে বরের বাড়িতে নিয়ে আসে।
বিয়ের অনুষ্ঠানের বাইরেও মেয়েদের নিয়ে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লোকাচার বা সামাজিক আচার ইনকাদের মধ্যে প্রচলিত আছে। এই অনুষ্ঠানের নাম আক্লা কুনা। আক্লা কুনা প্রথা অনুযায়ী প্রথমেই মেয়েদের বয়স, দেহের সৌষ্ঠব বিচার করে ভাগ করা হয়। বয়স ও সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে নির্বাচিত হবার পর তাদের পাঠান হয় রাজধানী শহরে। সেখানে মনোনীত ছোট মেয়েরা চার বছরের জন্য পড়াশুনা করে। এই সঙ্গে শিখে নিতে হয় বাড়ির নানাধরনের কাজ।
অবশ্য এইসব কাজ বিশেষত মেয়েদের জন্যই। যেমন এইসব কাজের মধ্যে আছে কাপড় বোনা, ধর্মীয় নানা আচার- অনুষ্ঠান। তবে এখানে বলা প্রয়োজন, নির্বাচিত মেয়েদের বলা হয় আক্লাকুনা। এর পরের পর্বটি বিশেষ লক্ষ্যণীয়। আক্লাকুনা মেয়েদের মধ্যে কয়েকজনকে সূর্যকে সেবা করার জন্য বেছে নেওয়া হয়। এই সব মেয়েদের বলা হয় সূর্যদেবতার কুমারী (virgins of the Sun) আর স্থায়ী। স্থায়ী মেয়েদের বলা হয় মামাকুনা। এদের মধ্যে কাউকে সূর্য মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়।
(চলবে)
Leave a Reply