শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০৯ পূর্বাহ্ন

শুধুই আমলা, নাকি কর্তৃত্ববাদী মতাদর্শের আমলা?

  • Update Time : শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২.৩২ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলনের অভিযোগে আটক ২৮, খননযন্ত্র, বাল্কহেড ও নৌকা জব্দ”

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চাঁদপুর কোস্টগার্ড, মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসন ও বেলতলী নৌ ফাঁড়ির পুলিশ সম্মিলিতভাবে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে। এ সময় বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত দুটি খননযন্ত্র, দুটি বাল্কহেড ও তিনটি নৌকা জব্দ করা হয়েছে।

মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসন ও চাঁদপুর কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ১০টার দিকে মেঘনার মতলব উত্তর উপজেলার কালিরচর এলাকায় কিছু লোক নিয়ম অমান্য করে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছিলেন। খবর পেয়ে চাঁদপুর কোস্টগার্ড, মতলব উত্তরের বেলতলী নৌ ফাঁড়ির পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন মতলব উত্তর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিল্লোল চাকমা।

হিল্লোল চাকমা বলেন, আটক ব্যক্তিদের বাড়ি মতলব উত্তর উপজেলা ও মুন্সিগঞ্জ জেলায়। আটক ২৮ জনের মধ্যে ১৯ জনের বিরুদ্ধে আজ শনিবার সকালে উপজেলার বেলতলী নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা করা হয়।অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা আদায় করে অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আটক ১৯ জনকে চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। জব্দ করা দুটি খননযন্ত্র, দুটি বাল্কহেড ও তিনটি নৌকা বেলতলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির জিম্মায় রাখা হয়েছে।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাছে ম্যাজিক নাই: আইজিপি”

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, সারাদেশের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাছে ম্যাজিক নেই। ছিনতাই ও খুনের মতো অপরাধ কমাতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ছাত্রদের সহযোগিতা চাই।

এসময় ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, স্বাধীনতার পর এমন পুলিশ বাহিনী দেখতে চায়নি জনগণ। জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। কী কারণে মানুষের এতো ক্ষোভ পুলিশের ওপরে, তা বিশ্লেষণ করা উচিত। ৫ আগস্টে ৭২ ঘণ্টা আগেও যদি পুলিশ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতো, তাহলে এতো প্রাণহানি হতো না বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “শুধুই আমলা, নাকি কর্তৃত্ববাদী মতাদর্শের আমলা?”

দেশের বিদ্যুৎ খাতের বর্তমান অব্যবস্থাপনা ও আর্থিক চাপ তৈরির জন্য অনেকাংশেই দায়ী করা হয় সাবেক বিদ্যুৎ সচিব আবুল কালাম আজাদকে। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী আমলাদের অন্যতম ছিলেন তিনি। ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হিসেবে কাজ করেন তিনি। পরে ইআরডি সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও এসডিজি-বিষয়ক সমন্বয়কের হিসাবেও নিয়োজিত ছিলেন তিনি। দেশের বিদ্যুৎ খাত বেসরকারি উদ্যোক্তানির্ভর (আইপিপি) হয়ে উঠেছিল তার হাত ধরেই। শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি হয়েছিলেন তিনি। প্রবল প্রতাপশালী এ সাবেক আমলা সরকারের জনপ্রশাসন ক্যাডারে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত হয়েছিলেন এ ৮২ ব্যাচেরই আরেক আমলা মোহাম্মদ সাদিক। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক এ চেয়ারম্যান গত নির্বাচনে এমপি হন সুনামগঞ্জ-৪ আসন থেকে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিও করা হয় তাকে। প্রশাসনে থাকাকালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০১৬ সালের মে মাসে তিনি পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। এর আগে ২০১৪ সালের ৩ নভেম্বর থেকে কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চাকরি শেষে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৮২ ব্যাচের আরেক কর্মকর্তা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর। এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ছিলেন। আগে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি বাস্তবায়নের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে সবচেয়ে প্রভাবশালী আমলাদের অন্যতম ধরা হতো তাকেও।

প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশে সামরিক শাসন জারি করেন ১৯৮২ সালে। সে বছরেই প্রশাসনে ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। সামরিক শাসনের অধীনেই চাকরিজীবনের শুরুর বছরগুলো পার করেছেন তারা। জনপ্রশাসনে কর্মকর্তা হিসেবে তাদের ভিত্তিও তৈরি হয়েছিল সে সময়। পরে তাদের অনেকের মধ্যে কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা তৈরি হওয়ার পেছনে স্বৈরতান্ত্রিক সে কাঠামোকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টদের অনেকেই।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “‘গায়েবি’ মামলার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে: আইন উপ‌দেষ্টা”

‘গায়েবি’ মামলার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় সংলাপ-২০২৪ শীর্ষক অনুষ্ঠা‌নে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। আয়োজনটি করে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ।

আ‌সিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কতগুলো ‘গায়েবি’ মামলা হয়েছে।

এসব মামলার হিসাব বের করতে সব জেলার পাবলিক প্রসিকিউটরদের তদন্ত করতে বলা হয়েছে ব‌লে উ‌ল্লেখ ক‌রেন তি‌নি।

আইন উপ‌দেষ্টা বলেন, আইন মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত ৫১টি জেলা থেকে গায়েবি মামলার আনুমানিক হিসাব পেয়েছে। আরও ১৩টি জেলা থেকে তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।

আ‌সিফ নজরুল ব‌লেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর চার হাজারের বেশি পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ করা হয়েছে।
গা‌য়ে‌বি মামলার তথ্য বের করতে তারা কাজ করছেন ব‌লে জানান তি‌নি।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024